ফাইল ফটো
অনলাইন ডেস্ক : ঢাকা-৭ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ হাজী সেলিমকে আদালতে দেখতে আসেন ভাইয়ের মেয়েসহ স্বজনরা। তবে স্বজনদের কাছে না পেয়ে ভাতিজিকে দূর থেকে হাত দিয়ে ‘উড়ন্ত চুমু’ (ফ্লায়িং কিস) দেন হাজী সেলিম।
আজ সকালে তাকে কারাগার থেকে আদালতের হাজতখানায় আনা হয়।
এরপর তাকে হাতে হাতকড়া, বুকে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ও মাথায় হেলমেট পরিয়ে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট পার্থ ভদ্রের আদালতে তোলা হচ্ছিল। এ সময় দূরে ভাতিজিসহ স্বজনদের দেখেন হাজী সেলিম। এ সময় ভাতিজিকে ‘উড়ন্ত চুমু’ দেন তিনি। পরে শুনানি শেষে শাহবাগ থানার একটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর শুনানি হয়।
এদিন কারাগারে দেওয়া পত্রিকায় প্রকাশিত বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) জাহাজের টেন্ডার সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তির কাগজ কেটে আদালতে নিয়ে আসেন হাজী সেলিম। পরে কাগজের অংশ তার আইনজীবী শ্রী প্রাণ নাথের কাছে পৌঁছে দেন।
এদিকে শুনানি শেষে আবার হাজতখানায় নিয়ে যাওয়ার সময় হাজী সেলিম পুলিশ সদস্যদের ওপর চিৎকার-চেঁচামেচি করেন। ‘হ্যাত হ্যাত’ করে তাদের ওপর রাগ প্রকাশ করেন হাজী সেলিম।
চুমুর বিষয়ে আইনজীবী শ্রী প্রাণ নাথ বলেন, হাজী সেলিমকে দেখতে তার ভাইয়ের মেয়েসহ স্বজনরা আসেন। তবে চুমু দেওয়ার বিষয়টি আমার দৃষ্টিগোচর হয়নি। এ ছাড়া পত্রিকার বিজ্ঞপ্তির বিষয়ে আইনজীবী বলেন, আমার মক্কেল কারাগারে ডিভিশন পেয়েছেন। এ জন্য তাকে পত্রিকা দেওয়া হয়। তিনি পত্রিকা পড়তে গিয়ে জাহাজের টেন্ডার সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি দেখতে পান। যেহেতু তার জাহাজ রয়েছে, সেটার খোঁজখবর নিতেই তিনি পত্রিকার বিজ্ঞপ্তি কেটে নিয়ে আসেন।
এর আগে গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর রাতে পুরান ঢাকার বংশাল এলাকা থেকে হাজী সেলিমকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে বিভিন্ন মামলায় রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ।