সংগৃহীত ছবি
অনলাইন ডেস্ক : সব দলের সঙ্গে আলোচনা না করে নির্বাচন দিলে সেটা গ্রহণযোগ্য হবে না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন।
রোববার (২৭ জুলাই) সন্ধ্যায় জাতীয় রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকের বিরতিতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, এর আগে লন্ডনে বসে যখন একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছিল, আমরা তার প্রতিবাদ করেছি। যদি সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা না করে সরকার নির্বাচনের দিকে অগ্রসর হয়, সেটা যে গ্রহণযোগ্য হবে না, সেটা বলার অবকাশ রাখে না।
আখতার বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো যারা ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে, যারা বাংলাদেশের মানুষের প্রতিনিধিত্ব করছে, এই ফ্যাসিবাদবিরোধী পক্ষগুলোর সঙ্গে আলোচনা ছাড়াইযদি সরকার নির্বাচনের মতো বিষয়কে খোলাসা করতে শুরু করে, এটাকে যদি সুনির্দিষ্ট করতে শুরু করে, তাহলে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার বিষয়টি আমরা পুনর্বিবেচনা করবো।
তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন হতে পারে এ রকম একটা টাইমলাইন অনেক আগেই বলেছেন। আমরা মনে করি এই টাইমলাইনের মধ্যেই বিচার-সংস্কার দৃশ্যমান পর্যায়ে উন্নীত করা সম্ভব। একই সঙ্গে জুলাই ঘোষণাপত্র এবং জুলাই সনদ সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর সদিচ্ছার মধ্যদিয়ে বাস্তবায়ন করা সম্ভব। সেই সময়ের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন হতে পারে।
এনসিপির সদস্য সচিব আরও বলেন, সরকার যদি একটি দলের সঙ্গে আলোচনা করে বা একদলের সঙ্গে কথাবার্তা বলে নির্বাচনের সময়সীমা ঘোষণা করে তাহলে বাংলাদেশের বাকি ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না।
তিনি বলেন, আমরা মনে করি নির্বাচনের আগে বিচার-সংস্কারকে দৃশ্যমান পর্যায়ে উন্নীত করা, জুলাই সনদ, জুলাই ঘোষণাপত্র প্রণয়ন করা, নির্বাচনের জন্য মাঠ প্রশাসনের নিরপেক্ষতা এবং একই সঙ্গে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করার মধ্যদিয়ে নির্বাচনের ঘোষণার দিকে যেতে হবে। অবশ্যই জুলাই সনদ এবং জুলাই ঘোষণাপত্র বাস্তবায়নের পর নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা যেতে পারে।
আখতার হোসেন বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো যদি দলীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে সামগ্রিক রাষ্ট্রীয় স্বার্থ এবং বাংলাদেশের জনগণের পক্ষে যায় এ রকম সুপারিশে আমরা একমত হতে পারি তাহলে জুলাইয়ের মধ্যে জুলাই সনদ প্রণয়ন করা সম্ভব। সেক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলোর সদিচ্ছা সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখবে বলে আমরা মনে করি।