সংগৃহীত ছবি
অনলাইন ডেস্ক : সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত সেনাপ্রধানের যে বক্তব্য ঘিরে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে গত কয়েক দিন ধরে তোলপাড় চলছে, তার বস্তুনিষ্ঠতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সেনাবাহিনী।
সেনাসদরের মিলিটারি অপারেশনস ডাইরেক্টরেটের কর্নেল স্টাফ কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম বলেছেন, “সেনাপ্রধানের বক্তব্য নিয়ে প্রকাশিত বিষয়গুলোর বস্তুনিষ্ঠতা নিয়ে যথেষ্ট বিবেচনার দাবি রাখে।”
‘সেনাবাহিনীর কার্যক্রম’ নিয়ে সোমবার ঢাকা সেনানিবাসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
কর্নেল স্টাফ কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, “সেনাবাহিনী ক্ষমতা নেয়ারও কোন ইচ্ছা বা এ ধরনের কোনরকম কোন আমাদের মধ্যে এ ধরনের কোন আলোচনা হয়নি। অফিসারস এড্রেস দেখুন, সেনাবাহিনী প্রধান যেকোনো সময়ে বা সময় সময়ে অফিসার চেসন সৈনিকের সাথে কথা বলে থাকেন, দিকনির্দেশনা দিয়ে থাকেন। এটি তারই একটি ধারাবাহিকতা মাত্র। এখানে কোন আমরা কোন সাংবাদিককেও ডাকিনি। তিনি জাতির উদ্দেশ্যেও কোন ভাষণ দেননি বা আইএসপিআরও সরকারিভাবে কোন বিবৃতি দেয়নি। সো, আপনারা যেটা গণমাধ্যমে বা সোশ্যাল মিডিয়াতে দেখছেন এটার সঠিকতা বা বস্তুনিষ্ঠতা নিয়ে যথেষ্ট বিবেচনার দাবি রাখে। তো সে বিষয়ে আপনারা ভালোই বুঝতে পারছেন।”
“আর আপনার যে বাকি বিষয়গুলো, সেগুলোর বিষয়ে আমি আগের মতোই বলব যে জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় এমন কোন বিষয়ে সেনাবাহিনী সম্পৃক্ত হবে না। আর পাহাড়ি যে একটি দলের কথা বলেছেন এটা আপনারাই জানেন। এটি একটি আত্ম স্বীকৃত টেরোরিস্ট দল যারা সংঘাতপূর্ণ কাজ করে থাকে। সো, তাদেরকে নির্বাচনে চুক্ত করা সমিচিন নয় বলে আমরা মনে করি।”
“দেখুন, নির্বাচন নিয়ে এ বিষয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়ে আমরা এখন আর কোন কথা না বলি। আমরা এই বিষয়গুলো নিয়ে কোন মুখোমুখি কোন অবস্থান দেখছি না। আমাদের মধ্যে যথেষ্ট সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ রয়েছে এবং আমরা একত্রে, একসাথে দেশের জন্য, দেশের স্বার্থে, জনগণের জন্য কাজ করে যাচ্ছি।”
“আমি বলেছি, এটা নিতান্তই অফিসারস এড্রেস—একটি নিতান্তই আমাদের বাহিনীর অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং গণমাধ্যমে আমরা আপনারা যেটা দেখতে পাচ্ছেন, এটা সঠিকতা নিয়ে যথেষ্ট সন্দিহান। কারণ আমরা এখানে কাউকে যদি আমরা কোন কিছু জানাতেই চাইতাম, তাহলে আমরা আপনাদেরকে ডাকতাম, গণবদ্ধম থাকতো সেখানে, আইএসপিআর সরকারভাবে বিবৃতি দিত। আমরা কিন্তু এগুলো কোন কিছুই করিনি। তো, এটা আমাদের জাস্ট একটা রেগুলার রুটিন এফেয়ার। সেনাবাহিনী প্রধান প্রায়ই হর হামেশাই আমাদের সাথে কথা বলেন এবং দিক নির্দেশনা দিয়ে থাকেন।”
“পরিষ্কার বা মশক নিধনের সেনাবাহিনী কাজ করে না বা উনি কিভাবে কোথা থেকে বলেছেন এ বিষয়ে আমাদের সাথে কোন যোগাযোগ হয়নি। সো, এ বিষয়ে আমরা কোন তথ্য আপনাকে দিতে পারছি না। নির্বাচন নিয়ে যথেষ্ট আলোচনা সমালোচনা হয়েছে। এ বিষয়টি নিয়ে আমরা আর কোন কথা বলতে চাচ্ছি না। আর সেনাবাহিনী ক্ষমতা নেয়ারও কোন ইচ্ছা বা এ ধরনের কোন রকম কোন আমাদের মধ্যে এ ধরনের কোন আলোচনা হয়নি। এ বিষয়ে আমরা কোন তথ্য আপনাকে দিতে পারছি না। দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য বা নিরাপত্তা রক্ষার জন্য আমরা সর্বদা সেনাবাহিনী একত্রে এবং একতাবদ্ধ হয়ে কাজ করে আসছি এবং ভবিষ্যতেও আমরা দেশের জন্য, দেশের নিরাপত্তার জন্য, দেশের মানুষের সাথে কাজ করে যাব।”
“আরাকান আর্মির সাথে আমাদের সরাসরি কোন যোগাযোগ নেই। আপনারা যেটা গণমাধ্যমে দেখে দেখেছেন, সেটা সঠিকতা বা বস্তুনিষ্ঠতা নিয়ে যথেষ্ট বিবেচনার দাবি রাখে। তাদের সাথে আমাদের সরাসরি কোন যোগাযোগ নেই। কুকিচিন একটি বোম সম্প্রদায় কেন্দ্রিক প্রতিষ্ঠান বা অর্গানাইজেশন। এবং আপনারা কি জানেন যে তাদের টোটাল সংখ্যা হচ্ছে ১২,০০০ জন। তো, ১২,০০০ জন কিভাবে ৩০০ ইউনিফর্মের জন্য ইয়ে করে? তো, সোশ্যাল মিডিয়া বা যেকোন মিডিয়াতে আপনারা যে তথ্যগুলো পান, আসলে এগুলোর সঠিকতা বা এগুলোর বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। তো, এই একটি ইনফরমেশন থেকে আপনি বুঝতে পারেন যে ১২,০০০ এর মধ্যেও তো সবাই আবার সশস্ত্র বা আর্মড গ্রুপের সাথে সংযুক্ত নয়। সো, ৩০০ পোশাক বা ইউনিফর্মের বিষয়টি এটা নিয়ে যথেষ্ট সন্দিহান।”