সংগৃহীত ছবি
অনলাইন ডেস্ক : জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স চতুর্থ বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশ নেওয়া বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীরা এবার অতিরিক্ত ৩০ (ত্রিশ) মিনিট সময় বেশি পাবেন। এ সিদ্ধান্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের ৯৭তম সভার সিদ্ধান্ত ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পূর্ববর্তী নির্দেশনার আলোকে নেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এনামুল করিমের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের অনার্স চতুর্থ বর্ষ পরীক্ষায় যারা অংশ নিচ্ছেন, তাদের মধ্যে যদি কেউ অটিস্টিক, ডাউন সিনড্রোম বা সেরিব্রাল পলসিতে আক্রান্ত হন, তবে তিনি অতিরিক্ত সময়ের সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। তবে এই সুবিধা পাওয়ার জন্য কিছু নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ করতে হবে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, শিক্ষার্থীদের অবশ্যই সমাজসেবা অধিদফতর কর্তৃক ইস্যুকৃত বৈধ প্রতিবন্ধী সনদ থাকতে হবে। পরীক্ষার আগেই সংশ্লিষ্ট কলেজের অধ্যক্ষ বা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওই শিক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র ও প্রতিবন্ধী সনদ যাচাই করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবেন। যাচাই করা কাগজপত্র- যথা প্রবেশপত্রের কপি এবং প্রতিবন্ধী সনদের কপি- রীক্ষা নিয়ন্ত্রক বা সংশ্লিষ্ট উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের কাছে প্রেরণ করতে হবে।
এছাড়া বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের উত্তরপত্র অন্যদের থেকে আলাদা করে বিশেষভাবে সিলগালা করে পাঠাতে হবে। ওই উত্তরপত্রের খামের ওপরে লাল কালিতে স্পষ্টভাবে ‘বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন পরীক্ষার্থীর উত্তরপত্র’ লিখতে হবে। খামটি পাঠাতে হবে উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (অনার্স পার্ট-৪) মো. শামীম আহমেদের ঠিকানায়-জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর-১৪০৭।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় অংশগ্রহণকে আরও সহজতর ও সুলভ করতে এই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। যদিও দীর্ঘদিন ধরেই উচ্চশিক্ষার এই স্তরে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের জন্য সময়সীমা বাড়ানোর দাবি ছিল।