সংগৃহীত ছবি
অনলাইন ডেস্ক : বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় প্রকাশনা ও সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক সাদিক কায়েম বলেছেন, ‘কেউ যদি দাসত্বের রাজনীতি ফিরিয়ে আনতে চায়, খুনি হাসিনা ও ছাত্রলীগের যে পরিণতি হয়েছিল, তার চেয়েও খারাপ পরিণতি হবে তাদের।
তিনি বলেন, ‘আমি সারাদেশের ছাত্র-জনতার কাছে আহ্বান জানাব, পাড়ায়-মহল্লায় সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলুন। ছাত্রশিবির আপনাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।’
শনিবার (১২ জুলাই) সকাল ১১টায় মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
সারাদেশে চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখা ছাত্রশিবির এই বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করে। মিছিলটি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে তাঁতিবাজার মোড় অতিক্রম করে মিটফোর্ড হাসপাতালে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
সাদিক কায়েম বলেন, ‘জুলাই বিপ্লবের পর আমরা যখন শহীদদের বৈষম্যহীন ও ইনসাফভিত্তিক বাংলাদেশের আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন করতে চাচ্ছিলাম, তখন যারা নিজেদের প্রকাশ্য দল হিসেবে দাবি করে, আমরা তাদেরকে সারাদেশে প্রকাশ্যে সন্ত্রাসী কার্যক্রম করতে দেখেছি। প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি করতে দেখেছি, প্রকাশ্যে গণধর্ষণ করতে দেখেছি, প্রকাশ্যে আইয়ামে জাহেলিয়াতের মতো পাথর দিয়ে আমাদের ভাইদের হত্যা করতে দেখেছি।
তিনি আরও বলেন, ‘২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর হাসিনার আওয়ামী লীগ ও লাল সন্ত্রাসীরা আমাদের ভাইদেরকে দিনে দুপুরে হত্যা করেছিল। বর্তমানে একটা প্রকাশ্য দল পাথর দিয়ে মানুষ হত্যা করে ক্ষমতার স্বাদ আচ্ছাদন করার চেষ্টা করছে। জুলাইয়ের প্রজন্ম বেঁচে থাকতে আমরা তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন হতে দেব না।’
কেন্দ্রীয় অফিস সম্পাদক সিবগাতুল্লাহ সিবগা বলেন, ‘মিটফোর্ডে আমার ভাইকে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা আমাদেরকে আতঙ্কগ্রস্থ করতে চাচ্ছে। তারা সারাদেশের গ্রামে-গঞ্জ, বাজার-ঘাট, দোকান-পাট কোনো একটি প্রতিষ্ঠান বাকি রাখেনি, যেখানে চাঁদাবাজি করেনি। বাংলাদেশের জনগণ ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে যেভাবে বিতাড়িত করেছে, চাঁদাবাজদেরও একইভাবে বিতাড়িত করবে।
কেন্দ্রীয় ছাত্র অধিকার বিষয়ক সম্পাদক আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘ক্ষমতা পাওয়ার আগেই একটি দল চাঁদাবাজি, খুন, ধর্ষণ শুরু করেছে। তারা ক্ষমতায় গিয়ে দেশের মানুষকে নিরাপত্তা দেওয়ার কথা বলে, অথচ তারা নিজের দলের লোককেই নিরাপত্তা দিতে পারে না। দেশের মানুষ খুনি-ধর্ষক-চাঁদাবাজদের ক্ষমতায় দেখতে চায় না।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘জুলাই বিপ্লবে আওয়ামী জাহিলিয়াতের কবর রচিত হয়েছে। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি, নতুন করে জাতীয়তাবাদী জাহেলিয়াতের আবির্ভাব ঘটছে। চব্বিশের ছাত্র-জনতা এখনো সজাগ রয়েছে। আপনারা সন্ত্রাসীদের লাগাম টেনে ধরতে না পারলে ছাত্র-জনতা রাজপথে নেমে আপনাদের প্রতিহত করবে।
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখা আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মো. রিয়াজুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর পূর্ব শাখা সভাপতি আসিফ আব্দুল্লাহসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।