জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন দাবি সারজিস আলমের

ফাইল ছবি

 

অনলাইন ডেস্ক : জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। সোমবার (১৯ মে) রাতে নিজের ফেসবুক দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ দাবি জানান।

 

পোস্টে তিনি লেখেন, জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে ঢাকা সিটি কর্পোরেশনসহ সকল স্থানীয় নির্বাচন হোক। তাহলে ইশরাক ভাইয়ের মত যোগ্য ব্যক্তিরা তুলনামূলক লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডে প্রতিযোগিতা করে গ্রহণযোগ্যতা এবং জনপ্রিয়তার মাপকাঠিতে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হবে। তাছাড়া জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে স্থানীয় নির্বাচন হলে আরো গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়ে জনগণ এবং দেশ উপকৃত হবে।

 

এনসিপির এই নেতা লেখেন, বর্তমানে স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের অফিসগুলোতে জনপ্রতিনিধির অভাবে যে সেবাগুলো বিঘ্নিত হচ্ছে, জনগণ সেই সেবাগুলো আবার পেতে শুরু করবে। জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে এই স্থানীয় নির্বাচন সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অংশের লিটমাস টেস্ট হতে পারে। যেমন- নির্বাচন কমিশন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, বিচার বিভাগ। স্বচ্ছ নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য এগুলো কতটা কার্যকরী ভূমিকা পালন করছে সেই লিটমাস টেস্ট হতে পারে। অতঃপর, প্রয়োজন অনুযায়ী সংশোধন, সংযোজন, পরিমার্জন, বিয়োজন হতে পারে। সরাসরি জাতীয় নির্বাচন হলে যদি অপ্রত্যাশিত কিছু বিষয় পরিলক্ষিত হয় তাহলে সেগুলো সংশোধনের আর সুযোগ থাকবে না। নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে।

 

ক্ষমতাসীন সরকারের অধীনে মার্কা দিয়ে কিংবা সিলেকশন প্রক্রিয়ায় নমিনেশন দিয়ে ক্ষমতাসীন দলের মাইম্যানকে বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করে জনপ্রতিনিধি করা হয়। কিন্তু এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময় সেই স্থানীয় নির্বাচন হলে মাইম্যান নয় বরং জনগণের রায়ে জনগণের ম্যান জনপ্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার অধিক সম্ভাবনা থাকে।

 

বিএনপি এ মুহূর্তে সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল উলেখ্য করে পোস্টে তিনি লেখেন, তাদের কর্মী থেকে শুরু করে সমর্থনও সবচেয়ে বেশি। তাদের প্রতিনিধিদের নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনাও বেশি। তবে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়টা হবে সেটি হচ্ছে তাদের একাধিক প্রতিনিধির মধ্যে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য এবং জনপ্রিয় মানুষটি নির্বাচিত হবে। চাঁদাবাজ, ক্ষমতার অপব্যবহারকারী, সিন্ডিকেটের অংশীদার, তেলবাজরা জনপ্রতিনিধির চেয়ারে বসার সুযোগ পাবে না। আশাকরি এ বিষয়ে তাদের দ্বিমত থাকবে না।

 

সবশেষে তিনি আরও লেখেন, আগে স্থানীয় নির্বাচনের কথা বলছি বলে এখানে যেন জাতীয় নির্বাচন পিছানোর ষড়যন্ত্র খোঁজা না হয়। প্রয়োজনে জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে দেওয়া হোক। সেটা নিয়ে আমাদের আপত্তি থাকবে না।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» যারা সংস্কার পিছিয়ে দিচ্ছে, তারাই নির্বাচন পেছাতে চায়: হাসনাত আবদুল্লাহ

» চাঁদাবাজ-দখলদারদের বিএনপি বরদাশত করে না: রিজভী

» সাগর-রুনি হত্যার তদন্ত প্রতিবেদন ফের পেছালো

» ৯০ বছর পূর্তিতে কুসুম হয়ে আসছেন জয়া

» যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষিত ৩৫ শতাংশ শুল্ক চূড়ান্ত না: অর্থ উপদেষ্টা

» অন্তরঙ্গ দৃশ্যে রাজি না হওয়ায় কাজ হারিয়েছেন যারা

» নগদ টাকা, ওয়াকিটকি ও হ্যান্ডকাফসহ পাখি জসিম গ্রেফতার

» পৃথক অভিযান চালিয়ে বিদেশি মদ উদ্ধার ও ৩ মাদক কারবারি গ্রেফতার

» ডাকাত দলের মারধরে বাড়ির মালিকের মৃত্যু

» এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল দেখা যাবে যেভাবে

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন দাবি সারজিস আলমের

ফাইল ছবি

 

অনলাইন ডেস্ক : জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। সোমবার (১৯ মে) রাতে নিজের ফেসবুক দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ দাবি জানান।

 

পোস্টে তিনি লেখেন, জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে ঢাকা সিটি কর্পোরেশনসহ সকল স্থানীয় নির্বাচন হোক। তাহলে ইশরাক ভাইয়ের মত যোগ্য ব্যক্তিরা তুলনামূলক লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডে প্রতিযোগিতা করে গ্রহণযোগ্যতা এবং জনপ্রিয়তার মাপকাঠিতে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হবে। তাছাড়া জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে স্থানীয় নির্বাচন হলে আরো গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়ে জনগণ এবং দেশ উপকৃত হবে।

 

এনসিপির এই নেতা লেখেন, বর্তমানে স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের অফিসগুলোতে জনপ্রতিনিধির অভাবে যে সেবাগুলো বিঘ্নিত হচ্ছে, জনগণ সেই সেবাগুলো আবার পেতে শুরু করবে। জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে এই স্থানীয় নির্বাচন সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অংশের লিটমাস টেস্ট হতে পারে। যেমন- নির্বাচন কমিশন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, বিচার বিভাগ। স্বচ্ছ নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য এগুলো কতটা কার্যকরী ভূমিকা পালন করছে সেই লিটমাস টেস্ট হতে পারে। অতঃপর, প্রয়োজন অনুযায়ী সংশোধন, সংযোজন, পরিমার্জন, বিয়োজন হতে পারে। সরাসরি জাতীয় নির্বাচন হলে যদি অপ্রত্যাশিত কিছু বিষয় পরিলক্ষিত হয় তাহলে সেগুলো সংশোধনের আর সুযোগ থাকবে না। নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে।

 

ক্ষমতাসীন সরকারের অধীনে মার্কা দিয়ে কিংবা সিলেকশন প্রক্রিয়ায় নমিনেশন দিয়ে ক্ষমতাসীন দলের মাইম্যানকে বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করে জনপ্রতিনিধি করা হয়। কিন্তু এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময় সেই স্থানীয় নির্বাচন হলে মাইম্যান নয় বরং জনগণের রায়ে জনগণের ম্যান জনপ্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার অধিক সম্ভাবনা থাকে।

 

বিএনপি এ মুহূর্তে সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল উলেখ্য করে পোস্টে তিনি লেখেন, তাদের কর্মী থেকে শুরু করে সমর্থনও সবচেয়ে বেশি। তাদের প্রতিনিধিদের নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনাও বেশি। তবে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়টা হবে সেটি হচ্ছে তাদের একাধিক প্রতিনিধির মধ্যে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য এবং জনপ্রিয় মানুষটি নির্বাচিত হবে। চাঁদাবাজ, ক্ষমতার অপব্যবহারকারী, সিন্ডিকেটের অংশীদার, তেলবাজরা জনপ্রতিনিধির চেয়ারে বসার সুযোগ পাবে না। আশাকরি এ বিষয়ে তাদের দ্বিমত থাকবে না।

 

সবশেষে তিনি আরও লেখেন, আগে স্থানীয় নির্বাচনের কথা বলছি বলে এখানে যেন জাতীয় নির্বাচন পিছানোর ষড়যন্ত্র খোঁজা না হয়। প্রয়োজনে জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে দেওয়া হোক। সেটা নিয়ে আমাদের আপত্তি থাকবে না।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com