প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্ট্রি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, অনুগ্রহ করে যেকোনো একটা শ্রমিকের বাড়িতে যান। তার দুপুরের খাবারের প্লেটটা দেখেন, কতটুকু খাবার আছে। আজ শ্রমিকের যদি অন্ন (খাবার) না জোটে, কল-কারখানা টিকে থাকবে না, দেশ টিকে থাকবে না। আজকে যদি কৃষক তার উৎপাদন না করে, তবে এই দেশ মানচিত্রে সীমিত হয়ে যাবে।
আজ জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিপ্লবী গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতি আয়োজিত গার্মেন্টস শ্রমিকদের গণতান্ত্রিক ও মানবিক অধিকার নিশ্চিতের দাবিতে এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, কোটিপতির সংখ্যা বেড়েছে। অপরদিকে দরিদ্র মানুষের হাহাকার বাড়ছে। আবার দেশে কুইক রেন্টাল রিনিউ করতে যাচ্ছেন। সর্বনাশ করবেন না। এই কুইক রেন্টালের যে টাকা তাদের পকেটে দেবেন, তার এক-পঞ্চমাংশ টাকা যদি কৃষক-শ্রমিককে দেন, দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে। বাজারদর কমবে। জনগণ কল কারখানায় হাসিমুখে কাজ করবে। শ্রমিক না বাঁচলে কৃষক না বাঁচলে দেশ বাঁচবে না।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী আপনি একটু চিন্তা করে দেখেন, এক কোটি কার্ড দেবেন কার মাধ্যমে? আপনার ছাত্রলীগের পান্ডা, দুর্নীতি পরায়ন আওয়ামী লীগার। এ করে কি জনগণের খাদ্য জুটবে?
শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, শ্রমিক ভাইদের বলছি, রাস্তায় থাকা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। আপনাদের আন্দোলন বহাল রাখতে হবে। আমার শরীর যতই খারাপ থাকুক, আপনাদের সাথে আছি। আমরা সম্মিলিতভাবে দুঃশাসন থেকে জনগণকে মুক্ত করব। দলীয় সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। নিরপেক্ষ বলেন, জাতীয় সরকার বলেন, সর্বদলীয় সরকার বলেন, নতুন করে আইনকানুন প্রয়োগ করে গরীবের ভাগ্য নিশ্চিত না করলে কোনো দেশ টেকে না। আজ সেটাই আহ্বান করছি।