সংগৃহীত ছবি
অনলাইন ডেস্ক : ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় নিহতের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) বিমান হামলায় গাজায় সোমবার সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ৮১ জন ফিলিস্তিনি। এ নিয়ে মোট নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৩ হাজার ৯৭৭ জন।
মঙ্গলবার (২৭ মে) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা অঞ্চলটির চিকিৎসাসূত্রের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একজন মুখপাত্র বলেছেন, গাজার সবাই কষ্ট পাচ্ছেন কারণ হাসপাতালগুলোতে অসুস্থদের চিকিৎসার জন্য চিকিৎসা সরঞ্জাম ফুরিয়ে যাচ্ছে এবং আক্রমণ তীব্র করছে ইসরায়েল। পাশাপাশি বন্ধ করে দিচ্ছে সাহায্যও।
এদিকে গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফের নতুন প্রস্তাবে সম্মতি জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। গোষ্ঠীটির ঘনিষ্ঠ এক ফিলিস্তিনি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে সোমবার সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। নতুন প্রস্তাবটি হামাস পেয়েছে মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে। এই যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে ইসরায়েলের সঙ্গে চলমান যুদ্ধ শেষ হওয়ার পথ তৈরি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নতুন প্রস্তাবে ৭০ দিনের যুদ্ধবিরতির পাশাপাশি ইসরায়েলের হাতে থাকা বহু ফিলিস্তিনি বন্দির মুক্তির বিষয়ও রয়েছে। জানা গেছে, প্রস্তাবে হামাস দুই ধাপে ইসরায়েলের ১০ জীবিত জিম্মিকে মুক্তি দেবে। এর বিনিময়ে গাজা উপত্যকা থেকে আংশিক সেনা প্রত্যাহার ও ৭০ দিনের যুদ্ধবিরতির শর্ত রাখা হয়েছে। এছাড়া প্রস্তাব অনুযায়ী, ইসরায়েল বহু ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেবে, যাদের মধ্যে কয়েকশ’ জন দীর্ঘমেয়াদি সাজা ভোগ করছেন। তবে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
চলতি বছরের ১৮ মার্চ হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাতিল করে নতুন করে গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। এর দুই দিন পর হামাস ও তার মিত্র সংগঠনগুলো রকেট হামলার মাধ্যমে জবাব দেয়। হামাস বলেছে, যদি ইসরায়েল গাজা থেকে সম্পূর্ণভাবে সরে যায়, তাহলে তারা সব জিম্মিকে মুক্তি দিতে ও স্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হতে প্রস্তুত। তবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ইসরায়েল কেবল অস্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হবে জিম্মি মুক্তির বিনিময়ে। হামাস সম্পূর্ণভাবে নিশ্চিহ্ন না হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধ শেষ হবে না বলেও জানিয়েছেন তিনি।