সংগৃহীত ছবি
অনলাইন ডেস্ক : অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, চিকিৎসাসেবার পরিবেশ নিরাপদ রাখতে সরকার বদ্ধপরিকর।
মঙ্গলবার রাজধানীর শহীদ আবু সাঈদ ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে দুই দিনব্যাপী সিভিল সার্জন সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে হামলা, ভাঙচুর ও চিকিৎসকদের হুমকির মতো দুঃখজনক ঘটনা ঘটেছে, যার জন্য সরকার চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ চিকিৎসার পরিবেশ নিরাপদ, জনবান্ধব ও অনুকূল করতে কাজ করে যাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে সিভিল সার্জনদের প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আরও জোরদার করা জরুরি।
সিভিল সার্জনদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা সমাজের সবচেয়ে মেধাবী মানুষ। আপনাদের প্রতিটি সিদ্ধান্ত সরাসরি মানুষের জীবনকে প্রভাবিত করে।
স্বাস্থ্যসেবাকে আরো জনমুখী করার জন্য কিছু প্রস্তাবনা তুলে ধরেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। যেমন- পোস্টমর্টেম সেবা থানা পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া, ধর্ষণ মামলার ক্ষেত্রে মহিলা ডাক্তার দ্বারা পরীক্ষা করা এবং গ্রামে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের সম্মানী-ভাতা বৃদ্ধি করা।
এসব পদক্ষেপ বাস্তবায়ন হলে জনগণ দ্রুত সেবা পাবে এবং জনদুর্ভোগ কমে আসবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, মাদকবিরোধী অভিযান ও মানসিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় চিকিৎসকদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি সিভিল সার্জনদের থানা বা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের সঙ্গে অংশীদার হয়ে মাদক পুনর্বাসন ও কাউন্সেলিং কার্যক্রমকে আরো ফলপ্রসূ করতে আহ্বান জানান।
চিকিৎসকদের প্রতি জনগণের কিছু অভিযোগও রয়েছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, অনেক সরকারি চিকিৎসক হাসপাতালে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে উপস্থিত হন না বা পূর্ণ সময় থাকেন না। এসব অনুপস্থিতি স্বাস্থ্যসেবার মানে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে, যা স্বাস্থ্যখাতের জন্য নেতিবাচক ধারণা তৈরি করে।
এ সময় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান, মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমান, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব ডা. মো. সারোয়ার বারী উপস্থিত ছিলেন।