ফাইল ছবি
অনলাইন ডেস্ক : দক্ষিণখানে পরকীয়া সন্দেহে দুবাই ফেরত স্বামীর এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতে স্ত্রী আকলিমা বেগম (৩৩) নিহত হয়েছেন।
সোমবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় তার স্বামী মাসুদ আলমকে (৪৩) স্থানীয়রা আটক করে পুলিশে দিয়েছেন। স্বামী-স্ত্রী উভয়ের গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী জেলার চাটখিল উপজেলায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দক্ষিণ খান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আনোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, ‘স্ত্রীকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতের সময়ে ধস্তাধস্তিকালীন তার স্বামী মাসুদ আলমের হাত কেটে যায়। স্থানীয়রা তাকে আটক করে আমাদের কাছে দেন। পরে তাকে পঙ্গু হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
পুলিশের ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘আট বছর আগে তারা প্রেম করে বিয়ে করেন। উভয়েরই এটা ছিল দ্বিতীয় বিয়ে। আকলিমার প্রথম সংসারে সন্তান ছিল। এদিকে দ্বিতীয় বিয়ের পর দীর্ঘদিন সংসার করার পর তার স্বামী দুবাই যান। আর তার স্ত্রী একটি কাপড়ের দোকান পরিচালনা করতেন। পরে তার স্বামী জানতে পারেন তার স্ত্রী আরেকজনের সঙ্গে পরকীয়া করছে। এমন কি তারা গোপনে বিয়েও করছে বলে তাকে সন্দেহ করতো। এসব নিয়ে উভয়ের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। গত ছয় মাস আগে দুবাই থেকে চলে আসেন স্বামী মাসুদ আলম। এরই মধ্যে দুজনেই পৃথক হয়ে যান। যার যার মতো করে আলাদা করে থাকতেন।
তিনি আরও জানান, সম্প্রতি তার স্বামী তার সঙ্গে কথাবার্তা বলতেন। সোমবার দক্ষিণখান থানাধীন দেওয়ান বাড়ি পাকার মাথা এলাকায় স্ত্রীর ভাড়া বাসায় স্ত্রী আকলিমাকে মারধর করতে থাকেন। পরে তার স্ত্রী চতুর্থ তলা বাসার তৃতীয় তলায় বাড়ির মালিকের ফ্ল্যাটে দৌড়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। সেখানেই স্বামী মাসুদ আলম তাকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত করেন। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তার স্বামীকে আটক করে পুলিশকে সংবাদ দেন। পরে পুলিশ এসে তাকে আটক করে নিয়ে যায়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় রাত ১১টা ৫৫ মিনিটের সময়ে আকলিমাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তাকে মৃত ঘোষণা করেন।