আজ বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস

বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস আজ। যক্ষ্মা রোগের জীবাণু আবিষ্কারের ১০০ বছর পর দিনটি স্মরণে ও যক্ষ্মা রোগের চিকিৎসা সম্পর্কে গণসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে প্রতি বছর ২৪ মার্চ দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।

 

এবছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘বিনিয়োগ করি যক্ষ্মা নির্মূলে, জীবন বাঁচাই সবাই মিলে’। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও পালিত হচ্ছে বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস।  সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

 

জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দেশে যক্ষ্মার লক্ষণ বা উপসর্গ রয়েছে এমন ২৮ লাখের বেশি মানুষ শনাক্ত হয়েছে। ২০১০ সালে বাংলাদেশে যক্ষ্মা রোগীর আনুমানিক মৃত্যু ছিল প্রতি লাখে ৫৪ জন। ২০২০ সালে এই সংখ্যা কমে ২৭ জনে নেমেছে। চিকিৎসায় নিরাময়ের হার গত ১০ বছরে ৯৫ শতাংশের বেশি। ২০২১ সালে এই হার ছিল ৯৫ দশমিক ২৮ শতাংশ।

এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (এমবিডিসি) ডা. হাসান ইমাম বলেন, শনাক্ত বেড়েছে তার মানে এই নয় যে দেশে যক্ষ্মা রোগী বেড়েছে। মূলত কোভিড-১৯ মহামারির শুরুর দিকে অন্যান্য রোগের মতো যক্ষ্মা শনাক্তকরণ কর্মসূচির কার্যক্রম কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়ে। তবে কোভিড পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রনে আসায় শনাক্তকরণে জোর দেওয়া হয়। এছাড়া গ্লোবাল ফান্ডের সহযোগীতায় আগের তুলনায় আমাদের যক্ষ্মা শনাক্তের সক্ষমতাও বেড়েছে। বিশেষ করে জিন এক্সপার্টের মতো অত্যাধুনিক মেশিনের সহযোগীতায় বিপুল রোগী শনাক্তকরণ সম্ভব হয়েছে।

 

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বের যে ৩০টি দেশে যক্ষ্মা রোগী সর্বাধিক তার মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান। ১৯৯৩ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যক্ষ্মাকে গ্লোবাল ইমার্জেন্সি ঘোষণা করে। এরপর থেকেই বাংলাদেশ সরকার ও কিছু বেসরকারি সংস্থা যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। ২০১৫ সালের পর বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা যক্ষ্মাকে মহামারি হিসাবে উল্লেখ করে নতুন কর্মকৌশল অনুমোদন করে। যেখানে বলা হয়, ২০৩৫ সালের মধ্যে বিশ্ব থেকে যক্ষ্মা রোগে মৃত্যুহার ৯৫ শতাংশ কমিয়ে আনতে হবে। একই সঙ্গে যক্ষ্মায় আক্রান্তের হার ৯০ শতাংশ কমিয়ে আনতে হবে।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র করছে ভারত: নীরব

» খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে

» ভিডিও বার্তায় মইন ইউ আহমেদ মুন্নি সাহার লাইভ বিডিআর বিদ্রোহ ছড়িয়ে দিতে সাহায্য করেছে

» ক্ষমতায় গেলে দেশের সকল ফরম থেকে ধর্মালম্বী অপশন তুলে দেওয়া হবে—- ড. মঈন খান

» পলাশে হামলা ভাংচুরের পর বন্ধ হয়ে গেল জনতা জুটমিল, কর্মহীন হয়ে পড়েছে ৭ হাজার শ্রমিক

» বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনে তিন মাসের নিষেধাজ্ঞার এক সপ্তাহ পরেও যে কারণে পর্যটক নেই

» হাতীবান্ধা রিপোর্টার্স ক্লাবের কমিটি গঠন সভাপতি মোস্তফা সম্পাদক রহিম

» ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ইসলামপুর উপজেলা কার্যালয় উদ্বোধন

» এক্সিম ব্যাংকে ডাকাতি চেষ্টার অভিযোগে ১০ জন আটক

» ‘লুকিয়ে রাখা’ পুতিনের দুই ছেলের তথ্য ফাঁস!

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

আজ বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস

বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস আজ। যক্ষ্মা রোগের জীবাণু আবিষ্কারের ১০০ বছর পর দিনটি স্মরণে ও যক্ষ্মা রোগের চিকিৎসা সম্পর্কে গণসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে প্রতি বছর ২৪ মার্চ দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।

 

এবছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘বিনিয়োগ করি যক্ষ্মা নির্মূলে, জীবন বাঁচাই সবাই মিলে’। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও পালিত হচ্ছে বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস।  সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

 

জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দেশে যক্ষ্মার লক্ষণ বা উপসর্গ রয়েছে এমন ২৮ লাখের বেশি মানুষ শনাক্ত হয়েছে। ২০১০ সালে বাংলাদেশে যক্ষ্মা রোগীর আনুমানিক মৃত্যু ছিল প্রতি লাখে ৫৪ জন। ২০২০ সালে এই সংখ্যা কমে ২৭ জনে নেমেছে। চিকিৎসায় নিরাময়ের হার গত ১০ বছরে ৯৫ শতাংশের বেশি। ২০২১ সালে এই হার ছিল ৯৫ দশমিক ২৮ শতাংশ।

এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (এমবিডিসি) ডা. হাসান ইমাম বলেন, শনাক্ত বেড়েছে তার মানে এই নয় যে দেশে যক্ষ্মা রোগী বেড়েছে। মূলত কোভিড-১৯ মহামারির শুরুর দিকে অন্যান্য রোগের মতো যক্ষ্মা শনাক্তকরণ কর্মসূচির কার্যক্রম কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়ে। তবে কোভিড পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রনে আসায় শনাক্তকরণে জোর দেওয়া হয়। এছাড়া গ্লোবাল ফান্ডের সহযোগীতায় আগের তুলনায় আমাদের যক্ষ্মা শনাক্তের সক্ষমতাও বেড়েছে। বিশেষ করে জিন এক্সপার্টের মতো অত্যাধুনিক মেশিনের সহযোগীতায় বিপুল রোগী শনাক্তকরণ সম্ভব হয়েছে।

 

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বের যে ৩০টি দেশে যক্ষ্মা রোগী সর্বাধিক তার মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান। ১৯৯৩ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যক্ষ্মাকে গ্লোবাল ইমার্জেন্সি ঘোষণা করে। এরপর থেকেই বাংলাদেশ সরকার ও কিছু বেসরকারি সংস্থা যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। ২০১৫ সালের পর বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা যক্ষ্মাকে মহামারি হিসাবে উল্লেখ করে নতুন কর্মকৌশল অনুমোদন করে। যেখানে বলা হয়, ২০৩৫ সালের মধ্যে বিশ্ব থেকে যক্ষ্মা রোগে মৃত্যুহার ৯৫ শতাংশ কমিয়ে আনতে হবে। একই সঙ্গে যক্ষ্মায় আক্রান্তের হার ৯০ শতাংশ কমিয়ে আনতে হবে।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com