সিরিজ হারকে ‘জীবনের অংশ’ বললেন লিটন

সংগৃহীত ছবি

 

অনলাইন ডেস্ক : বাংলাদেশকে সিরিজ হারের লজ্জায় ডুবালো সংযুক্ত আরব আমিরাত। তিন ম্যাচের টি–টোয়েন্টি সিরিজটি ২-১ ব্যবধানে জিতে নিয়েছে তারা। এই জয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম দ্বিপাক্ষিক সিরিজ জয়ের কীর্তি গড়ল সংযুক্ত আরব আমিরাত। সঙ্গে টেস্ট খেলুড়ে কোনো দেশের বিপক্ষে প্রথমবার টি-২০ সিরিজ জিতে লিখলো ইতিহাস।

 

যুক্তরাষ্ট্রের পর এ নিয়ে দ্বিতীয়বার কোনো সহযোগী সদস্য দেশের কাছে টি-টোয়েন্টিতে সিরিজ হারল বাংলাদেশ। তৃতীয় ম্যাচে ৭ উইকেটে হারার পর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ অধিনায়ক সিরিজ নিয়ে নিজের মূল্যায়ন জানিয়ে বলেছেন, ‘যখন এখানে এসেছি, সব সময় ম্যাচ জেতার কথাই ভেবেছি। এটা (সিরিজ হেরে যাওয়া) জীবনের অংশ। যখন আপনি ক্রিকেট খেলবেন, প্রতিপক্ষ ভালো খেলবে, তাদের কৃতিত্ব দিতে হবে।’

 

তিনি আরও বলেন, ‘আজ আমরা ব্যাটিংয়ে কিছু ভুল করেছি। আমার মনে হয় এমন কিছু আমরা এই উইকেট, কন্ডিশনে করতে চাইনি। তিন ম্যাচেই আমরা পরে ব্যাট করেছি, শিশিরই মেইন ফ্যাক্টর ছিল।’

 

বুধবার শারজায় তৃতীয় ও শেষ ম্যাচটি ৭ উইকেট ও ৫ বল হাতে রেখে জিতে সিরিজ নিজেদের করে নেয় আমিরাত। প্রথম ম্যাচ হারের পর দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে টানা দুই ম্যাচ জিতল, সঙ্গে পকেটে পুরল সিরিজটাও।

 

এদিন তাদের লক্ষ্য ছিল ১৬৩ রানের। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই আঘাত হানেন শরিফুল ইসলাম। মারকুটে আরব আমিরাত অধিনায়ক মোহাম্মদ ওয়াসিম বাঁহাতি পেসারের সুইংয়ে ক্যাচ দেন প্রথম স্লিপে। তানজিদ তামিমের ক্যাচ হয়ে ফেরার আগে ৬ বলে ওয়াসিম করেন ৯।

 

তবে ১৪ রানে প্রথম উইকেট হারালেও পাওয়ার প্লেতে দারুণ ব্যাটিং করে আরব আমিরাত। ৬ ওভারে তোলে ১ উইকেটে ৫০ রান। অবশেষে অষ্টম ওভারে বল হাতে নিয়েই ব্রেক থ্রু দেন রিশাদ হোসেন। ২৩ বলে ২৯ করে বোল্ড হন মোহাম্মদ জুহাইব।

 

এরপর জুটি গড়ে তোলার চেষ্টা করেন আলিশান শারাফু আর রাহুল চোপড়া। তাদের ২০ বলে ২১ রানের জুটি ভাঙেন তানজিম সাকিব। স্লোয়ার বাউন্সারে রাহুলকে (১৩ বলে ১৩) শামীম পাটোয়ারীর ক্যাচ বানান তিনি।

 

তবে এরপর দলকে এগিয়ে নিয়ে যান আলিশান। রিশাদকে ছক্কা মেরে ৩৮ বলে ফিফটি পূরণ করেন তিনি। এরপর আসিফ খানকে সঙ্গে নিয়ে ম্যাচ বের করে নিয়ে আসেন আলিশান। চতুর্থ উইকেটে তারা ৫২ বলে ৯১ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন। আলিশান ৪৭ বলে ৬৮ আর আসিফ ২৬ বলে ৪১ রানে অপরাজিত থাকেন।

 

এর আগে টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় আরব আমিরাত। ব্যাটিংয়ে নেমেই বিপদে পড়ে টাইগাররা। ৭১ রানে ৭ উইকেট, ৮৪ রানে নেই ৮ উইকেট। শঙ্কা জেগেছিল একশর আগে অলআউট হওয়ার। সেখান থেকে নাটকীয় প্রত্যাবর্তন করে বাংলাদেশ।

 

হাসান মাহমুদকে সঙ্গে নিয়ে ৪৪ রানের দারুণ এক জুটি গড়ে তোলেন জাকের আলি অনিক। ৩৪ বলে ৪১ রানের মোটামুটি ঝড়ো ইনিংস খেলে আউট হন জাকের। শেষ ওভারে আরব আমিরাত অধিনায়ক মোহাম্মদ ওয়াসিমের বলে ঝড় তোলেন হাসান মাহমুদ ও শরিফুল ইসলাম। দু’জন মিলে ২৬ রান নেন এই ওভার থেকে।

 

যার ফলে বাংলাদেশের স্কোর শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেট হারিয়ে সম্মানজনক ১৬২ রানে গিয়ে শেষ হয়। হাসান মাহমুদ ১৫ বলে ২৬ এবং ৭ বলে ১৬ রানে অপরাজিত থাকেন শরিফুল ইসলাম।

 

শুরুটা করেছিলেন পারভেজ হোসেন ইমন। দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলটি ছিল তার নিজের মোকাবেলা করা প্রথম বল। ধ্রুব পারাশারের বলে আলিশান শরাফুর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান পারভেজ। গোল্ডেন ডাক মারেন তিনি।

 

এরপর তানজিদ তামিম এবং লিটন দাস মিলে চেষ্টা করেন শুরুর বিপর্যয় কাটাতে। কিন্তু ১০ বলে ১৪ রান করে লিটন দাস হায়দার আলির বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরে গেলে বিপর্যয়ের শুরু। তানজিদ হাসান তামিম একপাশে থেকে কিছুক্ষণ একা একা লড়াই করার চেষ্টা করলেন। ১৮ বলে সর্বোচ্চ ৪০ রান করেন তিনি।

 

তাওহিদ হৃদয় পুরো সিরিজেই ব্যর্থ। এই ম্যাচে তো কোনো রানই করতে পারলেন না। ২ বলে শূন্য রানে বিদায় নিলেন। ৯ বল খেলে শেখ মেহেদী হাসান আউট হন ২ রান করে। প্রথম ম্যাচে ব্যর্থ হওয়ার পর দ্বিতীয় ম্যাচে তাকে সুযোগ দেয়া হয়নি। এবার সুযোগ পেলেন এবং ৫ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে আবারও ব্যর্থতার পরিচয় দিলেন।

 

শামীম হোসেন পাটোয়ারী নিজের নামের প্রতি মোটেও সুবিচার করতে পারেননি। ১২ বলে ৯ রান করে আউট হয়ে যান তিনি। রিশাদ হোসেন ব্যাট হাতে যতটা সম্ভাবনাময়ী ছিলেন, তার ছিটেফোঁটাও দেখাতে পারলেন না। ২ বল খেলে কোনো রান না করেই বিদায় নিলেন।

 

তানজিব সাকিব খেললেন ১২ বল। ৬ রান করে ছক্কা মারতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনে ধরা পড়েন তিনি। জাকের আলি অনিক শেষ দিকে এসে কিছুটা লড়াই চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন।

 

শেষ পর্যন্ত তিনি করেন ৩৪ বলে ৪১ রান। তারপর শরিফুল আর হাসান মাহমুদের দুর্দান্ত ব্যাটিং। আরব আমিরাতের স্পিনার হায়দার আলি মাত্র ৭ রান দিয়ে ৩টি উইকেট নেন। সগির খান ও মাতিউল্লাহ খান পান ২টি করে উইকেট।

 

এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো কোনো টেস্ট খেলুড়ে দেশের বিপক্ষে সিরিজ জিতেছে আরব-আমিরাত। আগেরটি ছিল আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ২০২১ সালে। সিরিজ জেতায় আমিরাতকে কৃতিত্ব দিলেও আগের ম্যাচের মতো লিটন কালও বলেছেন শিশিরের প্রভাবের কথা, ‘তারা খুবই ভালো খেলেছে, ভালো বল করেছে। কিন্তু ব্যাটিংয়ে তারা শিশিরের সুবিধা পেয়েছে। তারা তেমন আতঙ্কিত হয়নি, তাদের কৃতিত্ব দিতে হবে।’

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» ঐক্যের ডাকে রাজুতে নতুন কর্মসূচি

» ডা. জুবাইদা রহমানের আপিলের পরবর্তী শুনানি সোমবার

» আরেকটা এক-এগারো চাই না, আর চুপ থাকব না : রিফাত রশিদ

» প্রধান উপদেষ্টাকে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকার আহ্বান জানিয়েছেন জামায়াত আমির

» আসিফ, মাহফুজ, হাসনাত কিংবা হান্নান সবাইকেই টার্গেট করা হয়েছে: হান্নান মাসউদ

» আমরা এই সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে চাই না : গয়েশ্বর চন্দ্র

» ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্যে ফাটল ধরতে শুরু করেছে: খন্দকার মোশাররফ

» প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগের গুঞ্জন নিয়ে যমুনায় ড. ইউনূসের সঙ্গে নাহিদের বৈঠক

» দেশপ্রেমিক শক্তির ঐক্য অনিবার্য, আগের বক্তব্যের জন্য দুঃখপ্রকাশ মাহফুজের

» ইসলামপুরে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ঢেউটিন বিতরণ

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

সিরিজ হারকে ‘জীবনের অংশ’ বললেন লিটন

সংগৃহীত ছবি

 

অনলাইন ডেস্ক : বাংলাদেশকে সিরিজ হারের লজ্জায় ডুবালো সংযুক্ত আরব আমিরাত। তিন ম্যাচের টি–টোয়েন্টি সিরিজটি ২-১ ব্যবধানে জিতে নিয়েছে তারা। এই জয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম দ্বিপাক্ষিক সিরিজ জয়ের কীর্তি গড়ল সংযুক্ত আরব আমিরাত। সঙ্গে টেস্ট খেলুড়ে কোনো দেশের বিপক্ষে প্রথমবার টি-২০ সিরিজ জিতে লিখলো ইতিহাস।

 

যুক্তরাষ্ট্রের পর এ নিয়ে দ্বিতীয়বার কোনো সহযোগী সদস্য দেশের কাছে টি-টোয়েন্টিতে সিরিজ হারল বাংলাদেশ। তৃতীয় ম্যাচে ৭ উইকেটে হারার পর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ অধিনায়ক সিরিজ নিয়ে নিজের মূল্যায়ন জানিয়ে বলেছেন, ‘যখন এখানে এসেছি, সব সময় ম্যাচ জেতার কথাই ভেবেছি। এটা (সিরিজ হেরে যাওয়া) জীবনের অংশ। যখন আপনি ক্রিকেট খেলবেন, প্রতিপক্ষ ভালো খেলবে, তাদের কৃতিত্ব দিতে হবে।’

 

তিনি আরও বলেন, ‘আজ আমরা ব্যাটিংয়ে কিছু ভুল করেছি। আমার মনে হয় এমন কিছু আমরা এই উইকেট, কন্ডিশনে করতে চাইনি। তিন ম্যাচেই আমরা পরে ব্যাট করেছি, শিশিরই মেইন ফ্যাক্টর ছিল।’

 

বুধবার শারজায় তৃতীয় ও শেষ ম্যাচটি ৭ উইকেট ও ৫ বল হাতে রেখে জিতে সিরিজ নিজেদের করে নেয় আমিরাত। প্রথম ম্যাচ হারের পর দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে টানা দুই ম্যাচ জিতল, সঙ্গে পকেটে পুরল সিরিজটাও।

 

এদিন তাদের লক্ষ্য ছিল ১৬৩ রানের। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই আঘাত হানেন শরিফুল ইসলাম। মারকুটে আরব আমিরাত অধিনায়ক মোহাম্মদ ওয়াসিম বাঁহাতি পেসারের সুইংয়ে ক্যাচ দেন প্রথম স্লিপে। তানজিদ তামিমের ক্যাচ হয়ে ফেরার আগে ৬ বলে ওয়াসিম করেন ৯।

 

তবে ১৪ রানে প্রথম উইকেট হারালেও পাওয়ার প্লেতে দারুণ ব্যাটিং করে আরব আমিরাত। ৬ ওভারে তোলে ১ উইকেটে ৫০ রান। অবশেষে অষ্টম ওভারে বল হাতে নিয়েই ব্রেক থ্রু দেন রিশাদ হোসেন। ২৩ বলে ২৯ করে বোল্ড হন মোহাম্মদ জুহাইব।

 

এরপর জুটি গড়ে তোলার চেষ্টা করেন আলিশান শারাফু আর রাহুল চোপড়া। তাদের ২০ বলে ২১ রানের জুটি ভাঙেন তানজিম সাকিব। স্লোয়ার বাউন্সারে রাহুলকে (১৩ বলে ১৩) শামীম পাটোয়ারীর ক্যাচ বানান তিনি।

 

তবে এরপর দলকে এগিয়ে নিয়ে যান আলিশান। রিশাদকে ছক্কা মেরে ৩৮ বলে ফিফটি পূরণ করেন তিনি। এরপর আসিফ খানকে সঙ্গে নিয়ে ম্যাচ বের করে নিয়ে আসেন আলিশান। চতুর্থ উইকেটে তারা ৫২ বলে ৯১ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন। আলিশান ৪৭ বলে ৬৮ আর আসিফ ২৬ বলে ৪১ রানে অপরাজিত থাকেন।

 

এর আগে টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় আরব আমিরাত। ব্যাটিংয়ে নেমেই বিপদে পড়ে টাইগাররা। ৭১ রানে ৭ উইকেট, ৮৪ রানে নেই ৮ উইকেট। শঙ্কা জেগেছিল একশর আগে অলআউট হওয়ার। সেখান থেকে নাটকীয় প্রত্যাবর্তন করে বাংলাদেশ।

 

হাসান মাহমুদকে সঙ্গে নিয়ে ৪৪ রানের দারুণ এক জুটি গড়ে তোলেন জাকের আলি অনিক। ৩৪ বলে ৪১ রানের মোটামুটি ঝড়ো ইনিংস খেলে আউট হন জাকের। শেষ ওভারে আরব আমিরাত অধিনায়ক মোহাম্মদ ওয়াসিমের বলে ঝড় তোলেন হাসান মাহমুদ ও শরিফুল ইসলাম। দু’জন মিলে ২৬ রান নেন এই ওভার থেকে।

 

যার ফলে বাংলাদেশের স্কোর শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেট হারিয়ে সম্মানজনক ১৬২ রানে গিয়ে শেষ হয়। হাসান মাহমুদ ১৫ বলে ২৬ এবং ৭ বলে ১৬ রানে অপরাজিত থাকেন শরিফুল ইসলাম।

 

শুরুটা করেছিলেন পারভেজ হোসেন ইমন। দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলটি ছিল তার নিজের মোকাবেলা করা প্রথম বল। ধ্রুব পারাশারের বলে আলিশান শরাফুর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান পারভেজ। গোল্ডেন ডাক মারেন তিনি।

 

এরপর তানজিদ তামিম এবং লিটন দাস মিলে চেষ্টা করেন শুরুর বিপর্যয় কাটাতে। কিন্তু ১০ বলে ১৪ রান করে লিটন দাস হায়দার আলির বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরে গেলে বিপর্যয়ের শুরু। তানজিদ হাসান তামিম একপাশে থেকে কিছুক্ষণ একা একা লড়াই করার চেষ্টা করলেন। ১৮ বলে সর্বোচ্চ ৪০ রান করেন তিনি।

 

তাওহিদ হৃদয় পুরো সিরিজেই ব্যর্থ। এই ম্যাচে তো কোনো রানই করতে পারলেন না। ২ বলে শূন্য রানে বিদায় নিলেন। ৯ বল খেলে শেখ মেহেদী হাসান আউট হন ২ রান করে। প্রথম ম্যাচে ব্যর্থ হওয়ার পর দ্বিতীয় ম্যাচে তাকে সুযোগ দেয়া হয়নি। এবার সুযোগ পেলেন এবং ৫ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে আবারও ব্যর্থতার পরিচয় দিলেন।

 

শামীম হোসেন পাটোয়ারী নিজের নামের প্রতি মোটেও সুবিচার করতে পারেননি। ১২ বলে ৯ রান করে আউট হয়ে যান তিনি। রিশাদ হোসেন ব্যাট হাতে যতটা সম্ভাবনাময়ী ছিলেন, তার ছিটেফোঁটাও দেখাতে পারলেন না। ২ বল খেলে কোনো রান না করেই বিদায় নিলেন।

 

তানজিব সাকিব খেললেন ১২ বল। ৬ রান করে ছক্কা মারতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনে ধরা পড়েন তিনি। জাকের আলি অনিক শেষ দিকে এসে কিছুটা লড়াই চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন।

 

শেষ পর্যন্ত তিনি করেন ৩৪ বলে ৪১ রান। তারপর শরিফুল আর হাসান মাহমুদের দুর্দান্ত ব্যাটিং। আরব আমিরাতের স্পিনার হায়দার আলি মাত্র ৭ রান দিয়ে ৩টি উইকেট নেন। সগির খান ও মাতিউল্লাহ খান পান ২টি করে উইকেট।

 

এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো কোনো টেস্ট খেলুড়ে দেশের বিপক্ষে সিরিজ জিতেছে আরব-আমিরাত। আগেরটি ছিল আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ২০২১ সালে। সিরিজ জেতায় আমিরাতকে কৃতিত্ব দিলেও আগের ম্যাচের মতো লিটন কালও বলেছেন শিশিরের প্রভাবের কথা, ‘তারা খুবই ভালো খেলেছে, ভালো বল করেছে। কিন্তু ব্যাটিংয়ে তারা শিশিরের সুবিধা পেয়েছে। তারা তেমন আতঙ্কিত হয়নি, তাদের কৃতিত্ব দিতে হবে।’

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com