সংগৃহীত ছবি
অনলাইন ডেস্ক : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেছেন, জামায়াত কখনোই চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী বা দখলবাজদের সঙ্গে জোট গঠন করবে না। বরং সৎ, দক্ষ, নৈতিক ও আদর্শবান নেতৃত্বের সঙ্গেই জোট গড়ার লক্ষ্য জামায়াতের। এই ধরনের নেতৃত্বের মাধ্যমে দেশকে একটি কল্যাণমূলক, নিরাপদ রাষ্ট্রে পরিণত করাই জামায়াতে ইসলামী’র মূল লক্ষ্য।
শুক্রবার (১১ জুলাই) বিকেলে ডেমরা অঞ্চলের উদ্যোগে আয়োজিত প্রচার মিছিল পরবর্তী সংক্ষিপ্ত পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আসন্ন ১৯ জুলাই ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় সমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
ড. মাসুদ বলেন, যারা নিজের দলের নেতাকর্মীদের নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ, তারা রাষ্ট্র পরিচালনাতেও ব্যর্থ হবে। একটি দলে যদি নেতা-নেতা বা কর্মী-কর্মীর মধ্যে নিরাপত্তাহীনতা থাকে, সে দল জাতির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারবে না।
তিনি মিটফোর্ডের সাম্প্রতিক হত্যাকাণ্ডের প্রসঙ্গ তুলে বলেন, এই হত্যাকাণ্ড গণঅভ্যুত্থানের উদ্দেশ্য নয়। এটি ছিল চাঁদাবাজি নিয়ে নিজেদের ভেতরের সংঘাত। আওয়ামী লীগের ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবরের লগি-বইঠার ঘটনা স্মরণ করিয়ে তিনি বলেন, এখন আরও ভয়াবহ কায়দায় মানুষ হত্যা চালানো হচ্ছে। সারা দেশে টেন্ডারবাজি, সন্ত্রাস ও দখলদারিত্বের মাধ্যমে নৈরাজ্য সৃষ্টি করা হয়েছে। আগামী নির্বাচনে জনগণ এর জবাব দেবে বলে তিনি আশাবাদ প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামীর স্পষ্ট অবস্থান হলো—নির্বাচনের আগে গণহত্যার বিচার, মৌলিক সংস্কার, জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্র বাস্তবায়ন, পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন, প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিতকরণ ও লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে হবে। তাহলেই একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হবে।
তিনি আরও জানান, জামায়াত দলীয় প্রতীক, নিবন্ধন বা শীর্ষ নেতার মুক্তির দাবিতে সভা না করলেও বরাবরই রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সহযোগিতা করেছে। জনগণের দাবির প্রশ্নে দলটি সবসময় আপোষহীন। তাই ৭ দফা বাস্তবায়ন করেই একটি নতুন বাংলাদেশ গড়া সম্ভব হবে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য ও ডেমরা জোন পরিচালক অধ্যাপক মোকাররম হোসাইন খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন মহানগরের সহকারী সেক্রেটারি ও ঢাকা-৫ আসনে সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মোহাম্মদ কামাল হোসেন।
এছাড়া বক্তব্য দেন—
* মোহাম্মদ আলী (ডেমরা মধ্য থানা আমীর ও ৬৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী)
* মেছবাহ উদ্দীন মীর্জা হেলাল (ডেমরা দক্ষিণ থানা আমীর ও ৬৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী)
* ইঞ্জিনিয়ার তমিজ উদ্দীন সোহরাওয়ার্দী (ডেমরা পূর্ব থানা সেক্রেটারি ও ৬৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী)
* হাফেজ ইসমাইল আদনান (ডেমরা পশ্চিম থানা সেক্রেটারি ও ৬৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী)
* ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার কামারাম মুনীর ফুয়াদ (ডেমরা পশ্চিম থানা সেক্রেটারি ও ৭০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী)
সভা পরিচালনা করেন ডেমরা উত্তর থানা আমীর মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন ডেমরা পূর্ব থানা আমীর কে এম মোজাফফর হোসাইন, ডেমরা পশ্চিম থানা আমীর মাওলানা মুহা. দেলোয়ার হোসাইন, ছাত্রশিবির ডেমরা থানা সভাপতি মো. হাসনাইন, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন ও পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দসহ আরও অনেকে।