সংগৃহীত ছবি
অনলাইন ডেস্ক : উত্তর কোরিয়ায় গত সপ্তাহে নতুন একটি যুদ্ধজাহাজ উদ্বোধনের সময় ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনার জন্য তিনজন শিপইয়ার্ড কর্মকর্তাকে আটক করা হয়েছে।
রবিবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি তাদের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
খবরে বলা হয়, উত্তর কোরিয়ার সরকারি বার্তা সংস্থা কেসিএনএ জানায়, উত্তরাঞ্চলীয় চংজিন শিপইয়ার্ডে নির্মিত এ জাহাজটির প্রধান প্রকৌশলী, নির্মাণ প্রধান এবং প্রশাসনিক ব্যবস্থাপককে আটক করা হয়েছে। তাদেরকে এই ঘটনার জন্য দায়ী করা হয়েছে।
শুক্রবার কেসিএনএ আরও জানায়, শিপইয়ার্ডের ব্যবস্থাপক হং কিল হোকেও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে হাজির হতে বলা হয়েছে।
বুধবার পাঁচ হাজার টন ওজনের একটি যুদ্ধজাহাজ উদ্বোধনের সময় জাহাজটির নিচের অংশ চাপা পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং ভারসাম্য হারিয়ে একপাশে কাত হয়ে পড়ে। দেশটির নেতা কিম জং উন এই ঘটনাকে “অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড” হিসেবে আখ্যা দিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
স্যাটেলাইট চিত্রে দেখা গেছে, জাহাজটি কাত হয়ে পড়ে আছে এবং বড় নীল ত্রিপল দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে। জাহাজের একটি অংশ স্থলভাগে উঠে গেছে বলেও দেখা গেছে। তবে, কেসিএনএ দুর্ঘটনার ব্যাপারে কোনো প্রাণহানি বা আহতের খবর দেয়নি এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমিয়ে দেখানোর চেষ্টা করেছে।
সংবাদ সংস্থাটি জানায়, জাহাজের নিচে কোনো গর্ত হয়নি, বরং শুধু ডান পাশের অংশে আঁচড় লেগেছে এবং পেছনের অংশে সামান্য পরিমাণে পানি প্রবেশ করেছে। কিম জং উন বলেন, “এই দুর্ঘটনা সম্পূর্ণ অবহেলা, দায়িত্বজ্ঞানহীনতা এবং অবৈজ্ঞানিক কর্মকাণ্ডের ফল।”
তিনি আরও জানান, যারা এই দায়িত্বজ্ঞানহীন ভুল করেছেন তাদের বিরুদ্ধে আগামী মাসে পার্টির প্লেনারি বৈঠকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, উত্তর কোরিয়া সাধারণত এ ধরনের অভ্যন্তরীণ দুর্ঘটনা প্রকাশ করে না, তবে কিছু ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম দেখা গেছে। এই দুর্ঘটনা ঘটল এমন এক সময়ে, যখন মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে উত্তর কোরিয়া ৫,০০০ টন ওজনের আরেকটি যুদ্ধজাহাজ ‘চোয়ে হিওন’ উন্মোচন করে।
কিম ওই জাহাজকে দেশটির নৌবাহিনীর আধুনিকীকরণে একটি “মাইলফলক” বলে অভিহিত করেছিলেন। সূত্র: বিবিসি