কেউ একজন হুঙ্কার দিলো আর দেশ স্বাধীন হয়ে গেলো, এমনটি নয় :স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃতির চেষ্টা করা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

 

তিনি বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাস বিকৃত করার অপচেষ্টা আমরা দেখেছি। কেউ একজন হুঙ্কার দিলো বা হুইসেল দিলো, দেশ স্বাধীন হয়ে গেলো! এমনটি হয়নি।

সোমবার জাতীয় জাদুঘরের শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব হলে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

 

শেখ রাসেল জাতীয় শিশু -কিশোর পরিষদের আয়োজনে অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী বই ও ল্যাপটপ তুলে দেওয়া হয়।

 

অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, একটি বিকৃত ইতিহাস একসময় শিশু-কিশোরদের কাছে প্রচার করা হচ্ছিল। আমাদের প্রধানমন্ত্রী সঠিক ইতিহাস শিশু-কিশোরদের কাছে তুলে ধরছেন। ইতিহাস কাউকে কোনোদিন ক্ষমা করে না। যে অন্যায় করে, কোনো না কোনোদিন তা প্রকাশ পায়।

 

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর হাতে ৩ মার্চ তার বাসভবনে স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলন করা হয়। সঙ্গে সঙ্গে সারাদেশের এমন কোনো বাড়ি নেই, যেখানে স্বাধীনতার পতাকা ওড়েনি। ৭ মার্চের ভাষণ বদলে দিয়েছিল বাংলাদেশকে। আমরা নিরস্ত্র বাঙালি, তাই বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, যার কাছে যা কিছু আছে তা নিয়ে রুখে দাঁড়াতে। বঙ্গবন্ধুর ডাকে নিরস্ত্র বাঙালি সশস্ত্র হয়ে দেশ স্বাধীন করেছিলাম।

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ২৫ মার্চ আসছে আমাদের সামনে, সেই কালরাত। পাকিস্তান হানাদার বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। সেদিন থেকে দেশ স্বাধীন হওয়া পর্যন্ত ৩০ লাখ বাঙালি শাহাদাতবরণ করেছিলেন। এতো রক্ত স্বাধীনতার জন্য কোনো দেশ দেয়নি। রক্তে রঞ্জিত হয়নি এমন কোনো গ্রামের নাম কেউ বলতে পারবে না। বঙ্গবন্ধু কীভাবে হলেন, বাংলাদেশ কীভাবে হলো তা জানার জন্য এই বইটি (অসমাপ্ত আত্মজীবনী) পড়তে হবে।

 

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে তারই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কী করছেন এবং ভবিষ্যতে কী পরিকল্পনা রয়েছে তা সভায় উপস্থিত শিশু-কিশোরদের কাছে তুলে ধরেন তিনি।

 

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদের মহাসচিব কে এম শহিদ উল্যা। সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার মোহাম্মদ মেহেদী হাসান চৌধুরী, সাবেক সংসদ সদস্য সিরাজুল ইসলাম মোল্লা প্র

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» বিএনপি নেতাদের সতর্ক থাকার আহ্বান রিজভীর

» বাংলাদেশ ভ্রমণে কানাডার সতর্কতা জারি

» জনগণের ৭০ ভাগ পিআরের পক্ষে সমর্থন জানিয়েছে: মতিউর রহমান আকন্দ

» বদরুদ্দীন উমর ছিলেন বহু রাজনীতিবীদের শিক্ষক: মির্জা ফখরুল

» বিএনপি সেই গণতন্ত্রের কথা বলে, যে গণতন্ত্রে মানুষ ভোটের অধিকার নিশ্চিত করে  : ড. মঈন খান

» সুন্দরবনের উপকূলের বাগেরহাটে শাপলা বিক্রি করেই চলছে দিনমজুর হানিফের সংসার, সরকারী সহায়তা বঞ্চিত!

» লালমনিরহাটে শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে প্রস্তুত ৪ শত ৬৮ টি পূজা মন্ডব

» আগৈলঝাড়ার সাংস্কৃতিক অঙ্গনের প্রিয় মুখ ললিতা সরকার শিক্ষা ও নৃত্যকলায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরুপ অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত

» ঢাকা থেকে জামালপুরের আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার

» গানের শিক্ষক নিয়োগ বাতিল না করলে সরকারকে বাধ্য করার হুমকি ওলামা পরিষদের

  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

কেউ একজন হুঙ্কার দিলো আর দেশ স্বাধীন হয়ে গেলো, এমনটি নয় :স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃতির চেষ্টা করা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

 

তিনি বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাস বিকৃত করার অপচেষ্টা আমরা দেখেছি। কেউ একজন হুঙ্কার দিলো বা হুইসেল দিলো, দেশ স্বাধীন হয়ে গেলো! এমনটি হয়নি।

সোমবার জাতীয় জাদুঘরের শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব হলে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

 

শেখ রাসেল জাতীয় শিশু -কিশোর পরিষদের আয়োজনে অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী বই ও ল্যাপটপ তুলে দেওয়া হয়।

 

অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, একটি বিকৃত ইতিহাস একসময় শিশু-কিশোরদের কাছে প্রচার করা হচ্ছিল। আমাদের প্রধানমন্ত্রী সঠিক ইতিহাস শিশু-কিশোরদের কাছে তুলে ধরছেন। ইতিহাস কাউকে কোনোদিন ক্ষমা করে না। যে অন্যায় করে, কোনো না কোনোদিন তা প্রকাশ পায়।

 

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর হাতে ৩ মার্চ তার বাসভবনে স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলন করা হয়। সঙ্গে সঙ্গে সারাদেশের এমন কোনো বাড়ি নেই, যেখানে স্বাধীনতার পতাকা ওড়েনি। ৭ মার্চের ভাষণ বদলে দিয়েছিল বাংলাদেশকে। আমরা নিরস্ত্র বাঙালি, তাই বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, যার কাছে যা কিছু আছে তা নিয়ে রুখে দাঁড়াতে। বঙ্গবন্ধুর ডাকে নিরস্ত্র বাঙালি সশস্ত্র হয়ে দেশ স্বাধীন করেছিলাম।

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ২৫ মার্চ আসছে আমাদের সামনে, সেই কালরাত। পাকিস্তান হানাদার বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। সেদিন থেকে দেশ স্বাধীন হওয়া পর্যন্ত ৩০ লাখ বাঙালি শাহাদাতবরণ করেছিলেন। এতো রক্ত স্বাধীনতার জন্য কোনো দেশ দেয়নি। রক্তে রঞ্জিত হয়নি এমন কোনো গ্রামের নাম কেউ বলতে পারবে না। বঙ্গবন্ধু কীভাবে হলেন, বাংলাদেশ কীভাবে হলো তা জানার জন্য এই বইটি (অসমাপ্ত আত্মজীবনী) পড়তে হবে।

 

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে তারই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কী করছেন এবং ভবিষ্যতে কী পরিকল্পনা রয়েছে তা সভায় উপস্থিত শিশু-কিশোরদের কাছে তুলে ধরেন তিনি।

 

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদের মহাসচিব কে এম শহিদ উল্যা। সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার মোহাম্মদ মেহেদী হাসান চৌধুরী, সাবেক সংসদ সদস্য সিরাজুল ইসলাম মোল্লা প্র

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Design & Developed BY ThemesBazar.Com