ফাইল ছবি
অনলাইন ডেস্ক : অনেকদিন ধরে মুসলিম মেয়েদেরকে সচেতন করার চেষ্টা করছি কিন্তু আপনাদের উত্তেজনার কাছে হার মেনে যাচ্ছি। সচেতন হোন প্লিজ, আর কিছু বললাম না বলে মন্তব্য করেছেন প্রবাসী সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন।
আজ নিজের ব্যাক্তিগত ভেরিফায়েড ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে এ মন্তব্য করেন ইলিয়াস। ইলিয়াস তার পোস্টের শেষে একটি লিংক যুক্ত করেন। যেখানে জানানো হয়,গাজীপুরের পুবাইল থানা পুলিশ সম্প্রতি এক হিন্দু যুবককে গ্রেফতার করেছে, যিনি অভিযোগ অনুযায়ী মুসলিম মেয়েদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্মান্তরের মাধ্যমে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। গ্রেফতারকৃত যুবকের নাম ঋত্তিক সাহা, যিনি রাজু সাহার ছেলে এবং গাজীপুরের সাতানীপাড়া এলাকার বাসিন্দা।
একটি সংঘবদ্ধ হিন্দু চক্র — যা ‘ইসকন’ এর নাম ব্যবহার করছে — মুসলিম মেয়েদের প্রেমের সম্পর্কের ফাঁদে ফেলে প্রথমে ঘনিষ্ঠতা গড়ে তোলে এবং পরবর্তীতে ব্ল্যাকমেইলের মাধ্যমে ধর্মান্তরিত করে। এই চক্রটি একাধিক ধাপে তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে থাকে।
ভুক্তভোগী তরুণী রোজার ভাষ্যমতে, ঋত্তিক প্রথমে নিজের ধর্ম গোপন করে তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। পরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে গাজীপুরের পুবাইলে নিজ বাসায় নিয়ে গিয়ে তিন মাস ধরে জোরপূর্বক স্বামী-স্ত্রীর মতো বসবাস করতে বাধ্য করে। এ সময় মুসলিম তরুণীকে হিন্দু ধর্মীয় রীতিনীতি পালন করতেও বাধ্য করা হয়, এমনকি শাখা-সিঁদুর পরিয়ে হিন্দু নারীর সাজে সাজানো হয়।
রোজা আরও অভিযোগ করেন, ধর্মীয় রীতিনীতি মানতে অস্বীকৃতি জানালে তার অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। এই মানসিক অত্যাচারের পাশাপাশি তাকে শারীরিকভাবেও নির্যাতন করা হয়।
ঘটনার পর স্থানীয় মুসলমানদের সহায়তায় থানা পুলিশ তাকে উদ্ধারে সক্ষম হয় এবং ভুক্তভোগী বর্তমানে দুই মাসের গর্ভবতী বলে জানা গেছে। রোজার পরিবার তার পাশে না দাঁড়ানোয় সে পরিবারহীন হয়ে পড়েছেন। বর্তমানে তিনি বিচার চেয়ে মামলা দায়ের করেছেন। পুবাইল থানার অফিসার ইনচার্জ আমিনুল ইসলাম জানান, “অভিযোগ পেয়ে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিয়েছি এবং তদন্ত করে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছি।”
অনুসন্ধান থেকে আরও জানা যায়, এই চক্রটি ফেসবুকের মাধ্যমে মুসলিম মেয়েদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলে এবং একই ধরনের একাধিক ঘটনা ঘটিয়েছে। ধর্মীয় সচেতন মহল মনে করছেন, এই ঘটনাগুলো একটি সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ, যেখানে মুসলিম মেয়েদের সতীত্ব নষ্ট করে সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করাই মূল উদ্দেশ্য।