সংগৃহীত ছবি
অনলাইন ডেস্ক : উত্তরায় মাইলস্টোন কলেজ ক্যাম্পাসে বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় এখন পর্যন্ত (বিকেল ৪টা) তিন জন নিহত হওয়ার তথ্য জানা গেছে। এরমধ্যে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মরদেহ দুটি রয়েছে। এ ঘটনায় নারী ও শিশুসহ অন্তত ৫০ জনের বেশি দগ্ধ হয়েছেন। এদের মধ্যে বেশির ভাগই শিক্ষার্থী।
মৃতদের মধ্যে, একজনের নাম মো. তানভীর আহমেদ (অষ্টম শ্রেণি-ইংলিশ ভার্সন), অপরজনের নাম জুনায়েদ (তৃতীয় শ্রেণি)।
সোমবার (২১ জুলাই) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের বিভাগীয় প্রধান ডা. বিধান সরকার। তিনি জানান, আমাদের এখানে জুনায়েদ হাসান নামে তৃতীয় শ্রেণির এক শিক্ষার্থী মারা গেছেন। আমাদের এখানে এখন পর্যন্ত নারী শিশু সহ চারজন এসেছে। দগ্ধরা হলেন, রাইয়ান (১৪), জারিফ (১২) ও সবুজা বেগম (৪০)।
অন্যদিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন শাওন বিন রহমান বলেন, উত্তরায় একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় দগ্ধ হয়ে নারী ও শিশুসহ অন্তত ৫০ জন জরুরি বিভাগে এসেছে। তাদের মধ্যে বেশিরভাগই শিক্ষার্থী। তাদের সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক। আমরা আপাতত প্রাথমিক চিকিৎসা দিচ্ছি।
দুপুর আড়াইটার পর থেকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে তাদের নিয়ে আসা শুরু হয়।
দুপুর দেড়টার দিকে রাজধানীর উত্তরায় বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমানটি মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে বিধ্বস্ত হয়েছে। বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পর মাইলস্টোন স্কুলের ভবনটিতে আগুন ধরে যায়। ভবনটির নাম হায়দার হল বলে জানা গেছে।
ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় অন্তত একজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে। এছাড়া আহত চারজনকে বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টারে করে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) নেওয়া হয়েছে।
আইএসপিআরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর এফ-৭ বিজিআই প্রশিক্ষণ বিমান উত্তরায় বিধ্বস্ত হয়।
উত্তরায় প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তে ঘটনায় উদ্ধার তৎপরতা ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় এবং উদ্ধার কাজে সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ ও র্যাবের মোতায়েন করা হয়েছে।