সংগৃহীত ছবি
অনলাইন ডেস্ক : আট আগস্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নতুন বাংলাদেশ দিবস পালন করলে সারা দেশে সেদিন ‘বিপ্লব বেহাত দিবস’ পালনের ঘোষণা দিয়েছে ইনকিলাব মঞ্চ।
শুক্রবার (২৭ জুন) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মধুর ক্যান্টিনে জুলাই সনদ নিয়ে রাষ্ট্রের নিষ্ক্রিয়তা ও ছাত্র জনতার ঐতিহাসিক ৩৬ জুলাইয়ের অর্জনকে ম্লান করে ৮ আগস্টকে নতুন বাংলাদেশ দিবস ঘোষণার প্রহসনের বিরুদ্ধে করা সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদি।
এ সময় জুলাই সনদ আদায়ে আগামী মঙ্গলবার (১ জুলাই) শাহবাগ থেকে মানিক মিয়া এভিনিউ পর্যন্ত ‘লাল মার্চ’ কর্মসূচিও ঘোষণা করেছে জুলাই গণঅভ্যুত্থান ভিত্তিক সংগঠনটি।
শরীফ ওসমান হাদি বলেন, জুলাই চুড়ান্তভাবে বেহাত হয়েছে ৮ আগস্ট। এদিনকে সরকার নতুন বাংলাদেশ দিবস করতে পারবে না। যদি সরকার অনড় থাকে ৮ আগস্ট নতুন বাংলাদেশ দিবস করবে তাহলে আমরা এই দিন সারা বাংলাদেশ মিলে বিপ্লব বেহাত দিবস পালন করব।
তিনি বলেন, আমরা জাতীয় সরকার করতে পারতাম। কিন্তু কোনো কোনো উপদেষ্টা এজেন্সির মাধ্যমে আমাদের শহীদ মিনার, শাহবাগ থেকে ডেকে নিয়ে শপথ করাল? রাষ্ট্রপতির অধীনে নতুন সরকারের শপথ করাল? তাদের এক্সপোজ করতে হবে। তাদের কারণেই ৮ আগস্ট আমাদের বিপ্লব বেহাত হয়েছে।
হাদি জোর দাবি জানিয়ে বলেন, ৩৬ শে জুলাই পরে অর্থাৎ ৫ আগস্টের পরে আর কোনো দিবস থাকবে না। আর যদি সরকার এদিন নতুন বাংলাদেশ দিবস পালন করে তাহলে প্রত্যেকটি ডিসি অফিস, ইউএনও অফিস এবং সচিবালয়ে গিয়ে বিপ্লব বেহাত দিবস পালন করব।
তিনি বলেন, রাষ্ট্র সংস্কার প্রশ্নে ইউনূস সরকার শুধু রাজনৈতিক দলের প্রতি দায়বদ্ধ নয়, এই সরকারকে প্রথম প্রধান গুরুত্ব দিতে হবে জুলাই শহীদ পরিবার ও আহতদের মতামতের।
হাদি বলেন, আগামী পয়লা জুলাই আমরা লাল মার্চ কর্মসূচি করব। শাহবাগ থেকে মানিক মিয়া এভিনিউ পর্যন্ত জুলাই শহীদ পরিবার ও আহতরা অংশ নেবে। দাবি আদায় না হলে আন্দোলন চলমান থাকবে।
এছাড়া ১৬ জুলাই শহীদ আবু সাঈদ দিবস না করে সেটি সর্বজনীন শহীদ দিবস হিসেবে ঘোষণারও দাবি তোলেন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র।