এস.এম. সাইফুল ইসলাম কবির, বাগেরহাট: বিশ্বের সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল মৎস্যভান্ডার নামে খ্যাতবিশ্ব ঐতিহ্য উপকূলের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার বড়বাড়িয়া ইউনিয়নের মাছুয়ারকুল বিলে মাছের ঘেরপাড়ে একইসাথে ঝুলান্ত তরমুজ আবাদ। অসময়ের তরমুজে বেশি মুল্য পেয়ে এখানকার কৃষকের মুখে ফুঁটছে হাঁসির ঝিলিক। একদিকে মৎস্যচাষ অপরদিকে তরমুজ বিক্রি করা বাড়তি অর্থ ঘরেতুলে এখানকার কৃষকরা তরমুজ চাষে ঝুঁকছেন।
মাছুয়ার কুল গ্রামের হরেন বাইন এর ছেলে নিতাই বাইন (৪০) জানান, গত বছর তিনি তার ৮ বিঘার মৎস্য ঘের পাড়ে নাইলনের নেটের উপর ঝুঁলন্ত পদ্ধতিতে ১৫শ’ উন্নতজাতের তরমুজের চারা লাগিয়ে ছিলেন। এতে প্রায় একলাখ টাকার মত খরচ হয়ে ছিলো। সেখানে তরমুজের উৎপাদন হয়ে ছিলো ১৯০মন। বাজার দরে তিনি ওই তরমুজের মুনফা পেয়ে ছিলেন প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। চলতি মৌসুমে তিনি তরমুজ চাষে উক্ত পরিমান টাকা মুনফা পাবেন বলে আশা করছেন।
মাছুয়ার কুল গ্রামের রমেশ তরফদার এর ছেলে রঞ্জিৎ তরফদার (৪৬) জানান, ঘের পাড়ে তরমুজ চাষে ৭৫ হাজার টাকা খরচ করে প্রায় দেড় লাখ টাকা মুনফা পেয়েছেন।
একই গ্রামের ঘের মালিক নিবাস বাইনসহ কয়েকজন তরমুজ চাষী বলেন, মাছুয়ার কুল বিলের বিভিন্ন ঘেরপাড়ে ব্লাকহর্সসহ বিভিন্ন জাতের তরমুজ আবাদ করা হচ্ছে। তরমুজের গুণাগত মান অনেক ভালো হওয়ায় প্রতিটি তরমুজের ওজন ৫ থেকে ১০ কেজির উপরে দাঁড়িয়েছে। প্রতিবিঘা জমিতে খরচ বাদে ৭০ থেকে ৭৫ হাজার টাকা মুনফা আসছে বলে তারা বলেন। বিলের পাশেই পাকা সড়ক, বিল থেকে নৌকায় করে আনামাত্রই ট্রাকযোগে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় তা রপ্তানি করা হয়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা (কৃষিবিদ) সিফাত আল মারুফ জানান মৎস্যঘের পাড়ে তরমুজ আবাদ করার ক্ষেত্রে কৃষকের অফ-সিজনাল একটি বাড়তি আয়। চিতলমারী উপজেলায় প্রায় ২০ হেক্টর জমির মৎস্যঘের পাড়ে আফ-সিজনাল তরমুজের চাষ হয়েছে এবং তা ক্রমেই বাড়ছে।