শিশুর ডিহাইড্রেশন হলে বুঝবেন যেভাবে

ছবি সংগৃহীত
লাইফস্টাইল ডেস্ক : শিশুরা অফুরন্ত আনন্দের উৎস। তবে আনন্দ ধরে রাখতে হলে তাদের নিয়মিত যত্নের প্রয়োজন, বিশেষ করে যখন স্বাস্থ্যের কথা আসে। বাবা-মায়েরা শিশুদের যত্নে কড়া নজর রাখেন, কিন্তু কখনও কখনও কিছু ভুল হতে পারে। কারণ কিছু অসুখের লক্ষণ বুঝতে পারা কঠিন। শিশুর জন্য একটি গুরুতর উদ্বেগের বিষয় হলো পানিশূন্যতা, যা গোপনে দেখা দিতে পারে এবং চিকিৎসা না করা হলে বিপজ্জনক হতে পারে। কী কী বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে তা জানা থাকলে শিশুকে নিরাপদ ও সুস্থ রাখা সহজ হবে।

শিশুর শরীরে প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় বেশি পানি থাকে। শিশুরা দ্রুত পানি হারায়, বিশেষ করে যখন অসুস্থ বা উষ্ণ আবহাওয়ায় থাকে। তাই বাবা-মায়েদের প্রাথমিক পানিশূন্যতার লক্ষণগুলো সনাক্ত করা উচিত এবং দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।

শিশুর ডিহাইড্রেশনের কিছু সাধারণ কারণ

* ডায়রিয়া

* বমি

* জ্বর

* কম তরল গ্রহণ।

এসবই শিশুর শরীরে জলের পরিমাণ হ্রাস করে। যদি অবিলম্বে চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে এটি ইলেক্ট্রোলাইট ইমব্যালান্স বা নিম্ন রক্তচাপের মতো গুরুতর সমস্যায় পরিণত হতে পারে এবং হাসপাতালে চিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে।

শিশুদের ডিহাইড্রেশনের গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ

শুষ্ক জিহ্বা এবং মুখ: আঠালো, শুষ্ক জিহ্বা বা মুখের লালা কম বা একেবারেই নেই কি না তা পরীক্ষা করুন।

প্রস্রাব কমে যাওয়া: যদি আপনার শিশুর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ছয়টিরও কম ডায়াপার ভেজা থাকে, অথবা প্রস্রাব গাঢ় হলুদ এবং তীব্র হয়, তাহলে এটি ডিহাইড্রেশন হতে পারে।

দেবে যাওয়া নরম স্থান (ফন্টানেল): শিশুর মাথার উপরের নরম স্থানটি লক্ষণীয়ভাবে দেবে গেলে।

 

অশ্রুহীন কান্না: চোখের পানি ছাড়া কান্না সাধারণত শিশুর শরীরে তরল পদার্থের অভাব নির্দেশ করে।

 

তন্দ্রা: একটি ডিহাইড্রেটেড শিশু অস্বাভাবিকভাবে ঘুমিয়ে পড়তে পারে, জাগতে অসুবিধা হতে পারে, অথবা খিটখিটে হতে পারে।

 

ঠান্ডা, দাগযুক্ত ত্বক: অপর্যাপ্ত রক্ত ​​সঞ্চালনের কারণে ত্বক ঠান্ডা, ফ্যাকাশে বা দাগযুক্ত হয়ে যায়।

 

কীভাবে পানিশূন্যতা প্রতিরোধ করতে পারেন

* শিশুকে নিয়মিত খাওয়ান, বুকের দুধ খাওয়ান। এতে পর্যাপ্ত না হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ফর্মুলা দুধ খাওয়ান।

 

* গরম আবহাওয়ায় অথবা আপনার শিশু অসুস্থ থাকলে অতিরিক্ত তরল খাওয়ান।

* ডায়াপারের আউটপুটের ওপর কড়া নজর রাখুন।

 

* ডায়রিয়া বা বমির মতো অসুস্থতার লক্ষণ পর্যবেক্ষণ করুন এবং তাড়াতাড়ি চিকিৎসা সহায়তা নিন।

 

কখন ডাক্তারের সঙ্গে দেখা করবেন

শিশুর পানিশূন্যতার কোনো লক্ষণ দেখা দিলে, বিশেষ করে অশ্রুহীন কান্না, দেবে যাওয়া ফন্টানেল বা তন্দ্রাচ্ছন্নতা দেখা দিলে অবিলম্বে শিশু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। দ্রুত চিকিৎসা গুরুতর পরিণতি এড়াতে পারে।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালালেও ভারতে গিয়ে শয়তানি করছেন: মির্জা ফখরুল

» খালের মধ্যে কুমিরটা ১৭ বছর যন্ত্রণা দিয়ে দিল্লিতে পালিয়ে আছে: গয়েশ্বর

» ‘দেশের মানুষ খালেদা জিয়াকে নিরাপত্তা দিয়েছে, তারেক রহমানকেও দিতে পারবে’: হান্নান মাসউদ

» বিএনপি জাতীয় পার্টির দায়িত্ব নেবে কেন, আপনারা কারা?: জাপা মহাসচিবকে রিজভী

» নুরের সুচিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

» প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাত রাজনৈতিক দলের বৈঠক অনুষ্ঠিত

» ভবিষ্যতে সরকারপ্রধানের মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা বাধ্যতামূলক হওয়া উচিত : ফারুকী

» ব্র্যাক ব্যাংকের নতুন ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও পদে নিয়োগপ্রাপ্ত হলেন তারেক রেফাত উল্লাহ খান

» ইউসিবিডিতে মোনাশ ফাউন্ডেশন ২০২৫ প্রোগ্রামের তৃতীয় ব্যাচের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত

» পুলিশ বাহিনীতে গড়ে উঠেছিল ২ গ্রুপ, নেতৃত্বে ছিলেন হাবিব-মনির

  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

শিশুর ডিহাইড্রেশন হলে বুঝবেন যেভাবে

ছবি সংগৃহীত
লাইফস্টাইল ডেস্ক : শিশুরা অফুরন্ত আনন্দের উৎস। তবে আনন্দ ধরে রাখতে হলে তাদের নিয়মিত যত্নের প্রয়োজন, বিশেষ করে যখন স্বাস্থ্যের কথা আসে। বাবা-মায়েরা শিশুদের যত্নে কড়া নজর রাখেন, কিন্তু কখনও কখনও কিছু ভুল হতে পারে। কারণ কিছু অসুখের লক্ষণ বুঝতে পারা কঠিন। শিশুর জন্য একটি গুরুতর উদ্বেগের বিষয় হলো পানিশূন্যতা, যা গোপনে দেখা দিতে পারে এবং চিকিৎসা না করা হলে বিপজ্জনক হতে পারে। কী কী বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে তা জানা থাকলে শিশুকে নিরাপদ ও সুস্থ রাখা সহজ হবে।

শিশুর শরীরে প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় বেশি পানি থাকে। শিশুরা দ্রুত পানি হারায়, বিশেষ করে যখন অসুস্থ বা উষ্ণ আবহাওয়ায় থাকে। তাই বাবা-মায়েদের প্রাথমিক পানিশূন্যতার লক্ষণগুলো সনাক্ত করা উচিত এবং দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।

শিশুর ডিহাইড্রেশনের কিছু সাধারণ কারণ

* ডায়রিয়া

* বমি

* জ্বর

* কম তরল গ্রহণ।

এসবই শিশুর শরীরে জলের পরিমাণ হ্রাস করে। যদি অবিলম্বে চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে এটি ইলেক্ট্রোলাইট ইমব্যালান্স বা নিম্ন রক্তচাপের মতো গুরুতর সমস্যায় পরিণত হতে পারে এবং হাসপাতালে চিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে।

শিশুদের ডিহাইড্রেশনের গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ

শুষ্ক জিহ্বা এবং মুখ: আঠালো, শুষ্ক জিহ্বা বা মুখের লালা কম বা একেবারেই নেই কি না তা পরীক্ষা করুন।

প্রস্রাব কমে যাওয়া: যদি আপনার শিশুর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ছয়টিরও কম ডায়াপার ভেজা থাকে, অথবা প্রস্রাব গাঢ় হলুদ এবং তীব্র হয়, তাহলে এটি ডিহাইড্রেশন হতে পারে।

দেবে যাওয়া নরম স্থান (ফন্টানেল): শিশুর মাথার উপরের নরম স্থানটি লক্ষণীয়ভাবে দেবে গেলে।

 

অশ্রুহীন কান্না: চোখের পানি ছাড়া কান্না সাধারণত শিশুর শরীরে তরল পদার্থের অভাব নির্দেশ করে।

 

তন্দ্রা: একটি ডিহাইড্রেটেড শিশু অস্বাভাবিকভাবে ঘুমিয়ে পড়তে পারে, জাগতে অসুবিধা হতে পারে, অথবা খিটখিটে হতে পারে।

 

ঠান্ডা, দাগযুক্ত ত্বক: অপর্যাপ্ত রক্ত ​​সঞ্চালনের কারণে ত্বক ঠান্ডা, ফ্যাকাশে বা দাগযুক্ত হয়ে যায়।

 

কীভাবে পানিশূন্যতা প্রতিরোধ করতে পারেন

* শিশুকে নিয়মিত খাওয়ান, বুকের দুধ খাওয়ান। এতে পর্যাপ্ত না হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ফর্মুলা দুধ খাওয়ান।

 

* গরম আবহাওয়ায় অথবা আপনার শিশু অসুস্থ থাকলে অতিরিক্ত তরল খাওয়ান।

* ডায়াপারের আউটপুটের ওপর কড়া নজর রাখুন।

 

* ডায়রিয়া বা বমির মতো অসুস্থতার লক্ষণ পর্যবেক্ষণ করুন এবং তাড়াতাড়ি চিকিৎসা সহায়তা নিন।

 

কখন ডাক্তারের সঙ্গে দেখা করবেন

শিশুর পানিশূন্যতার কোনো লক্ষণ দেখা দিলে, বিশেষ করে অশ্রুহীন কান্না, দেবে যাওয়া ফন্টানেল বা তন্দ্রাচ্ছন্নতা দেখা দিলে অবিলম্বে শিশু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। দ্রুত চিকিৎসা গুরুতর পরিণতি এড়াতে পারে।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Design & Developed BY ThemesBazar.Com