সংগৃহীত ছবি
অনলাইন ডেস্ক : তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও প্রথিতযশা আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদের ২২তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০০৩ সালের আজকের দিনে (১২ জুলাই) ‘জাতির অভিভাবক’ খ্যাত এই আইনজীবী মৃত্যুবরণ করেন। বর্ণাঢ্য কর্মজীবনে সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদ দেশের আইন জগতে অসামান্য অবদান রাখা ছাড়াও অ্যাটর্নি জেনারেলের দায়িত্ব পালন এবং ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করেন।
সৈয়দ ইশতিয়াক ১৯৩২ সালের ১৮ জানুয়ারি অবিভক্ত ব্রিটিশ ভারতের যুক্ত প্রদেশের গাজীপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা সৈয়দ জাফর আহমেদ দিনাজপুরের (পশ্চিমবঙ্গ) হিলির জমিদার ও ব্যবসায়ী ছিলেন। ইশতিয়াক আহমেদের একমাত্র পুত্র সৈয়দ রেফাত আহমেদ বর্তমানে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি।
ইশতিয়াক হিলির রামনাথ ইংরেজি হাইস্কুলে ও পরে কলকাতা মাদ্রাসায় প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণের পর ১৯৪৭ সালে দেশবিভাগের পর পরিবারের সাথে পূর্ব বাংলায় চলে আসেন ও ১৯৪৮ সালে ময়মনসিংহ জিলা স্কুল থেকে ম্যাট্রিক, ১৯৫০ সালে ঢাকা কলেজ থেকে আইএ, ১৯৫৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক (সম্মান) এবং ১৯৫৪ সালে এম.এ. ডিগ্রী অর্জন করেন। পরবর্তীতে তিনি উচ্চশিক্ষার্থে বৃটেন যান এবং ১৯৫৮ সালে সেখানকার লিংকনস ইন থেকে বার-এট-ল এবং লন্ডন স্কুল অব ইকনমিকস্ থেকে অর্থনীতিতে এম.এসসি. ডিগ্রী লাভ করেন।
১৯৬০ সাল থেকে আমৃত্যু আইন পেশায় নিয়োজিত থাকা ব্যারিস্টার ইশতিয়াক ১৯৬১ সাল থেকে ১৯৬৮ সাল পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন শাস্ত্রের খন্ডকালীন অধ্যাপক, ১৯৭২ সালে অতিরিক্ত এটর্নি জেনারেল এবং ১৯৭৬ সাল থেকে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের তৃতীয় এটর্নি জেনারেল ছিলেন। তিনি দুটি যুগান্তকারী সাংবিধানিক আইন মামলার প্রধান আইনজীবী ছিলেন। মামলা দুটি হচ্ছে সংবিধানের অষ্টম সংশোধনী মামলা ও বিচার বিভাগ পৃথককরণ সংক্রান্ত মাসদার হোসেন মামলা।
সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদ ১৯৫৫ সালের জুনে সুফিয়া আহমেদের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। সুফিয়া আহমেদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক এবং বাংলাদেশের প্রথম নারী জাতীয় অধ্যাপক। ইশতিয়াক আহমেদ দম্পতির দুই সন্তানের মধ্যে সৈয়দ রেফাত আহমেদ বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি। আর কন্যা রাইনা আহমেদ একজন চিকিৎসক।