আদতে যে তিনি অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা সেনেই নিবেদিত প্রাণ, সেটা আরও একবার ফাঁস হল থাইল্যান্ডে ‘রক্তবীজ ২’-এর গানের শুটিং করে ফেরার পর।
অঙ্কুশ শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়েছেন আনন্দবাজারের সঙ্গে। তিনি জানিয়েছেন, অভিনেত্রী-প্রেমিকার জন্য উপহার কিনতে কিনতেই তার পকেট ফাঁকা হয়ে গেছে! নিজের জন্য তেমন কিছুই আর কিনতে পারেননি।
নন্দিতা রায়-শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের প্রথম পুজার ছবি ‘রক্তবীজ’-এ অঙ্কুশ আইটেম গানে ছিলেন। ছবির শেষ দৃশ্যে তার উপস্থিতি আভাস দিয়েছিল, তিনি পরের পর্বে থাকছেন।
এ বছর প্রযোজনা সংস্থা উইন্ডোজ পুজায় আনছে ‘রক্তবীজ ২’। ছবিতে অন্যতম খলনায়ক ‘মুনীর আলম’ চরিত্রে অঙ্কুশ। এই সিনেমার জন্য চরিত্রটি ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ, অঙ্কুশকে আশ্বাস দিয়েছিলেন শিবপ্রসাদ। অভিনেতাও তাই এক কথায় কাজ করতে রাজি হন।
‘রক্তবীজ ২’-এর দুটি গানের একটিতে কৌশানী মুখোপাধ্যায়ের বিপরীতে অভিনেতা। অনেক দিন পরে বাংলা ছবির গান আবার বিদেশের মাটিতে ক্যামেরাবন্দি হয়েছে।
অভিনেতার মতে, বেশ পুরোনো দিনের আমেজ ফিরে পাচ্ছিলেন। আগে যেমন হরহামেশাই একাধিক গানের শুটিংয়ের জন্য দল বেঁধে উড়ে যেত ছবির গোটা টিম। কাজ শেষে যখন ফিরতেন, তখন সকলের মন খারাপ।
অঙ্কুশের কথায়, “তখন ৫০ দিন ধরে শুটিং হত। এখন ১৫ দিনেই শেষ। এই ছবির কাজ করতে করতে মনে হলো, আবার আগের মতো সিনেমা করছি। দু’সপ্তাহে কাজ শেষ করে ইদানীং মনে হয়, প্রোজেক্টের কাজ করলাম।’
শহরে ফিরেই তিনি ব্যস্ত ডাবিংয়ে। বিদেশে গিয়েছেন, অথচ ঐন্দ্রিলার জন্য কেনাকাটা করবেন না, তা হয়? প্রশ্ন শুনে হাসলেন অভিনেতা। অঙ্কুশ জানিয়েছেন, এক জোড়া ভীষণ সুন্দর জুতা কিনেছেন। যেটা তার প্রেমিকার খুব মনে ধরেছে। সঙ্গে মানানসই পোশাক আর মিউজিক সিস্টেম। তার নায়িকা-প্রেমিকা যে গান শুনতে খুব ভালোবাসেন!
তারপরেই বিমর্ষ অভিনেতা। বললেন, “বিদেশে গেলে এত কালো হয়ে ফিরি যে আবার বেশ কিছুদিন টানা ত্বকের যত্ন নিতে হয়। নইলে সারা বছর তো যেমন-তেমন করে কাটিয়ে দিই।”