ছবি সংগৃহীত
অনলাইন ডেস্ক : অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেছেন, ‘রাজাকারের আক্ষরিক অর্থের বাইরে রাজনৈতিক অর্থটা কী? রাজনৈতিক অর্থ হইলো এই যে, রাজাকার সেই সব ব্যক্তি, যারা নিজের দেশ এবং দেশের মানুষের বিরুদ্ধে গিয়ে অন্য দেশের হয়ে কাজ করে। এই সূত্র ধরে আগাইলে এই সময়ে কাদেরকে রাজাকার মনে হয়? জ্বি, যাদের ভাবছেন তারাই।
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া পোস্টে এমন মন্তব্য করেন মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। তিনি বলেন, ‘কিছুদিন আগে আমার একটা লেখায় লিখছিলাম, মুক্তিযুদ্ধে রাজনৈতিক নেতৃত্বদানকারী দলটা কী করে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি হয়ে উঠল, এটা রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ছাত্রদের কাছে একটা ইন্টারেস্টিং থিসিসের বিষয় হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, ‘স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি মানে কী? মানে যারা নিজের দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে অন্য কারো পায়ের নীচে বিকিয়ে দেয়। এই ১৬ বছরের মতো পরাধীন বাংলাদেশ আর কবে ছিল? ফলে মানুষ এখন আওয়ামী লীগকেই সবচেয়ে বড় রাজাকার মনে করে। এ বাস্তবতায় রাজাকার কার্ডের পুরনো ব্যবহার যে খারিজ হয়ে গেছে, এটা চব্বিশের ১৪ জুলাই সেটেলড হয়ে গেছে।
উপদেষ্টা বলেন, ‘৪৭-এর নায়ক ৭১-এ ভিলেন, আবার ৭১-এর নায়ক ২৪-এর ভিলেন হয়ে যেতে পারে। কারণ সমসাময়িক বাস্তবতাই নায়ক বা ভিলেন নির্ধারণ করে দেয়। ৭১-এ যার যা ভূমিকা, সেটা ঐরকমই থাকবে। কিন্তু ৭১ দিয়ে ২৪ এবং তৎপূর্ববর্তী ১৬ বছরের পাপ ঢাকা যাবে না। ৭১-এর শহীদেরা ২৪-এর খুনীকে বাঁচাতে আসবে না।’