ছবি সংগৃহীত
অনলাইন ডেস্ক : থাইল্যান্ডের বরখাস্ত প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা (৩৯) গতকাল বৃহস্পতিবার আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। তিনি কম্বোডিয়ার সাথে সীমান্ত বিরোধ মোকাবিলায় যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করেননি বলে যে অভিযোগ, এর শুনানিতে এ সাক্ষ্য দেন।
পেতংতার্নকে স্থায়ীভাবে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরানো হবে কি না তা নিয়ে আজ শুক্রবার রায় দেবেন আদালত। এএফপির বরাতে এ খবর দিয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার থেকে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ আদালতের রায়ের মুখোমুখি হচ্ছে থাইল্যান্ডের ধনকুবের সিনাওয়াত্রা পরিবার, যা তাদের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার বড় পরীক্ষা হতে পারে। এর ফলে দ্রুত নির্বাচনের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে এবং থাইল্যান্ডের দুর্বল অর্থনীতির জন্য দীর্ঘমেয়াদী সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা থাইল্যান্ডের সাবেক বিতর্কিত প্রধানমন্ত্রী ও ব্যবসায়ী থাকসিন সিনাওয়াত্রার (৭৬) মেয়ে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, কম্বোডিয়ার সাবেক নেতা হুনসেনের সাথে ফোনালাপে তিনি দেশের স্বার্থ রক্ষায় যথাযথ অবস্থান নেননি। সেই ফোনালাপের অডিও অনলাইনে ফাঁস হলে দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়।
এ ঘটনার পর সারাদেশে বিক্ষোভ শুরু হয় এবং পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রার বরখাস্তের দাবিতে আদালতে একটি আবেদন করা হয়। গত মাসে আদালত তাঁকে দায়িত্ব থেকে সাময়িকভাবে সরিয়ে দেন এবং বৃহস্পতিবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
এর আগে গত বছর এ ধরনের একটি নৈতিকতার মামলায় আদালত আগের প্রধানমন্ত্রীকে সরিয়ে দিয়েছিল।