সংগৃহীত ছবি
অনলাইন ডেস্ক : নাইজেরিয়ায় সেনাবাহিনীর বিমান হামলায় কমপক্ষে ২০ জন বেসামরিক নিহত হয়েছে।
দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় জামফারা রাজ্যে এই ঘটনা ঘটে।
বাসিন্দারা জানান, জামফারা রাজ্যে সশস্ত্র একটি গোষ্ঠীর পিছু নেওয়ার সময় স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকদের একটি দল এই হামলার শিকার হয়।
নাইজেরিয়া সেনাবাহিনী অবশ্য এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য জানায়নি।
সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে সর্বশেষ বিমান হামলা এটি। দেশটির বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অভিযানের মধ্যে শত শত বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। এসব গোষ্ঠীর মধ্যে রয়েছে জিহাদি ও তথাকথিত ‘ডাকাত’ চক্র।
বসিন্দারা জানান, জামফারার মারু জেলায় মানি ও ওয়াবি গ্রামে হামলা চালিয়ে গবাদি পশু লুট ও বহু মানুষকে অপহরণ করে একদল ডাকাত।
এতে পাশের মারায়া গ্রাম ও অন্যান্য প্রতিবেশী এলাকা থেকে স্থানীয় লোকজন একত্র হয়ে অপহৃতদের ও গরুগুলোকে উদ্ধারের জন্য তাদের পিছু নেয়। তবে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের খবর দেওয়ার পর ঘটনাস্থলে আসা একটি সামরিক বিমান ওই স্বেচ্ছাসেবকদের ডাকাত ভেবে ভুলবশত তাদের ওপর বোমা ফেলে।
স্থানীয় বাসিন্দা বুহারি ডাঙ্গুলবি বলেন, “শনিবার আমরা দুবার বিপর্যয়ের শিকার হই। ডাকাতরা আমাদের অনেক মানুষ ও গরু নিয়ে যায়, আর যারা তাদের উদ্ধার করতে গিয়েছিল, তারা যুদ্ধবিমানের হামলায় নিহত হয়। এতে ২০ জন মারা যায়।”
এ ঘটনায় স্বচ্ছ তদন্তের জন্য নাইজেরিয়ান কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নাইজেরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে অব্যবস্থাপনার সুযোগে এই ডাকাতরা ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়ে যাচ্ছে। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জিহাদিদের মতো আদর্শবাদ নয়, বরং অর্থনৈতিক উদ্দেশ্যেই এরা অপরাধ করছে। অন্যদিকে এ ধরনের বিমান হামলায় বহু বেসামরিক নাগরিক মারা গেছে। শনিবারের ঘটনাটি ছিল জামফারা রাজ্যে এ ধরনের তৃতীয় ঘটনা। সূত্র: ডেইলি পোস্ট নাইজেরিয়া, আল-আরাবিয়া