ছবি সংগৃহীত
অনলাইন ডেস্ক : বিএফআইডিসি দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণে সক্ষম হলেও, পুরনো যন্ত্রপাতি ও প্রক্রিয়ার কারণে আন্তর্জাতিক আসবাবপত্র শিল্পের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেন, আধুনিক প্রযুক্তি সংযোজন, নকশা উদ্ভাবন এবং সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি আন্তর্জাতিক বাজারেও প্রতিযোগিতামূলক হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে পারে।”
বাংলাদেশ ফরেস্ট ইন্ডাস্ট্রিজ ডেভেলপমেন্ট করপোরেশন (বিএফআইডিসি)-এর আধুনিকায়ন এবং আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানি সম্ভাবনা উন্মোচনের লক্ষ্যে রাজধানীর পানি ভবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে এই মন্তব্য করেন তিনি।
এতে অংশগ্রহণ করেন জাতিসংঘের ক্যাপিটাল ডেভেলপমেন্ট ফান্ড (UNCDF)-এর এশিয়া প্যাসিফিক ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড ইমপ্লিমেন্টেশন ডিভিশনের রিজিওনাল ইনভেস্টমেন্ট টিম লিড মারিয়া পেরডোমো এবং উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
বৈঠকে পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, “যৌথ বিনিয়োগ চুক্তি এবং উপযুক্ত আইন প্রণয়নের মাধ্যমে বিএফআইডিসিকে নতুন উচ্চতায় নেওয়া সম্ভব।”
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, “কৌশলগত অংশীদারিত্ব, সময়োপযোগী সম্পদ সংগ্রহ এবং সুস্পষ্ট কর্মপরিকল্পনার মাধ্যমে বিএফআইডিসিকে সৃজনশীল ও প্রতিযোগিতামূলক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করা সম্ভব। রাবার চাষের পাশাপাশি বাঁশ ও বেতের মতো বিকল্প উপকরণে বৈচিত্র্য আনা এবং স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে সম্পৃক্ত করলে বনজ সম্পদের ওপর চাপ কমবে।”
তিনি সরকার জাতীয় উন্নয়ন অগ্রাধিকার এবং জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের লক্ষ্যে বিএফআইডিসি আধুনিকায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে উল্লেখ করেন।
বৈঠকে মারিয়া পেরডোমো আর্থিক, কারিগরি ও সক্ষমতা উন্নয়নে ইউএনসিডিএফ-এর সহায়তার আশ্বাস দেন এবং জানান, এ প্রক্রিয়ায় ইউএনডিপি ও বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক উন্নয়ন সহযোগীর সম্পৃক্ততাও নিশ্চিত করা যেতে পারে।
সভায় বিএফআইডিসি চেয়ারম্যান মোঃ নাসির উদ্দিন আহমেদ, পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ খায়রুল হাসানসহ ইউএনসিডিএফ ও বিএফআইডিসি-এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে প্রকল্পসংক্রান্ত নথি ও সম্ভাব্যতা সমীক্ষা পর্যালোচনার জন্য ভাগাভাগি এবং সম্পদ সংগ্রহ ও উন্নয়ন সহযোগীদের সম্পৃক্ততা জোরদারে নিয়মিত যোগাযোগ বজায় রাখার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।