ছবি সংগৃহীত
অনলাইন ডেস্ক : সকাল থেকেই ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের রূপগঞ্জ অংশে তীব্র যানজট রয়েছে। সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস হওয়ায় কর্মজীবী মানুষের চাপ বেড়েছে। ফলে দীর্ঘ যানজটে ও যানবাহনের ধীরগতিতে বিপাকে পড়েছেন কর্মমুখী যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকরা।
রোববার (২৪ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৮টা থেকে থেমে থেমে যানজট শুরু হয়ে ধীরে ধীরে কাঁচপুর থেকে মৈকুলি পর্যন্ত ৫ কিলোমিটারে বিস্তৃত হয়।
যাত্রী ও হাইওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মহাসড়ক উন্নীতকরণ কাজের জন্য সড়ক সরু হয়ে যাওয়া, ভারী বর্ষণে সড়কে তৈরি হওয়া খানাখন্দ দিয়ে যানবাহন পর্যাপ্ত গতিতে চলাচল করতে না পারা, যত্রতত্র যাত্রী ওঠানামা, নিয়ম ভঙ্গ করে রুটে গাড়ির একাধিক লাইন করাসহ বিভিন্ন কারণেই যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। এর ওপর সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস হওয়ায় কর্মজীবীদের ঘিরে সড়কে চাপ বেড়েছে মানুষের। এতে সকাল থেকেই সড়কে গাড়ির চাপ বাড়তে থাকে। ফলে যানজটও দীর্ঘ হতে থাকে। এতে করে কাঁচপুর থেকে মৈকুলি পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার যানজট ছড়িয়ে পড়ে।
যাত্রী সিয়াম আহমেদ বলেন, তিনি সিদ্ধিরগঞ্জের একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। সকাল ৯টায় কাজে যোগদান করার কথা। সকাল সাড়ে ৭টায় ভুলতা গাউছিয়া থেকে রওনা দিয়ে কাঁচপুর আসতেই বেজেছে সাড়ে ৮টা।
সিএনজিচালক বুলবুল বলেন, বরপা থেকে বরাব আসতেই ৪০ মিনিট লেগেছে। যানজট না থাকলে আসতে সর্বোচ্চ ৫ থেকে ৭ মিনিট লাগতো। সপ্তাহের প্রথম দিন হওয়ায় যাত্রীর চাপ ছিল। যানজট না থাকলে আয় রোজগার ভালো হতো।
মেঘালয় পরিবহনের চালক আজগর আলী বলেন, যাত্রামুড়া থেকে জ্যামে পড়েছি, বরপা আসতেই ১ ঘণ্টা লেগেছে। প্রতিদিনই এই এলাকায় যানজট থাকে। তবে সপ্তাহের প্রথম দিন হওয়ায় আজকে যাত্রীর চাপ বেশি হয়েছে। তাই সকাল থেকেই যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশ পরিদর্শক আব্দুল কাদের জিলানী জাগো নিউজকে বলেন, টানা বৃষ্টির কারণে সড়কে খানাখন্দ তৈরি হয়েছে। এতে গাড়ি ধীরগতিতে চালাতে হচ্ছে। অন্যদিকে সপ্তাহের প্রথম দিন হওয়ায় যাত্রীর চাপও কিছুটা বেড়েছে। এতেও যানজট দীর্ঘ হচ্ছে। হাইওয়ে পুলিশের জনবলেরও কমতি রয়েছে। তাই সড়কে যানবাহনের দীর্ঘ সারি সামলাতে বেগ পেতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমার এরিয়া আমি নজরদারিতে রাখি। অন্য সাইটে যানজট সৃষ্টি হয়ে এখানে অব্দি বিস্তৃত হয়। যানজট নিরসনে আমরা প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।