চীন-ভারতসহ ব্রিকস সদস্যদের ওপর অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি

সংগৃহীত ছবি

 

অনলাইন ডেস্ক : ‘যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী নীতি’ অনুসরণ করার অভিযোগে চীন ও ভারতসহ ব্রিকস সদস্যদের ওপর অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

 

ব্রাজিলের রিও ডি জেনেইরোতে অনুষ্ঠিত ব্রিকস সম্মেলনের শেষ দিনটিকে উত্তপ্ত করে তুলেছেন তিনি।

সোমবার (৭ জুলাই) কাতার ভিত্তিক গণমাধ্যম আল-জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বের দ্রুততম বিকাশমান অর্থনীতির দেশগুলোর সমন্বয়ে গঠিত ১১ জাতির এই জোটটি ট্রাম্পের ‘অবিবেচক’, ক্ষতিকর ও আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী শুল্ক বৃদ্ধির বিরুদ্ধে এক বিবৃতিতে সতর্ক করার পর রবিবার (৬ জুলাই) রাতে ডোনাল্ড ট্রাম্প এ হুমকি দেন।

 

ট্রাম্প সামাজিক মাধ্যমে লেখেন,  ‘যে কোনো দেশ, যারা ব্রিকসের যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী নীতির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করবে, তাদের ওপর অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে।’

 

ব্রিকস জোট বর্তমানে বিশ্বের প্রায় অর্ধেক জনসংখ্যা ও ৪০ শতাংশ বৈশ্বিক উৎপাদন প্রতিনিধিত্ব করে।

 

চীন, রাশিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা ট্রাম্পের এই হুমকিকে গুরুত্ব না দিয়ে জানান, তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সংঘাত চায় না। তবে আয়োজক দেশ ব্রাজিলের বামপন্থী প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা এই বিষয়ে ছিলেন আরও সোচ্চার।

 

লুলা বলেন, ‘আমরা স্বাধীন দেশ। আমরা কোনো সম্রাট চাই না।’

 

দুই দশক আগে উদীয়মান অর্থনীতির একটি ফোরাম হিসেবে যাত্রা শুরু করা ব্রিকস এখন অনেকের চোখে চীনের নেতৃত্বে গঠিত এমন একটি প্ল্যাটফর্ম, যার লক্ষ্য বিশ্ব রাজনীতিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব সীমিত করা।

 

এই জোটে এখন এমন দেশ রয়েছে যারা যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র (যেমন সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত), আবার এতে আছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিদ্বন্দ্বী ইরান ও রাশিয়াও। তবে অনেক মিত্র দেশ সম্মেলনের বিবৃতিতে ট্রাম্প বা যুক্তরাষ্ট্রের নাম উল্লেখ না করেই সমালোচনা করার চেষ্টা করেছে।

 

সৌদি আরব, যারা যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ প্রযুক্তির অস্ত্রের অন্যতম বৃহৎ ক্রেতা, তারা এমনকি রবিবারের আলোচনায় তাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে পাঠায়নি এবং সম্মেলনের যৌথ ছবিতেও অংশ নেয়নি।

 

ধারণা করা হচ্ছে, ওয়াশিংটনের অসন্তোষ এড়াতেই এমন কূটনৈতিক কৌশল নেওয়া হয়েছে। তবে ট্রাম্প এতে কর্ণপাত না করে সাফ জানিয়ে দেন, ‘এই নীতির কোনো ব্যতিক্রম থাকবে না।’

 

এপ্রিল মাসে, ট্রাম্প অনেক দেশের ওপর ধারাবাহিক শাস্তিমূলক শুল্ক আরোপের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। কিন্তু তীব্র বাজার পতনের কারণে তিনি সেই পরিকল্পনা স্থগিত করেন।

 

এখন তিনি হুমকি দিচ্ছেন যে, যদি তার বাণিজ্য অংশীদাররা ১ আগস্টের মধ্যে ‘চুক্তি’ করতে না পারে, তাহলে একতরফা শুল্ক আরোপ করবেন তিনি আর এতে ব্রিকস দেশগুলোর ক্ষেত্রে শুল্কের হার হতে পারে আরও বেশি।

 

বিশ্লেষকরা বলছেন, সদস্য দেশ ইরানের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে ব্রিকস নেতাদের সাম্প্রতিক মার্কিন ও ইসরায়েলের ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় বোমাবর্ষণের নিন্দা প্রকাশ করায় পরিস্থিতিকে আরও জটিল করতে বাধ্য করেছে।

 

এ বিষয়ে সোমবার চীন জানিয়েছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সংঘাতে জড়াতে চায় না। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং বলেন, ‘বাণিজ্য যুদ্ধের কোনো বিজয়ী নেই, সুরক্ষা বাণিজ্যবাদ কোনো সমাধান নয়।’

 

বেইজিং ব্লকটিকে ‘উদীয়মান বাজার এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম’ হিসেবেও রক্ষা করেছে।

 

মাও আরও বলেন, এটি খোলামেলা, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও পরস্পরের উপকারে ভিত্তি করে সহযোগিতার পক্ষে কাজ করে।

 

তিনি আরও বলেন, ‘ব্রিকস কোনো গোষ্ঠীগত সংঘাতে বিশ্বাস করে না এবং এটি কোনো নির্দিষ্ট দেশের বিরুদ্ধেও নয়।

 

এদিকে, ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ রাশিয়ার গণমাধ্যমকে জানান, ‘ব্রিকসের সহযোগিতা কখনোই তৃতীয় কোনো দেশের বিরুদ্ধে ছিল না এবং হবেও না।’

 

এবারের সম্মেলনে বড় নেতাদের অনুপস্থিতি এর রাজনৈতিক গুরুত্বকে অনেকটাই ম্লান করে দিয়েছে।

 

চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং ১২ বছরে এই প্রথম এ সম্মেলনে অংশ গ্রহণ করেননি। ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ থাকায় তিনি সম্মেলনে সরাসরি অংশ না নিয়ে ভিডিও লিংকের মাধ্যমে যুক্ত হন। তিনি তার ব্রিকস অংশীদারদের বলেন, ব্রিকস এখন বৈশ্বিক শাসন কাঠামোয় গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

সূত্র : আল-জাজিরা ও এএফপি।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» প্রতীক তালিকায় থাকছে না শাপলা, ইসির নীতিগত সিদ্ধান্ত

» গুলি চালানোর নির্দেশের কল রেকর্ড বিবিসি উদ্ধার করেনি, এটা ট্রেলার মাত্র: তাজুল ইসলাম

» বিএসএফের গুলিতে নিহত ইব্রাহীমের বাড়িতে নাহিদ-সারজিস

» বিএসএফ খুনি বাহিনীতে পরিণত হয়েছে : এনসিপির আহ্বায়ক

» গণমাধ্যম সংস্কারের লক্ষ্যে সরকার উদ্যোগ নিয়েছে : তথ্য উপদেষ্টা

» ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে অতীতের মতো রেজাল্ট দেয়া হবে না: শিক্ষা উপদেষ্টা

» ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেয়ার নির্দেশ ‍প্রধান উপদেষ্টার: প্রেস সচিব

» ইরানের হামলার ক্ষতি দেখে ইসরায়েলের চক্ষু চড়ক গাছ!

» বেলারুশকে ঢাকায় দূতাবাস খোলার অনুরোধ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার

» ফরিদা পারভীনকে দেখতে হাসপাতালে মির্জা ফখরুল

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

চীন-ভারতসহ ব্রিকস সদস্যদের ওপর অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি

সংগৃহীত ছবি

 

অনলাইন ডেস্ক : ‘যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী নীতি’ অনুসরণ করার অভিযোগে চীন ও ভারতসহ ব্রিকস সদস্যদের ওপর অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

 

ব্রাজিলের রিও ডি জেনেইরোতে অনুষ্ঠিত ব্রিকস সম্মেলনের শেষ দিনটিকে উত্তপ্ত করে তুলেছেন তিনি।

সোমবার (৭ জুলাই) কাতার ভিত্তিক গণমাধ্যম আল-জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বের দ্রুততম বিকাশমান অর্থনীতির দেশগুলোর সমন্বয়ে গঠিত ১১ জাতির এই জোটটি ট্রাম্পের ‘অবিবেচক’, ক্ষতিকর ও আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী শুল্ক বৃদ্ধির বিরুদ্ধে এক বিবৃতিতে সতর্ক করার পর রবিবার (৬ জুলাই) রাতে ডোনাল্ড ট্রাম্প এ হুমকি দেন।

 

ট্রাম্প সামাজিক মাধ্যমে লেখেন,  ‘যে কোনো দেশ, যারা ব্রিকসের যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী নীতির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করবে, তাদের ওপর অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে।’

 

ব্রিকস জোট বর্তমানে বিশ্বের প্রায় অর্ধেক জনসংখ্যা ও ৪০ শতাংশ বৈশ্বিক উৎপাদন প্রতিনিধিত্ব করে।

 

চীন, রাশিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা ট্রাম্পের এই হুমকিকে গুরুত্ব না দিয়ে জানান, তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সংঘাত চায় না। তবে আয়োজক দেশ ব্রাজিলের বামপন্থী প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা এই বিষয়ে ছিলেন আরও সোচ্চার।

 

লুলা বলেন, ‘আমরা স্বাধীন দেশ। আমরা কোনো সম্রাট চাই না।’

 

দুই দশক আগে উদীয়মান অর্থনীতির একটি ফোরাম হিসেবে যাত্রা শুরু করা ব্রিকস এখন অনেকের চোখে চীনের নেতৃত্বে গঠিত এমন একটি প্ল্যাটফর্ম, যার লক্ষ্য বিশ্ব রাজনীতিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব সীমিত করা।

 

এই জোটে এখন এমন দেশ রয়েছে যারা যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র (যেমন সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত), আবার এতে আছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিদ্বন্দ্বী ইরান ও রাশিয়াও। তবে অনেক মিত্র দেশ সম্মেলনের বিবৃতিতে ট্রাম্প বা যুক্তরাষ্ট্রের নাম উল্লেখ না করেই সমালোচনা করার চেষ্টা করেছে।

 

সৌদি আরব, যারা যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ প্রযুক্তির অস্ত্রের অন্যতম বৃহৎ ক্রেতা, তারা এমনকি রবিবারের আলোচনায় তাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে পাঠায়নি এবং সম্মেলনের যৌথ ছবিতেও অংশ নেয়নি।

 

ধারণা করা হচ্ছে, ওয়াশিংটনের অসন্তোষ এড়াতেই এমন কূটনৈতিক কৌশল নেওয়া হয়েছে। তবে ট্রাম্প এতে কর্ণপাত না করে সাফ জানিয়ে দেন, ‘এই নীতির কোনো ব্যতিক্রম থাকবে না।’

 

এপ্রিল মাসে, ট্রাম্প অনেক দেশের ওপর ধারাবাহিক শাস্তিমূলক শুল্ক আরোপের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। কিন্তু তীব্র বাজার পতনের কারণে তিনি সেই পরিকল্পনা স্থগিত করেন।

 

এখন তিনি হুমকি দিচ্ছেন যে, যদি তার বাণিজ্য অংশীদাররা ১ আগস্টের মধ্যে ‘চুক্তি’ করতে না পারে, তাহলে একতরফা শুল্ক আরোপ করবেন তিনি আর এতে ব্রিকস দেশগুলোর ক্ষেত্রে শুল্কের হার হতে পারে আরও বেশি।

 

বিশ্লেষকরা বলছেন, সদস্য দেশ ইরানের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে ব্রিকস নেতাদের সাম্প্রতিক মার্কিন ও ইসরায়েলের ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় বোমাবর্ষণের নিন্দা প্রকাশ করায় পরিস্থিতিকে আরও জটিল করতে বাধ্য করেছে।

 

এ বিষয়ে সোমবার চীন জানিয়েছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সংঘাতে জড়াতে চায় না। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং বলেন, ‘বাণিজ্য যুদ্ধের কোনো বিজয়ী নেই, সুরক্ষা বাণিজ্যবাদ কোনো সমাধান নয়।’

 

বেইজিং ব্লকটিকে ‘উদীয়মান বাজার এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম’ হিসেবেও রক্ষা করেছে।

 

মাও আরও বলেন, এটি খোলামেলা, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও পরস্পরের উপকারে ভিত্তি করে সহযোগিতার পক্ষে কাজ করে।

 

তিনি আরও বলেন, ‘ব্রিকস কোনো গোষ্ঠীগত সংঘাতে বিশ্বাস করে না এবং এটি কোনো নির্দিষ্ট দেশের বিরুদ্ধেও নয়।

 

এদিকে, ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ রাশিয়ার গণমাধ্যমকে জানান, ‘ব্রিকসের সহযোগিতা কখনোই তৃতীয় কোনো দেশের বিরুদ্ধে ছিল না এবং হবেও না।’

 

এবারের সম্মেলনে বড় নেতাদের অনুপস্থিতি এর রাজনৈতিক গুরুত্বকে অনেকটাই ম্লান করে দিয়েছে।

 

চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং ১২ বছরে এই প্রথম এ সম্মেলনে অংশ গ্রহণ করেননি। ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ থাকায় তিনি সম্মেলনে সরাসরি অংশ না নিয়ে ভিডিও লিংকের মাধ্যমে যুক্ত হন। তিনি তার ব্রিকস অংশীদারদের বলেন, ব্রিকস এখন বৈশ্বিক শাসন কাঠামোয় গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

সূত্র : আল-জাজিরা ও এএফপি।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com