আজ শনিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে ‘যুদ্ধের ময়দান থেকে রাষ্ট্রের প্রধান জিয়াউর রহমান’ স্মারক প্রকাশনা ও আর্কাইভ উন্মোচন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, তাছাড়া বাংলাদেশে এই আনুপাতিক হারে নির্বাচনের জন্য কোনো ইতিহাস নাই। বাংলাদেশের রাজনৈতিক কালচারে সেটা একটা নতুন আইডিয়া, যার জন্য অনেক রকমের পরীক্ষা নিরীক্ষা পৃথিবীর বহু দেশে হয়েছে, সেটা দেখেছি আমরা, এটা আমাদের এই দেশের জন্য প্রযোজ্য নয়। এবং যেখানে প্রযোজ্য আছে সেখানে অনেক জটিল অবস্থা।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, আনুপাতিক হারে নির্বাচনের ক্ষেত্রে কোনো সংসদীয় এলাকার ভোটারগণ জানবেন না যে কে তাদের এমপি হবেন, তাছাড়া তাদের এমপিদের কাছে তারা যে যাবেন তারা নির্ধারিত কোনো ব্যক্তিকে খুঁজে পাবেন না। আর আনুপাতিক হারে নির্বাচনের কথা যারা বলছেন তাদের একটা উদ্দেশ্য আছে, হয় নির্বাচন বিলম্বিত করা অথবা বাংলাদেশে নির্বাচন না হওয়া, এটা তাদের উদ্দেশ্য থাকতে পারে। তবে আমরা বাংলাদেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ আছি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, এদেশের সকল গণতন্ত্রকামী মানুষ সংগ্রাম করেছে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের জন্য নয়। একটি সুষ্ঠ, নিরপেক্ষ, অবাধ ও জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্যই আমরা দীর্ঘ ১৭ বছর সংগ্রাম করেছি। আমাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য আমরা অসংখ্য জীবন হারাতে হয়েছে আমাদের, গণঅভ্যুত্থান হয়েছে, শহীদের রক্তের আকাঙ্ক্ষা হলো এদেশের জন্য যাতে প্রকৃত একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বিনির্মাণ হয়। এবং আমরা সেই প্রকৃত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বিনির্মাণ করতে পারবো, অবশ্যই একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, অবাধ নির্বাচনের মাধ্যমে, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে যদি একটি রাজনৈতিক সরকার প্রতিষ্ঠা হয়। এর বেশি আমার বক্তব্য নেই।
এদিকে, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসমাবেশে যোগ দিয়ে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, পিআর পদ্ধতি ছাড়া নির্বাচন দেশের মানুষ মেনে নেবে না।
প্রয়োজনীয় রাষ্ট্র সংস্কার, অতীতের গণহত্যায় জড়িতদের বিচার ও পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের দাবিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আজ এ মহাসমাবেশ আয়োজন করে।
মহাসমাবেশে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির (চরমোনাই পীর) মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, পিআর পদ্ধতি ছাড়া নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিকল্প নেই।