রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম নিয়ে আপিল বিভাগের ফের শুনানি ১ জুলাই

ফাইল ছবি

 

অনলাইন ডেস্ক : রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম সংক্রান্ত রিভিউ শুনানিতে আবারও সময় চাইল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

 

আজ রবিবার সকালে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের ৬ বিচারপতির বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি শুরু হলেও প্রস্তুতির জন্য অতিরিক্ত সময় প্রার্থনা করেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের আইনজীবী। আপিল বিভাগ শুনানি ১ জুলাই পর্যন্ত মুলতবি রেখেছে।

 

এর আগে ২৭ এপ্রিল শুরু হওয়া শুনানি আজ পর্যন্ত মুলতুবি ছিল।

 

১৯৮৬ সালে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ‘রুলস অব বিজনেস’ অনুযায়ী ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স তৈরি করে, যা রাষ্ট্রপতির অনুমোদন শেষে ওই বছরের ১১ সেপ্টেম্বর গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়। পরবর্তী সময়ে একাধিকবার এটি সংশোধন করা হলেও প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের বিচার বিভাগের পদাধিকারীদের উপরে রাখা হয়, যা নিয়ে শুরু থেকেই বিরোধ রয়েছে।

 

এমন বিষয় উল্লেখ করে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক মহাসচিব মো. আতাউর রহমান ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্সের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০০৬ সালে হাইকোর্টে রিটটি করেন।

 

২০১০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট ৮ দফা নির্দেশনাসহ ১৯৮৬ সালের ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স (সংশোধিত) অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে রায় দেয়। পরে ২০১১ সালে রাষ্ট্রপক্ষ ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে। দীর্ঘ শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ১১ জানুয়ারি আপিল বিভাগ চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করে, যেখানে হাইকোর্টের ৮ দফার কিছু অংশ সংশোধন করে তিনটি মূল নির্দেশনা দেয়া হয়।

 

আপিল বিভাগের নির্দেশনা ছিল-
১. যেহেতু সংবিধান দেশের সর্বোচ্চ আইন, তাই বিরোধপূর্ণ প্রিসিডেন্সে সাংবিধানিক পদধারীরা অগ্রাধিকার পাবেন।

২. জুডিশিয়াল সার্ভিসের সদস্য হিসেবে জেলা জজ ও সমপদমর্যাদা সম্পন্নরা সরকারের সচিবদের সঙ্গে ১৬ নম্বরে অবস্থান করবেন।

৩. জেলা জজদের পরেই অতিরিক্ত সচিবরা ১৭ নম্বর ক্রমিকে থাকবেন।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» বিশেষ অনুমতি ছাড়াই কুয়েতের ভিসা সুবিধা পাচ্ছেন বাংলাদেশিরা: আসিফ মাহমুদ

» জামালপুরে রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের সাধারণ সম্পাদককে অবৈধভাবে অপসারণ করার প্রতিবাদে স্মারকলিপি প্রদান

» ইসলামপুরে ঘূর্ণিঝড়ে লন্ডভন্ড ৫ শতাধিক ঘরবাড়ি খোলা আকাশের নিচে মানবেতন জীবনযাপন

» ক্রেডিট কার্ড ছাড়াই কিস্তিতে স্মার্টফোন কেনার সুবিধা আনল গ্রামীণফোন ও পামপে

» গ্রাহকদের বিমা সুবিধা প্রদানে গার্ডিয়ান ও এগ্রিগেট নেটওয়ার্কের চুক্তি স্বাক্ষর

» সাম্য হত্যার বিচার দাবিতে ছাত্রদলের শাহবাগ অবরোধ

» সন্ধ্যায় খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন অলি আহমদ

» ডিবি কার্যালয়ে নুসরাত ফারিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে

» ব্যাংকক গেলেন পার্থর স্ত্রী

» ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকার এডিপি অনুমোদন

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম নিয়ে আপিল বিভাগের ফের শুনানি ১ জুলাই

ফাইল ছবি

 

অনলাইন ডেস্ক : রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম সংক্রান্ত রিভিউ শুনানিতে আবারও সময় চাইল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

 

আজ রবিবার সকালে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের ৬ বিচারপতির বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি শুরু হলেও প্রস্তুতির জন্য অতিরিক্ত সময় প্রার্থনা করেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের আইনজীবী। আপিল বিভাগ শুনানি ১ জুলাই পর্যন্ত মুলতবি রেখেছে।

 

এর আগে ২৭ এপ্রিল শুরু হওয়া শুনানি আজ পর্যন্ত মুলতুবি ছিল।

 

১৯৮৬ সালে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ‘রুলস অব বিজনেস’ অনুযায়ী ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স তৈরি করে, যা রাষ্ট্রপতির অনুমোদন শেষে ওই বছরের ১১ সেপ্টেম্বর গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়। পরবর্তী সময়ে একাধিকবার এটি সংশোধন করা হলেও প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের বিচার বিভাগের পদাধিকারীদের উপরে রাখা হয়, যা নিয়ে শুরু থেকেই বিরোধ রয়েছে।

 

এমন বিষয় উল্লেখ করে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক মহাসচিব মো. আতাউর রহমান ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্সের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০০৬ সালে হাইকোর্টে রিটটি করেন।

 

২০১০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট ৮ দফা নির্দেশনাসহ ১৯৮৬ সালের ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স (সংশোধিত) অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে রায় দেয়। পরে ২০১১ সালে রাষ্ট্রপক্ষ ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে। দীর্ঘ শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ১১ জানুয়ারি আপিল বিভাগ চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করে, যেখানে হাইকোর্টের ৮ দফার কিছু অংশ সংশোধন করে তিনটি মূল নির্দেশনা দেয়া হয়।

 

আপিল বিভাগের নির্দেশনা ছিল-
১. যেহেতু সংবিধান দেশের সর্বোচ্চ আইন, তাই বিরোধপূর্ণ প্রিসিডেন্সে সাংবিধানিক পদধারীরা অগ্রাধিকার পাবেন।

২. জুডিশিয়াল সার্ভিসের সদস্য হিসেবে জেলা জজ ও সমপদমর্যাদা সম্পন্নরা সরকারের সচিবদের সঙ্গে ১৬ নম্বরে অবস্থান করবেন।

৩. জেলা জজদের পরেই অতিরিক্ত সচিবরা ১৭ নম্বর ক্রমিকে থাকবেন।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com