শেখ হাসিনা পুরনো রাক্ষস দিয়ে আবারও জনগণকে ক্ষেপিয়ে তুলছেন : রনি

ফাইল ফটো

 

অনলাইন ডেস্ক : রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মাওলা রনি বলেছেন, এখন যারা আমার ভিডিও দেখেন এদের বিরাট একটি অংশ আওয়ামী লীগ করেন। যারা দেশের মধ্যে লুকিয়ে আছেন বা দেশের মধ্যে প্রকাশে ঘোরাফেরা করতে পারছেন তারা তো বটেই। তার সঙ্গে বিদেশে যে সকল লোকজন আছেন আওয়ামী লীগ করেন তারাও সময় পেলে আমার ভিডিও দেখেন।

 

সম্প্রতি নিজের ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করা একটি ভিডিওতে তিনি এসব কথা বলেন।

 

তিনি বলেন, এর কারণ হলো যে এই একটা দুর্বোধ্য সময় সেই দুর্বোধ্য সময় বাংলাদেশে আসলে কেউ আওয়ামী লীগকে নিয়ে কথা বলার কিংবা বাংলাদেশে বসে আওয়ামী লীগের নাম ইতিবাচকভাবে উচ্চারণ করার একটা বন্ধ্যাত্ব দেখা দিয়েছে। সেখানে আমি যে সামান্য আমার মতো করে হয়তো আমি কিছু বলার চেষ্টা করছি, যেটি অনেকে মনে করছেন যে হয়তো মিস্টার রনি এই সময়টাতে আওয়ামী লীগের পক্ষে কোনো কথাবার্তা বলছেন।

 

আমি আসলে আওয়ামী লীগের পক্ষে কোনো কথা বলছি না, বিএনপির বিপক্ষেও বলছি না। ডক্টর মোহাম্মদ ইউনুসের বিপক্ষেও বলছি না।

 

আমার কাছে যেটা মনে হয়েছে যে আমি এটা হক আদায় করছি আমার কন্ঠের, জবানের চিন্তা এবং চেতনার। আমার কাছে মনে হয়েছে যে কথাগুলো বলা উচিত সে কথাগুলো আমি এখন বলছি। গোলাম মাওলা রনি বলেন, আবার আওয়ামী লীগের জামানাতে যে কথাগুলো বলা উচিত ছিল সেই কথাগুলো তখন আমি বলেছি, যেটা আওয়ামী লীগের অনেকের নিকট খুবই বিরক্তিকর ছিল। তো এখন এই যে বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের যেই দুরবস্থা এই দুরবস্থার মধ্যে যখন কেউ কথা বলছে না তখন দেখা গেল যে সকল মানুষ আমি তো একসময় আওয়ামী লীগ করেছি আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলাম।

 

কাজেই আমার মুখ থেকে আওয়ামী লীগের কথা বের হওয়া অস্বাভাবিক না। কিন্তু এরকম অনেক লোক আছেন যাদের সঙ্গে আসলে আওয়ামী লীগের কোনোকালে কোনো সম্পর্ক ছিল না। কিন্তু তারা অনেকেই কিন্তু এখন আওয়ামী লীগের পক্ষে কথাবার্তা বলছেন। তো এই যে কথাবার্তা বলা হচ্ছে এটার পরিণতি কি? এটার ফলাফল কি? আওয়ামী লীগ কি রাজনীতির ময়দানে পুনরায় আসবে? তাদের মধ্যে কি পরিবর্তন আছে? বা বাংলাদেশের রাজনীতির যে পরিবারতন্ত্র সেই পরিবারতন্ত্রের কি অবসান হবে? আওয়ামী লীগ এই মুহূর্তে যে কর্মকাণ্ডগুলো করছে দলীয়ভাবে দেশের ভেতরে এবং দেশের বাইরে, এটি দেশের যারা জনগণ রয়েছেন তারা আসলে কিভাবে নিচ্ছেন? তারা যখন একান্তে কথা বলেন, আওয়ামী লীগ সম্পর্কে, আওয়ামী লীগ সভানেত্রী সম্পর্কে, শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, জয়, পুতুল, তাদের সম্পর্কে, তখন সাধারণ মানুষ যে কথাগুলো বলে এটা আমি শুনতে পাই। শুনতে পাওয়ার পরে আমার মধ্যে যে প্রতিক্রিয়া হয় সেই কথাগুলোই আমি আজকে এখানে বলার চেষ্টা করব।

 

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যারা নেতৃবৃন্দ রয়েছেন আশা করি তারা ধৈর্য সহকারে শুনবেন এবং আপনাদের সাধ্যমতো কমেন্টস করে আমাকে উৎসাহিত করবেন। অথবা নিরুৎসাহিত করবেন, সমালোচনা করবেন। সবাইকে যাকে বলা হয় আমি নেতিবেসক এবং ইতিবাচক যে কথাগুলি আপনারা বলেন না কেন, আমি ধৈর্য সহকারে এটার টোটাল কমেন্টস গুলো আমি দেখব।

 

আওয়ামী লীগের সঙ্গে আমার কখনোই কোন দূরত্ব তৈরি হয়নি। এটা হবেও না। বিএনপিতে আমি এসেছি, নির্বাচন করেছি। এটা একটা ভিন্ন প্রসঙ্গ। বিএনপির সঙ্গে আমার সম্পৃক্ততা এখনো আছে। আবার আওয়ামী লীগের সঙ্গে আমার যে আত্মীয়তা, হৃদয়তা বা আওয়ামী লীগের নাম শুনলে আমার মধ্যে যে একটা নস্টালজিয়া চলে আসে, এটা থেকে যাবে। আওয়ামী লীগ যদি মরেও যায় তবুও থেকে যাবে। আওয়ামী লীগ যদি আবার রাজা হয়ে যায় আবার ক্ষমতায় আসে তখনও থেকে যাবে। আর এই যে আমার এই ফিলিংস, এর জন্য অতীতে যেভাবে কোনোদিন আওয়ামী লীগের কোনো দপ্তরে মানে ২০১‌৪ থেকে ২০২৫ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কেউ বলতে পারবেন না।

 

আমার বন্ধুরা আমার বান্ধবীরা তারা মন্ত্রী হয়েছেন, এমপি হয়েছেন। বড় বড় পদ পদবীতে থেকেছেন। কেউ বলতে পারবেন না যে আমি জীবনে কখনোই তাদেরকে টেলিফোন করেছি। একটা কাজ চেয়েছি, সাহায্য চেয়েছি, সহযোগিতা চেয়েছি। অথচ আমার সুযোগ ছিল। আমি বিএনপিতে যোগদান করার পরেও সুযোগ ছিল। এর কারণ হলো, ব্যক্তিগত সম্পর্ক তো আলাদা একটা জিনিস। কিন্তু এই কমেন্টে বলে যান কোন মন্ত্রী আওয়ামী লীগের মন্ত্রী বা সংসদ সদস্য যে আমি কখনো আমার এই ব্যক্তিগত সম্পর্কটি আমি বিক্রি করে কোন কিছু করার চেষ্টা করেছি। করিনি।

 

ফলে আগামীতেও এটা হবে না। মানে আমি কখনোই আওয়ামী লীগের সুসময়ের মানে কোকিল হব না। এটা হলো বাস্তবতা। তো যার জন্য আমি যে কথাগুলো বলছি সেই কথাটা নির্মোহভাবে বলার চেষ্টা করছি। এখানে কোনো স্বার্থ নেই। পদ-পদবী পাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। ফলে এই কথাগুলো যদি আওয়ামী লীগের যারা লোকজন রয়েছে তারা নিজেদের মধ্যে আলাপ আলোচনা করতে পারেন, অনুরূরণত হতে পারেন তাহলে আপনাদের উপকার হবে।

 

রনি বলেন, প্রথমত হলো আমাদের এই বাংলাদেশে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই। আওয়ামী লীগ যতদিন এখানে আছে, আজ পর্যন্ত। যদি ভবিষ্যতে মাইনাস টু হয়ে যায় জাতীয় পার্টি থেকে আল্টিমেটলি এরশাদের ফ্যামিলি চলে গেছে। যদি জিয়া পরিবারকে বিএনপি থেকে বাদ দেওয়া যায়, তাহলে শেখ পরিবার অটোমেটিক বাদ হয়ে যাবে। কিন্তু যতক্ষণ পর্যন্ত জিয়া পরিবার বিএনপিতে আছে, ততক্ষণ পর্যন্ত প্রকৃতিগতভাবেই শেখ পরিবার আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে থাকবে।

 

দুই নম্বর হলো যেখানে বাংলাদেশে বসে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা রিফাইনড আওয়ামী লীগ তৈরি করার জন্য আওয়ামী লীগের বিভিন্ন শ্রেণির নেতাকর্মী যাদের বিরুদ্ধে মামলা মোকদ্দমা নেই তাদেরকে সংগঠিত করার চেষ্টা করে চলেছে। দু থেকে তিনটি গ্রুপ তারা বিভিন্নভাবে চেষ্টা করছে অর্গানাইজ হওয়ার জন্য। কিন্তু ওয়ান ইলেভেন এর সময় আমি একেবারে নিকট থেকে দেখেছি যে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এই ধরনের যাকে বলে তৃণমূলের যারা নেতাকর্মীরা তারা এই ধরনের রিফাইনড আওয়ামী লীগ, সংস্কারবাদী আওয়ামী লীগ এটাকে কখনোই মেনে নেবে না।

 

এখন পর্যন্ত যতক্ষণ পর্যন্ত পারিবারিক রাজনীতি অক্ষুন্ণ রয়েছে জিয়া পরিবার এবং শেখ পরিবার এর বাইরে শেখ হাসিনার এপ্রুভাল, তার ভাষণ ছাড়া এবং তার মনোনীত প্রার্থী ছাড়া এখানে সাধারণ সম্পাদক রূপে, মুখপাত্রের রূপে একটা সিঙ্গেল লোক এখানে কাজ করতে পারবে না। আকাশ থেকে ফেরেশতা এনে দিলেও লোকজন তার কথা শোনার জন্য যাবে না। এখানে শেখ হাসিনার এপ্রুভাল লাগবে। এটা বাস্তবতা।

 

এখন শেখ হাসিনা কি খুবই জনপ্রিয়? না। এটা জনপ্রিয় না। বা তিনি কি খুবই রেসপেক্টেড? তাও না। মানুষ সম্মান এবং মর্যাদার যে জায়গাগুলোতে শেখ হাসিনার কাছে যা আশা করে, উনি সেই জায়গাটা কখনোই পূর্ণ করতে পারেননি। তার স্ট্রেট ফরোয়ার্ড কথাবার্তা, অপ্রিয় কথাবার্তা তিনি যেটা ভালো মনে করেন সেটা বলে ফেলেন। এবং তার যে অন্যের প্রতি ক্রোধ রাগ প্রতিহিংসা এই জিনিসগুলো সেই ৮১ সন থেকে তার মধ্যে যেমন ছিল, তিনি তেমনিই আছেন।

 

ফলে তার নেতাকর্মীরা তার কাছ থেকে আলাদা কিছু আশা করে না। কিন্তু আমজনতা তার কাছ থেকে আশা করি যে , তিনি এই বিরূপ পরিস্থিতিতে বসে বিনয়ী হবেন এবং আগের ভাষায় কথা বলবেন না সুন্দর করে কথা বলবেন। এখন তিনি সেটা কি করবেন না করবেন সেটা তার ব্যক্তিগত বিষয়। বাস্তবতা হলো যে এখানে যা কিছুই হচ্ছে বা করার চেষ্টা করা হচ্ছে তার এপ্রুভাল ছাড়া আওয়ামী লীগ নাম নিয়ে এখানে কেউ দাঁড়াতে পারবে না। সেটা ইউনূস সাহেব চেষ্টা করুন, বিএনপির তারেক রহমান সাহেব চেষ্টা করুন, ডিজিএফআই চেষ্টা করুন, কোন লাভ হবে না এই গেল এক।

 

দুই নম্বর হলো যে সাধারণ আমজনতার বাইরে আওয়ামী লীগের যারা নেতাকর্মী রয়েছে, আদার দেন শেখ হাসিনা। এখানে শেখ হাসিনা নিজেকে কেমন মনে করেন এটা তার ব্যক্তিগত বিষয়। কিন্তু তার বাইরে, শেখ হাসিনার বাইরে এখানে জয় বলেন, পুতুল বলেন কিংবা শেখ রিহানা বলেন, ববি বলেন মূলত রাজনৈতিক নেতাকর্মীর মধ্যে এদের সম্পর্কে শেখ হাসিনার কারণে, বঙ্গবন্ধুর কারণে আপত্ত স্নেহ আছে, ভালোবাসা আছে, শ্রদ্ধা আছে।

 

কিন্তু রাজনৈতিক নেতা হিসেবে তাদের ব্যাপারে মানে নূন্যতম যাকে বলা হয় এখানে মানুষের দুর্বলতা নেই সাধারণ মানুষেরও নেই। আর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদেরও নেই। এটা হল একেবারে রিয়ালিটি। এখানে ধরুন তারেক রহমান সাহেব যদি জয়ের প্রতিদ্বন্দী হিসেবে তো তিনি তো অনেকদিন ধরে দেশের বাইরে থেকে প্রাণন্ত চেষ্টা করছেন। তো তার সেই চেষ্টা তারেক রহমান সাহেবের নাম, তার চেষ্টা ওটা আওয়ামী লীগ যেভাবে মূল্যায়ন করে। তো সেখানে ধরেন তারেক রহমান সাহেব যে কাজগুলো করেছে সেই কাজগুলো করে চলেছেন। একটা দলকে এককভাবে সে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন। তারপরও তারেক রহমান সাহেব সম্পর্কে আওয়ামী লীগ কি মনে করে, তার চাইতেও অনেক অনেক যাকে বলে নিম্নমানের চিন্তা করবে জয় সম্পর্কে, পুতুল সম্পর্কে। এর কারণ হলো তারেক রহমান সাহেব তো আসলে ২০০১ থেকে সরাসরি রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।

 

তো এখানে ২৫ বছর যাবত তিনি দলটা চালাচ্ছেন তো জয় যদি সেখানে এই দলীয় কোনো কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত না থাকে, কিন্তু হঠাৎ করে যদি জয়কে সভাপতি বা সেক্রেটারি বানানোর চেষ্টা করা হয় তাহলে দলের নেতাকর্মী দলের বাইরের নেতাকর্মীরা কি মনে করতে পারে?

 

এটা বোঝার জন্য আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এই মুহূর্তে তারেক রহমান সাহেব সম্পর্কে যেভাবে চিন্তা করে ওটাকে মানে ওটাকে যদি ধরেন ওটার চেয়ে অন্তর্পক্ষে ১০০% ডাউনে আপনি নিয়ে এসে জয়কে রাখতে পারেন। এ গেল পারিবারিক রাজনীতিতে শেখ পরিবারের যারা একেবারে নিকটজনদের বাস্তব অবস্থা। সেকেন্ড ফেইজে এখানে শেখ হেলাল আছেন, শেখ সেলিম আছেন, অন্যান্য যারা শেখ আছেন তাদের অবস্থা কি এটা তাদের অবস্থা মানে শেখ হাসিনা থাকলেই তারা আছেন, শেখ হাসিনার বাইরে তাপস বলেন, পরশ বলেন, এককভাবে এসে রাজনীতি করবেন, দাঁড়াবেন এটা যেমন সে সাহসও তাদের নেই, শক্তিও তাদের নেই। সে যোগ্যতাও তাদের মধ্যে আছে আমার কাছে মনে হচ্ছে না।

 

তাদের যা কিছু আছে তারা শেখ হাসিনাকে গালাগালি করবে। শেখ হাসিনাকে অপছন্দ করবে। কিন্তু দিনশেষে আবার শেখ হাসিনার সঙ্গে তাদেরকে রাজনীতি করতে হবে। শেখ হাসিনা না থাকলে এরা সবাই শূন্য। আর শেখ হাসিনার পাশে তার যে সংখ্যা দিলেই এরা কেউ ১০ হবে, কেউ ৯০ হয়ে যাবে তাদের যোগ্যতা অনুযায়ী। কিন্তু আদার দেন শেখ হাসিনা এদের সবার মূল্যবান জিরো। একেবারে জির। এই গেল শেখ পরিবার।

 

এখন শেখ হাসিনা দিল্লিতে বসে যে কাজকর্মগুলো করছেন, সেই কাজকর্ম এবং আওয়ামী লীগের যারা নেতৃবৃন্দ রয়েছেন সে যে কাজকর্মগুলো করছেন, এগুলো আমাদের এই বাংলাদেশে আসলে কি ইফেক্ট তৈরি করছে? এখানে মূল ব্যাপার হলো বাইরে থেকে যারা কথাবার্তা বলছেন বেশ কয়েকজনের কথাবার্তা মোটামুটি লোকজন বিশেষ করে তরুণ যারা আছেন দুই একজন তাদের কথাবার্তা লোকজন শুনছে। কিন্তু কোন প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে না। কিন্তু কিছু কথাবার্তা কিছু লোকজনের কথাবার্তা যারা বাংলাদেশে যথেষ্ট বিতর্কিত ছিল। কেউ মন্ত্রী ছিলেন, কেউ এমপি ছিলেন, কেউ দলীয় নেতা ছিলেন। এরা কেউ চাদাবাজি করেছে, কেউ কমিটি বিক্রি করেছে, কেউ টেন্ডারবাজি করেছে, দুর্নীতি করেছে। এবং এরা মানুষের সাথে খারাপ আচরণ করেছে। এখন তারা পালিয়ে গেছে।

 

পালিয়ে গিয়ে তারা ইউটিউ এ কথা বলছে, ফেসবুকে কথা বলছে। এটা খুবই বিরক্তিকর এবং আওয়ামী লীগকে সর্বনাশ করে দিচ্ছে। এই লোকগুলো মুখ যতক্ষণ বন্ধ না করবে ততক্ষণ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের ঘুরে দাঁড়ানোর সম্ভাবনা ক্রমশ কমে যাবে। এইগুলোর মুখ কিভাবে তারা বন্ধ করবে আওয়ামী লীগ এটা তাদের ব্যক্তিগত বিষয়। কিন্তু ওই তারা মুখ খোলার সঙ্গে সঙ্গে সেখান থেকে একটা দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এটা হল বাস্তবতা। আমি কারো নাম বললাম না।

 

দুই নম্বর হল যে শেখ হাসিনাকে নিয়ে এখনো ব্যবসা হচ্ছে। কলকাতাতে যারা পালাচ্ছে, ইংল্যান্ডে যারা পালাচ্ছে, পালিয়ে আছে, আমেরিকাতে যারা পালিয়ে আছে তারা যখনই বাংলাদেশের কোন নেতাকর্মীর সাথে কথা বলছে তারা প্রথমে বলছে যে কিছুক্ষণ আগে শেখ হাসিনার সঙ্গে আমার কথা হলো। অসুবিধা নেই এবং ওখানে বসে তারা এখনো চাঁদাবাজি করছে, এই শেখ হাসিনার নাম ভাঙ্গিয়ে। ফলে শেখ হাসিনাকে ভাঙ্গিয়ে যেভাবে সালমান রহমান যেভাবে ওই এক মজুমদার ছিল এক্সিম ব্যাংকের মজুমদার দাড়ি সাদা ফকফকে দাড়ি। তো এরা যেভাবে শেখ হাসিনাকে ভাঙ্গিয়ে বাংলাদেশকে তচনচ করেছে। আবার শেখ হাসিনা রাজনৈতিক যে সকল সহকর্মী রয়েছেন, যারা বিভিন্ন পদ পদবীতে ছিলেন, কেউ সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন, কেউ যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন। তো তারা আসলে মূলত এরকম বড় মাত্রায় টাউটারি ব্যবসা বাণিজ্য করবে এরকম শক্তি সামর্থ্য বা যোগ্যতা তাদের ছিল না।

তারা যে টাউটারিটা করেছে সেটা হলো কমিটি বিক্রি করে আওয়ামী লীগকে বিক্রি করেছে। চাদাবাজি করেছে, কন্ট্রাক্টারদের কাছ থেকে জোর করে টাকা নিয়েছে। দলীয় নেতাকর্মীদের কাছে টাকা নিয়েছে। এরা খুব টাকা পয়সার মালিক হয়নি। কিন্তু এদের সম্পর্কে মানুষের খুবই বিরক্তি। এদেরকে পেলে আওয়ামী লীগের লোকজনই এদেরকে থাপ্পড় মেরে এদের গালের মানে ৩২টা দাঁত খুলে ফেলার চেষ্টা করবে।

 

এই লোকগুলো এখনো তাদের অপকর্ম বন্ধ রাখেনি। তারা এখনো দলীয় নেতাকর্মীদের কাছে ফোন করছে, বাইরের লোকের কাছে ফোন করছে। টাকা চাচ্ছে এবং সেখানে শেখ হাসিনাকে ব্যবহার করছে, যে এইমাত্র নেত্রীর সাথে কথা হলো। নেত্রী এটা বলেছে, ওইটা বলেছে, তার সাথে বৈঠক হয়েছে। তো আমার কাছে মনে হচ্ছে যে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা, তাকে যদি রিফাইন্ড হতে হয়, তাকে যদি তার নেতাকর্মীদের কাছে, আম জনতার কাছে আবার এগিয়ে আসতে হয়, তাহলে এই যে তার আশেপাশে যে রাহুগুলো তাকে শেষ করে দিয়েছে, বাংলাদেশে সেই রাহুগুলো আবার তাকে নতুন করে বিক্রি করা শুরু করেছে।

 

তিনি যদি সেই রাহু মুক্ত না হতে পারেন, তাহলে তার কাছ থেকে আসলে নতুন করে কোনো কিছু আশা করা যায় না। এবং তিনিও আশা করতে পারেন না। ফলে তাকে তার এই যে সেটগুলো পরিবর্তন করতে হবে। এবং তিনি যদি তার নিজের লোকদেরকে চিনতে না পারেন, এত বড় বিপর্যয়ের পরে তাকে যদি আবার সেই বদমাইশদের সাথে কথা বলতে হবে, তাদের সাথে বৈঠক করতে হবে, তাদের মাধ্যমেই তার বাণী মানে শেখ হাসিনার বাণী জনগণের কাছে পৌঁছায় দিতে হবে, তাহলে তো এই দলের ভবিষ্যৎ কি হতে পারে এটা বলার জন্য খুব বেশি জ্ঞান বুধি থাকার দরকার আছে বলে আমি মনে করি না। মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে হেদায়েত দান করুন এবং হেফাজত করুন।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বার্তা পৌঁছাবে মডেল মসজিদ: ধর্ম উপদেষ্টা

» দুর্নীতি নির্মূল সম্ভব নয়, তবে কমানো যাবে: দুদক চেয়ারম্যান

» অতিরিক্ত আইজিপি হলেন সাত কর্মকর্তা

» আইন করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গুপ্ত রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে : রাকিব

» কুষ্টিয়ার মিরপুরে সন্ত্রাসী হামলায় সাংবাদিক ফিরোজ আহমেদ গুরুতর আহত

» সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল ১৪ সেপ্টেম্বর

» আওয়ামী লীগ মানুষকে জিম্মি করে নিঃশেষ করে দিয়েছে : এ্যানি

» প্রধান উপদেষ্টাকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করবে ইউকেএম

» বাংলাদেশসহ অনূর্ধ্ব-২০ নারী এশিয়ান কাপে কোয়ালিফাই করেছে যারা

» চেকপোস্টে তল্লাশি চালিয়ে এক হাজার পিস ইয়াবাসহ নারী মাদক কারবারিকে আটক

  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

শেখ হাসিনা পুরনো রাক্ষস দিয়ে আবারও জনগণকে ক্ষেপিয়ে তুলছেন : রনি

ফাইল ফটো

 

অনলাইন ডেস্ক : রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মাওলা রনি বলেছেন, এখন যারা আমার ভিডিও দেখেন এদের বিরাট একটি অংশ আওয়ামী লীগ করেন। যারা দেশের মধ্যে লুকিয়ে আছেন বা দেশের মধ্যে প্রকাশে ঘোরাফেরা করতে পারছেন তারা তো বটেই। তার সঙ্গে বিদেশে যে সকল লোকজন আছেন আওয়ামী লীগ করেন তারাও সময় পেলে আমার ভিডিও দেখেন।

 

সম্প্রতি নিজের ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করা একটি ভিডিওতে তিনি এসব কথা বলেন।

 

তিনি বলেন, এর কারণ হলো যে এই একটা দুর্বোধ্য সময় সেই দুর্বোধ্য সময় বাংলাদেশে আসলে কেউ আওয়ামী লীগকে নিয়ে কথা বলার কিংবা বাংলাদেশে বসে আওয়ামী লীগের নাম ইতিবাচকভাবে উচ্চারণ করার একটা বন্ধ্যাত্ব দেখা দিয়েছে। সেখানে আমি যে সামান্য আমার মতো করে হয়তো আমি কিছু বলার চেষ্টা করছি, যেটি অনেকে মনে করছেন যে হয়তো মিস্টার রনি এই সময়টাতে আওয়ামী লীগের পক্ষে কোনো কথাবার্তা বলছেন।

 

আমি আসলে আওয়ামী লীগের পক্ষে কোনো কথা বলছি না, বিএনপির বিপক্ষেও বলছি না। ডক্টর মোহাম্মদ ইউনুসের বিপক্ষেও বলছি না।

 

আমার কাছে যেটা মনে হয়েছে যে আমি এটা হক আদায় করছি আমার কন্ঠের, জবানের চিন্তা এবং চেতনার। আমার কাছে মনে হয়েছে যে কথাগুলো বলা উচিত সে কথাগুলো আমি এখন বলছি। গোলাম মাওলা রনি বলেন, আবার আওয়ামী লীগের জামানাতে যে কথাগুলো বলা উচিত ছিল সেই কথাগুলো তখন আমি বলেছি, যেটা আওয়ামী লীগের অনেকের নিকট খুবই বিরক্তিকর ছিল। তো এখন এই যে বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের যেই দুরবস্থা এই দুরবস্থার মধ্যে যখন কেউ কথা বলছে না তখন দেখা গেল যে সকল মানুষ আমি তো একসময় আওয়ামী লীগ করেছি আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলাম।

 

কাজেই আমার মুখ থেকে আওয়ামী লীগের কথা বের হওয়া অস্বাভাবিক না। কিন্তু এরকম অনেক লোক আছেন যাদের সঙ্গে আসলে আওয়ামী লীগের কোনোকালে কোনো সম্পর্ক ছিল না। কিন্তু তারা অনেকেই কিন্তু এখন আওয়ামী লীগের পক্ষে কথাবার্তা বলছেন। তো এই যে কথাবার্তা বলা হচ্ছে এটার পরিণতি কি? এটার ফলাফল কি? আওয়ামী লীগ কি রাজনীতির ময়দানে পুনরায় আসবে? তাদের মধ্যে কি পরিবর্তন আছে? বা বাংলাদেশের রাজনীতির যে পরিবারতন্ত্র সেই পরিবারতন্ত্রের কি অবসান হবে? আওয়ামী লীগ এই মুহূর্তে যে কর্মকাণ্ডগুলো করছে দলীয়ভাবে দেশের ভেতরে এবং দেশের বাইরে, এটি দেশের যারা জনগণ রয়েছেন তারা আসলে কিভাবে নিচ্ছেন? তারা যখন একান্তে কথা বলেন, আওয়ামী লীগ সম্পর্কে, আওয়ামী লীগ সভানেত্রী সম্পর্কে, শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, জয়, পুতুল, তাদের সম্পর্কে, তখন সাধারণ মানুষ যে কথাগুলো বলে এটা আমি শুনতে পাই। শুনতে পাওয়ার পরে আমার মধ্যে যে প্রতিক্রিয়া হয় সেই কথাগুলোই আমি আজকে এখানে বলার চেষ্টা করব।

 

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যারা নেতৃবৃন্দ রয়েছেন আশা করি তারা ধৈর্য সহকারে শুনবেন এবং আপনাদের সাধ্যমতো কমেন্টস করে আমাকে উৎসাহিত করবেন। অথবা নিরুৎসাহিত করবেন, সমালোচনা করবেন। সবাইকে যাকে বলা হয় আমি নেতিবেসক এবং ইতিবাচক যে কথাগুলি আপনারা বলেন না কেন, আমি ধৈর্য সহকারে এটার টোটাল কমেন্টস গুলো আমি দেখব।

 

আওয়ামী লীগের সঙ্গে আমার কখনোই কোন দূরত্ব তৈরি হয়নি। এটা হবেও না। বিএনপিতে আমি এসেছি, নির্বাচন করেছি। এটা একটা ভিন্ন প্রসঙ্গ। বিএনপির সঙ্গে আমার সম্পৃক্ততা এখনো আছে। আবার আওয়ামী লীগের সঙ্গে আমার যে আত্মীয়তা, হৃদয়তা বা আওয়ামী লীগের নাম শুনলে আমার মধ্যে যে একটা নস্টালজিয়া চলে আসে, এটা থেকে যাবে। আওয়ামী লীগ যদি মরেও যায় তবুও থেকে যাবে। আওয়ামী লীগ যদি আবার রাজা হয়ে যায় আবার ক্ষমতায় আসে তখনও থেকে যাবে। আর এই যে আমার এই ফিলিংস, এর জন্য অতীতে যেভাবে কোনোদিন আওয়ামী লীগের কোনো দপ্তরে মানে ২০১‌৪ থেকে ২০২৫ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কেউ বলতে পারবেন না।

 

আমার বন্ধুরা আমার বান্ধবীরা তারা মন্ত্রী হয়েছেন, এমপি হয়েছেন। বড় বড় পদ পদবীতে থেকেছেন। কেউ বলতে পারবেন না যে আমি জীবনে কখনোই তাদেরকে টেলিফোন করেছি। একটা কাজ চেয়েছি, সাহায্য চেয়েছি, সহযোগিতা চেয়েছি। অথচ আমার সুযোগ ছিল। আমি বিএনপিতে যোগদান করার পরেও সুযোগ ছিল। এর কারণ হলো, ব্যক্তিগত সম্পর্ক তো আলাদা একটা জিনিস। কিন্তু এই কমেন্টে বলে যান কোন মন্ত্রী আওয়ামী লীগের মন্ত্রী বা সংসদ সদস্য যে আমি কখনো আমার এই ব্যক্তিগত সম্পর্কটি আমি বিক্রি করে কোন কিছু করার চেষ্টা করেছি। করিনি।

 

ফলে আগামীতেও এটা হবে না। মানে আমি কখনোই আওয়ামী লীগের সুসময়ের মানে কোকিল হব না। এটা হলো বাস্তবতা। তো যার জন্য আমি যে কথাগুলো বলছি সেই কথাটা নির্মোহভাবে বলার চেষ্টা করছি। এখানে কোনো স্বার্থ নেই। পদ-পদবী পাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। ফলে এই কথাগুলো যদি আওয়ামী লীগের যারা লোকজন রয়েছে তারা নিজেদের মধ্যে আলাপ আলোচনা করতে পারেন, অনুরূরণত হতে পারেন তাহলে আপনাদের উপকার হবে।

 

রনি বলেন, প্রথমত হলো আমাদের এই বাংলাদেশে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই। আওয়ামী লীগ যতদিন এখানে আছে, আজ পর্যন্ত। যদি ভবিষ্যতে মাইনাস টু হয়ে যায় জাতীয় পার্টি থেকে আল্টিমেটলি এরশাদের ফ্যামিলি চলে গেছে। যদি জিয়া পরিবারকে বিএনপি থেকে বাদ দেওয়া যায়, তাহলে শেখ পরিবার অটোমেটিক বাদ হয়ে যাবে। কিন্তু যতক্ষণ পর্যন্ত জিয়া পরিবার বিএনপিতে আছে, ততক্ষণ পর্যন্ত প্রকৃতিগতভাবেই শেখ পরিবার আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে থাকবে।

 

দুই নম্বর হলো যেখানে বাংলাদেশে বসে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা রিফাইনড আওয়ামী লীগ তৈরি করার জন্য আওয়ামী লীগের বিভিন্ন শ্রেণির নেতাকর্মী যাদের বিরুদ্ধে মামলা মোকদ্দমা নেই তাদেরকে সংগঠিত করার চেষ্টা করে চলেছে। দু থেকে তিনটি গ্রুপ তারা বিভিন্নভাবে চেষ্টা করছে অর্গানাইজ হওয়ার জন্য। কিন্তু ওয়ান ইলেভেন এর সময় আমি একেবারে নিকট থেকে দেখেছি যে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এই ধরনের যাকে বলে তৃণমূলের যারা নেতাকর্মীরা তারা এই ধরনের রিফাইনড আওয়ামী লীগ, সংস্কারবাদী আওয়ামী লীগ এটাকে কখনোই মেনে নেবে না।

 

এখন পর্যন্ত যতক্ষণ পর্যন্ত পারিবারিক রাজনীতি অক্ষুন্ণ রয়েছে জিয়া পরিবার এবং শেখ পরিবার এর বাইরে শেখ হাসিনার এপ্রুভাল, তার ভাষণ ছাড়া এবং তার মনোনীত প্রার্থী ছাড়া এখানে সাধারণ সম্পাদক রূপে, মুখপাত্রের রূপে একটা সিঙ্গেল লোক এখানে কাজ করতে পারবে না। আকাশ থেকে ফেরেশতা এনে দিলেও লোকজন তার কথা শোনার জন্য যাবে না। এখানে শেখ হাসিনার এপ্রুভাল লাগবে। এটা বাস্তবতা।

 

এখন শেখ হাসিনা কি খুবই জনপ্রিয়? না। এটা জনপ্রিয় না। বা তিনি কি খুবই রেসপেক্টেড? তাও না। মানুষ সম্মান এবং মর্যাদার যে জায়গাগুলোতে শেখ হাসিনার কাছে যা আশা করে, উনি সেই জায়গাটা কখনোই পূর্ণ করতে পারেননি। তার স্ট্রেট ফরোয়ার্ড কথাবার্তা, অপ্রিয় কথাবার্তা তিনি যেটা ভালো মনে করেন সেটা বলে ফেলেন। এবং তার যে অন্যের প্রতি ক্রোধ রাগ প্রতিহিংসা এই জিনিসগুলো সেই ৮১ সন থেকে তার মধ্যে যেমন ছিল, তিনি তেমনিই আছেন।

 

ফলে তার নেতাকর্মীরা তার কাছ থেকে আলাদা কিছু আশা করে না। কিন্তু আমজনতা তার কাছ থেকে আশা করি যে , তিনি এই বিরূপ পরিস্থিতিতে বসে বিনয়ী হবেন এবং আগের ভাষায় কথা বলবেন না সুন্দর করে কথা বলবেন। এখন তিনি সেটা কি করবেন না করবেন সেটা তার ব্যক্তিগত বিষয়। বাস্তবতা হলো যে এখানে যা কিছুই হচ্ছে বা করার চেষ্টা করা হচ্ছে তার এপ্রুভাল ছাড়া আওয়ামী লীগ নাম নিয়ে এখানে কেউ দাঁড়াতে পারবে না। সেটা ইউনূস সাহেব চেষ্টা করুন, বিএনপির তারেক রহমান সাহেব চেষ্টা করুন, ডিজিএফআই চেষ্টা করুন, কোন লাভ হবে না এই গেল এক।

 

দুই নম্বর হলো যে সাধারণ আমজনতার বাইরে আওয়ামী লীগের যারা নেতাকর্মী রয়েছে, আদার দেন শেখ হাসিনা। এখানে শেখ হাসিনা নিজেকে কেমন মনে করেন এটা তার ব্যক্তিগত বিষয়। কিন্তু তার বাইরে, শেখ হাসিনার বাইরে এখানে জয় বলেন, পুতুল বলেন কিংবা শেখ রিহানা বলেন, ববি বলেন মূলত রাজনৈতিক নেতাকর্মীর মধ্যে এদের সম্পর্কে শেখ হাসিনার কারণে, বঙ্গবন্ধুর কারণে আপত্ত স্নেহ আছে, ভালোবাসা আছে, শ্রদ্ধা আছে।

 

কিন্তু রাজনৈতিক নেতা হিসেবে তাদের ব্যাপারে মানে নূন্যতম যাকে বলা হয় এখানে মানুষের দুর্বলতা নেই সাধারণ মানুষেরও নেই। আর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদেরও নেই। এটা হল একেবারে রিয়ালিটি। এখানে ধরুন তারেক রহমান সাহেব যদি জয়ের প্রতিদ্বন্দী হিসেবে তো তিনি তো অনেকদিন ধরে দেশের বাইরে থেকে প্রাণন্ত চেষ্টা করছেন। তো তার সেই চেষ্টা তারেক রহমান সাহেবের নাম, তার চেষ্টা ওটা আওয়ামী লীগ যেভাবে মূল্যায়ন করে। তো সেখানে ধরেন তারেক রহমান সাহেব যে কাজগুলো করেছে সেই কাজগুলো করে চলেছেন। একটা দলকে এককভাবে সে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন। তারপরও তারেক রহমান সাহেব সম্পর্কে আওয়ামী লীগ কি মনে করে, তার চাইতেও অনেক অনেক যাকে বলে নিম্নমানের চিন্তা করবে জয় সম্পর্কে, পুতুল সম্পর্কে। এর কারণ হলো তারেক রহমান সাহেব তো আসলে ২০০১ থেকে সরাসরি রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।

 

তো এখানে ২৫ বছর যাবত তিনি দলটা চালাচ্ছেন তো জয় যদি সেখানে এই দলীয় কোনো কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত না থাকে, কিন্তু হঠাৎ করে যদি জয়কে সভাপতি বা সেক্রেটারি বানানোর চেষ্টা করা হয় তাহলে দলের নেতাকর্মী দলের বাইরের নেতাকর্মীরা কি মনে করতে পারে?

 

এটা বোঝার জন্য আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এই মুহূর্তে তারেক রহমান সাহেব সম্পর্কে যেভাবে চিন্তা করে ওটাকে মানে ওটাকে যদি ধরেন ওটার চেয়ে অন্তর্পক্ষে ১০০% ডাউনে আপনি নিয়ে এসে জয়কে রাখতে পারেন। এ গেল পারিবারিক রাজনীতিতে শেখ পরিবারের যারা একেবারে নিকটজনদের বাস্তব অবস্থা। সেকেন্ড ফেইজে এখানে শেখ হেলাল আছেন, শেখ সেলিম আছেন, অন্যান্য যারা শেখ আছেন তাদের অবস্থা কি এটা তাদের অবস্থা মানে শেখ হাসিনা থাকলেই তারা আছেন, শেখ হাসিনার বাইরে তাপস বলেন, পরশ বলেন, এককভাবে এসে রাজনীতি করবেন, দাঁড়াবেন এটা যেমন সে সাহসও তাদের নেই, শক্তিও তাদের নেই। সে যোগ্যতাও তাদের মধ্যে আছে আমার কাছে মনে হচ্ছে না।

 

তাদের যা কিছু আছে তারা শেখ হাসিনাকে গালাগালি করবে। শেখ হাসিনাকে অপছন্দ করবে। কিন্তু দিনশেষে আবার শেখ হাসিনার সঙ্গে তাদেরকে রাজনীতি করতে হবে। শেখ হাসিনা না থাকলে এরা সবাই শূন্য। আর শেখ হাসিনার পাশে তার যে সংখ্যা দিলেই এরা কেউ ১০ হবে, কেউ ৯০ হয়ে যাবে তাদের যোগ্যতা অনুযায়ী। কিন্তু আদার দেন শেখ হাসিনা এদের সবার মূল্যবান জিরো। একেবারে জির। এই গেল শেখ পরিবার।

 

এখন শেখ হাসিনা দিল্লিতে বসে যে কাজকর্মগুলো করছেন, সেই কাজকর্ম এবং আওয়ামী লীগের যারা নেতৃবৃন্দ রয়েছেন সে যে কাজকর্মগুলো করছেন, এগুলো আমাদের এই বাংলাদেশে আসলে কি ইফেক্ট তৈরি করছে? এখানে মূল ব্যাপার হলো বাইরে থেকে যারা কথাবার্তা বলছেন বেশ কয়েকজনের কথাবার্তা মোটামুটি লোকজন বিশেষ করে তরুণ যারা আছেন দুই একজন তাদের কথাবার্তা লোকজন শুনছে। কিন্তু কোন প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে না। কিন্তু কিছু কথাবার্তা কিছু লোকজনের কথাবার্তা যারা বাংলাদেশে যথেষ্ট বিতর্কিত ছিল। কেউ মন্ত্রী ছিলেন, কেউ এমপি ছিলেন, কেউ দলীয় নেতা ছিলেন। এরা কেউ চাদাবাজি করেছে, কেউ কমিটি বিক্রি করেছে, কেউ টেন্ডারবাজি করেছে, দুর্নীতি করেছে। এবং এরা মানুষের সাথে খারাপ আচরণ করেছে। এখন তারা পালিয়ে গেছে।

 

পালিয়ে গিয়ে তারা ইউটিউ এ কথা বলছে, ফেসবুকে কথা বলছে। এটা খুবই বিরক্তিকর এবং আওয়ামী লীগকে সর্বনাশ করে দিচ্ছে। এই লোকগুলো মুখ যতক্ষণ বন্ধ না করবে ততক্ষণ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের ঘুরে দাঁড়ানোর সম্ভাবনা ক্রমশ কমে যাবে। এইগুলোর মুখ কিভাবে তারা বন্ধ করবে আওয়ামী লীগ এটা তাদের ব্যক্তিগত বিষয়। কিন্তু ওই তারা মুখ খোলার সঙ্গে সঙ্গে সেখান থেকে একটা দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এটা হল বাস্তবতা। আমি কারো নাম বললাম না।

 

দুই নম্বর হল যে শেখ হাসিনাকে নিয়ে এখনো ব্যবসা হচ্ছে। কলকাতাতে যারা পালাচ্ছে, ইংল্যান্ডে যারা পালাচ্ছে, পালিয়ে আছে, আমেরিকাতে যারা পালিয়ে আছে তারা যখনই বাংলাদেশের কোন নেতাকর্মীর সাথে কথা বলছে তারা প্রথমে বলছে যে কিছুক্ষণ আগে শেখ হাসিনার সঙ্গে আমার কথা হলো। অসুবিধা নেই এবং ওখানে বসে তারা এখনো চাঁদাবাজি করছে, এই শেখ হাসিনার নাম ভাঙ্গিয়ে। ফলে শেখ হাসিনাকে ভাঙ্গিয়ে যেভাবে সালমান রহমান যেভাবে ওই এক মজুমদার ছিল এক্সিম ব্যাংকের মজুমদার দাড়ি সাদা ফকফকে দাড়ি। তো এরা যেভাবে শেখ হাসিনাকে ভাঙ্গিয়ে বাংলাদেশকে তচনচ করেছে। আবার শেখ হাসিনা রাজনৈতিক যে সকল সহকর্মী রয়েছেন, যারা বিভিন্ন পদ পদবীতে ছিলেন, কেউ সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন, কেউ যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন। তো তারা আসলে মূলত এরকম বড় মাত্রায় টাউটারি ব্যবসা বাণিজ্য করবে এরকম শক্তি সামর্থ্য বা যোগ্যতা তাদের ছিল না।

তারা যে টাউটারিটা করেছে সেটা হলো কমিটি বিক্রি করে আওয়ামী লীগকে বিক্রি করেছে। চাদাবাজি করেছে, কন্ট্রাক্টারদের কাছ থেকে জোর করে টাকা নিয়েছে। দলীয় নেতাকর্মীদের কাছে টাকা নিয়েছে। এরা খুব টাকা পয়সার মালিক হয়নি। কিন্তু এদের সম্পর্কে মানুষের খুবই বিরক্তি। এদেরকে পেলে আওয়ামী লীগের লোকজনই এদেরকে থাপ্পড় মেরে এদের গালের মানে ৩২টা দাঁত খুলে ফেলার চেষ্টা করবে।

 

এই লোকগুলো এখনো তাদের অপকর্ম বন্ধ রাখেনি। তারা এখনো দলীয় নেতাকর্মীদের কাছে ফোন করছে, বাইরের লোকের কাছে ফোন করছে। টাকা চাচ্ছে এবং সেখানে শেখ হাসিনাকে ব্যবহার করছে, যে এইমাত্র নেত্রীর সাথে কথা হলো। নেত্রী এটা বলেছে, ওইটা বলেছে, তার সাথে বৈঠক হয়েছে। তো আমার কাছে মনে হচ্ছে যে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা, তাকে যদি রিফাইন্ড হতে হয়, তাকে যদি তার নেতাকর্মীদের কাছে, আম জনতার কাছে আবার এগিয়ে আসতে হয়, তাহলে এই যে তার আশেপাশে যে রাহুগুলো তাকে শেষ করে দিয়েছে, বাংলাদেশে সেই রাহুগুলো আবার তাকে নতুন করে বিক্রি করা শুরু করেছে।

 

তিনি যদি সেই রাহু মুক্ত না হতে পারেন, তাহলে তার কাছ থেকে আসলে নতুন করে কোনো কিছু আশা করা যায় না। এবং তিনিও আশা করতে পারেন না। ফলে তাকে তার এই যে সেটগুলো পরিবর্তন করতে হবে। এবং তিনি যদি তার নিজের লোকদেরকে চিনতে না পারেন, এত বড় বিপর্যয়ের পরে তাকে যদি আবার সেই বদমাইশদের সাথে কথা বলতে হবে, তাদের সাথে বৈঠক করতে হবে, তাদের মাধ্যমেই তার বাণী মানে শেখ হাসিনার বাণী জনগণের কাছে পৌঁছায় দিতে হবে, তাহলে তো এই দলের ভবিষ্যৎ কি হতে পারে এটা বলার জন্য খুব বেশি জ্ঞান বুধি থাকার দরকার আছে বলে আমি মনে করি না। মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে হেদায়েত দান করুন এবং হেফাজত করুন।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Design & Developed BY ThemesBazar.Com