সংগৃহীত ছবি
অনলাইন ডেস্ক : গণমাধ্যম নিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাদের কথা বলার কোনো অধিকার নেই বলে মন্তব্য করেছেন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মোস্তফা ফিরোজ। তিনি বলেছেন, ‘গণমাধ্যম নিয়ে তাদের (এনসিপি নেতাদের) কথা বলার আসলে কোনো অধিকার নেই। বিগত সরকারের সময় গণমাধ্যমকে একটা পঙ্গু প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা হয়েছে। গণমাধ্যম শক্তিশালীভাবে দাঁড়াবে, নিজেদের মতো কথা বলবে সেই বিধিবিধান কি আছে? নির্দেশনা আছে? তারা যদি গণমাধ্যমকে স্বাধীন করতে চাইতো, তাহলে প্রথমদিন এসেই, প্রথম দফাতেই গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতো।’
সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের একটি টক শো অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। সাংবাদিক মোস্তফা ফিরোজ বলেন, ‘তারা (এনসিপি নেতারা) ভাবেন সমস্ত গণমাধ্যম যেন তাদের হাইলাইট করে। তারা এখনো ওই জুলাই-আগস্টের আন্দোলনের মধ্যে আছে। এর মধ্যে অনেক কিছু পরিবর্তন হয়ে গেছে, তারা তা বুঝতে পারছে না।
তারা গণমাধ্যমকে যদি স্বাধীন করতে চাইতো, তাহলে প্রথমদিন এসে, প্রথম দফাতেই গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতো। এখন যাদের ফ্যাসিবাদের দোসর বলা হয়, যারা সত্যিকার অর্থে গত ১৫ বছরে দোসর ছিলেন, তখন তারাই বলতো রাজাকার-আল বদরের দোসর বা রাজাকারের শাবক। আমরা যারা সমালোচনা করতাম, আমাদের বলা হতো বিএনপি-জামায়াতের দোসর বা রাজাকারের শাবক। সেই শাবকরা তখন নিয়মিতভাবে টক শোতে আসতে পেরেছে।’
মবের ভয়ে টেলিভিশনের মালিকরা ভিন্নমতের কাউকে টক শোতে ডাকার সাহস পায় না বলে অভিযোগ করেন তিনি। বলেন, ‘এখন যাদের ফ্যাসিবাদের দোসর বলা হয়, যারা ভিন্ন মতের, তারা কেন টক শোতে আসতে পারে না? কারণ টেলিভিশনের মালিকদের তাদের ডাকার মতো সাহস নেই। কারণ একটা দুর্বল ভিত্তির ওপর তারা দাঁড়িয়ে আছে। তারা যেকোনো সময়, যেকোনো মুহূর্তে মবের শিকার হতে পারেন— এ ভয় তাদের মধ্যে কাজ করে। ৫ আগস্টের পর কি এমন কোনো প্রতিষ্ঠান আছে, যারা মবের শিকার হয়নি? এখন আপনি গণমাধ্যমকে স্বাধীন করতে চান, তাহলে তাদের স্বাধীনভাবে চলার সুযোগ দিতে হবে।
গণমাধ্যমের জন্য যথাযথ আইন-কানুন করেন, বিধি-বিধান করেন। আপনি কিছুই করেননি। এখন গণমাধ্যমের স্বাধীনতা দেবেন না, কিন্তু দোষারোপ করবেন। তাই বলছি তাদের (গণমাধ্যমের) দোষারোপ বা দায়ী করার কোনো অধিকার আপনার নেই।