জামায়াত-শিবিরের প্রশংসা, সন্তোষ শর্মা ইস্যুতে যে ‘নসিহত’ রফিকুল মাদানীর

ছবি সংগৃহীত

 

ডেস্ক রিপোর্ট : জেলখানায় আলেমদের ব্যাপারে খোঁজখবর এবং ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে বিশেষ অবদান রাখায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও এর ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্রশংসা করেছেন তরুণ আলেম রফিকুল ইসলাম মাদানী। তবে চলমান সন্তোষ শর্মা ইস্যুতে দলটিকে পরামর্শ দিয়ে কিছু কথা বলেছেন তিনি।

 

বৃহস্পতিবার দুপুরে রফিকুল ইসলাম মাদানী তার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে করা এক পোস্টে এসব কথা বলেন। তার পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো-

 

আমি যখন জেলখানায় ছিলাম, সেই সময় যেই দল বা দলের লোকেরা আমার ও আমার পরিবারের সবচেয়ে বেশি খোঁজখবর রেখেছে, সেই দলটির নাম জামায়াতে ইসলামি। শুধু আমি নই, অনেক মজলুম আলেমের খোঁজখবর রাখার এবং সহযোগিতা করার সাক্ষী আমি নিজে। জেলে আমি ও আমিরে জামায়াত কাছাকাছি ছিলাম। তিনি মাঝে মাঝে আমার রুমে হাদিয়া পাঠাতেন—এটা ছিল আমাদের প্রতি তাদের ভালোবাসা। আমি হেফাজতের আলেমদের বলতাম, ‘দেখেছেন জামায়াতের দূরদৃষ্টি!’

 

যে যতটুকু করেছে, ততটুকু বলাটা আমার নৈতিক দায়িত্ব; এখানে আমার কোনো দ্বিধা নেই। যারা ২৪-এর বিপ্লবের প্রকৃত চিত্র জানে, তারা নিশ্চয়ই স্বীকার করবে যে শাহাদাত পিয়াসী ছাত্রশিবিরের অবদান ছিল সবচেয়ে বেশি। অন্য ছাত্র সংগঠনগুলোর অবদান অবশ্যই আছে, তবে শেষ সময়ের মূল চ্যালেঞ্জটা ছাত্রশিবির নিয়েছিল। জামায়াতে ইসলামি এই জাতিকে সাদিক কায়েমের মতো তরুণ তুর্কি উপহার দিয়েছে। সেই জায়গা থেকেই আপনাদের মঙ্গল কামনায় কথাগুলো বলছি।

 

যে সন্তোষ শর্মা আমাকে, শায়খ হারুন ইজহার হাফিজাহুল্লাহ এবং আরও অনেক আলেমকে রিমান্ডে নির্যাতন করেছে, সে যে বাংলাদেশের এক চিহ্নিত .ড়. এজেন্ট—এটা কে না জানে! তাকে দাওয়াতি সেমিনারে আমন্ত্রণ জানানো হলে, আমাদের মনে কষ্ট আসাটাই স্বাভাবিক। যারা আমাদের সহযোগিতা করেছে, তাদের আমরা যখন আমাদের নির্যাতনকারীদের সম্মানের সাথে বক্তব্য দিতে দেখি, তখন তা অত্যন্ত কষ্টদায়ক হয়—যা সহজে বোঝানো যায় না।

 

তাই এই সমালোচনাকে বিনা ব্যাখ্যায় মূল্যায়ন করবেন বলে আশা করি। এটাও মনে রাখবেন—এই ভারত গোষ্ঠী কখনও আপনাদের ক্ষমতায় দেখতে চাইবে না। যতই তাদের সাথে মিল দেওয়ার চেষ্টা করেন, কোনো লাভ হবে না। বরং তাদের সাথে ওঠাবসা আপনাদের প্রতি দেশের মানুষের ভালোবাসা কমিয়ে দেবে। এমনকি আপনাদের দলের অনেকেও এই বিষয়টা সমর্থন করবেন না।

 

তাই নুরুজ্জামান নোমানী ভাইসহ যারা একপাক্ষিকভাবে এই ধরনের কাজকে সমর্থন করছেন এবং সমালোচকদের বিরুদ্ধে লেখালেখি করছেন—তাদের অনুরোধ করব এসব বন্ধ করুন।

 

জামায়াত নেতৃবৃন্দকে বলছি—সতর্ক থাকুন, এদের থেকে দূরে থাকুন, এবং হিতাকাঙ্ক্ষীদের সমালোচনাকে গুরুত্ব দিন।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» সংস্কার নিয়ে রাজনৈতিক ঐকমত্যের বিষয়গুলো প্রকাশের আহ্বান

» বিএনপি যেকোনো মূল্যে ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠায় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ : তারেক রহমান

» চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনকে আইনি নোটিশ দিয়েছেন জনতার বাংলাদেশ পার্টি

» কুয়েটের ঘটনায় ভিসির স্বৈরতান্ত্রিক মনোভাব প্রকাশ পেয়েছে : শিবির সভাপতি

» একের পর এক চমক দেখাচ্ছেন ড. ইউনূস, ৮ মাসে বদলে গেছে দৃশ্যপট, অর্থনীতির চূড়ায় বাংলাদেশ

» কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্মানসূচক অ্যাওয়ার্ড পেলেন প্রধান উপদেষ্টা

» ২০২৫ সালের প্রথম প্রান্তিকে প্রাইম ব্যাংকের নিট মুনাফা বেড়েছে ৫৯ শতাংশ

» বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সেইফগার্ডিং নিয়ে ব্রিটিশ কাউন্সিলের গোলটেবিল বৈঠক আয়োজন

» আকর্ষণীয় এক্সচেঞ্জ অফারসহ শুরু হলো অনার এক্স৮সি ফোনের প্রি-বুকিং

» টিপুর মুক্তির দাবিতে আলটিমেটাম

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

জামায়াত-শিবিরের প্রশংসা, সন্তোষ শর্মা ইস্যুতে যে ‘নসিহত’ রফিকুল মাদানীর

ছবি সংগৃহীত

 

ডেস্ক রিপোর্ট : জেলখানায় আলেমদের ব্যাপারে খোঁজখবর এবং ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে বিশেষ অবদান রাখায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও এর ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্রশংসা করেছেন তরুণ আলেম রফিকুল ইসলাম মাদানী। তবে চলমান সন্তোষ শর্মা ইস্যুতে দলটিকে পরামর্শ দিয়ে কিছু কথা বলেছেন তিনি।

 

বৃহস্পতিবার দুপুরে রফিকুল ইসলাম মাদানী তার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে করা এক পোস্টে এসব কথা বলেন। তার পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো-

 

আমি যখন জেলখানায় ছিলাম, সেই সময় যেই দল বা দলের লোকেরা আমার ও আমার পরিবারের সবচেয়ে বেশি খোঁজখবর রেখেছে, সেই দলটির নাম জামায়াতে ইসলামি। শুধু আমি নই, অনেক মজলুম আলেমের খোঁজখবর রাখার এবং সহযোগিতা করার সাক্ষী আমি নিজে। জেলে আমি ও আমিরে জামায়াত কাছাকাছি ছিলাম। তিনি মাঝে মাঝে আমার রুমে হাদিয়া পাঠাতেন—এটা ছিল আমাদের প্রতি তাদের ভালোবাসা। আমি হেফাজতের আলেমদের বলতাম, ‘দেখেছেন জামায়াতের দূরদৃষ্টি!’

 

যে যতটুকু করেছে, ততটুকু বলাটা আমার নৈতিক দায়িত্ব; এখানে আমার কোনো দ্বিধা নেই। যারা ২৪-এর বিপ্লবের প্রকৃত চিত্র জানে, তারা নিশ্চয়ই স্বীকার করবে যে শাহাদাত পিয়াসী ছাত্রশিবিরের অবদান ছিল সবচেয়ে বেশি। অন্য ছাত্র সংগঠনগুলোর অবদান অবশ্যই আছে, তবে শেষ সময়ের মূল চ্যালেঞ্জটা ছাত্রশিবির নিয়েছিল। জামায়াতে ইসলামি এই জাতিকে সাদিক কায়েমের মতো তরুণ তুর্কি উপহার দিয়েছে। সেই জায়গা থেকেই আপনাদের মঙ্গল কামনায় কথাগুলো বলছি।

 

যে সন্তোষ শর্মা আমাকে, শায়খ হারুন ইজহার হাফিজাহুল্লাহ এবং আরও অনেক আলেমকে রিমান্ডে নির্যাতন করেছে, সে যে বাংলাদেশের এক চিহ্নিত .ড়. এজেন্ট—এটা কে না জানে! তাকে দাওয়াতি সেমিনারে আমন্ত্রণ জানানো হলে, আমাদের মনে কষ্ট আসাটাই স্বাভাবিক। যারা আমাদের সহযোগিতা করেছে, তাদের আমরা যখন আমাদের নির্যাতনকারীদের সম্মানের সাথে বক্তব্য দিতে দেখি, তখন তা অত্যন্ত কষ্টদায়ক হয়—যা সহজে বোঝানো যায় না।

 

তাই এই সমালোচনাকে বিনা ব্যাখ্যায় মূল্যায়ন করবেন বলে আশা করি। এটাও মনে রাখবেন—এই ভারত গোষ্ঠী কখনও আপনাদের ক্ষমতায় দেখতে চাইবে না। যতই তাদের সাথে মিল দেওয়ার চেষ্টা করেন, কোনো লাভ হবে না। বরং তাদের সাথে ওঠাবসা আপনাদের প্রতি দেশের মানুষের ভালোবাসা কমিয়ে দেবে। এমনকি আপনাদের দলের অনেকেও এই বিষয়টা সমর্থন করবেন না।

 

তাই নুরুজ্জামান নোমানী ভাইসহ যারা একপাক্ষিকভাবে এই ধরনের কাজকে সমর্থন করছেন এবং সমালোচকদের বিরুদ্ধে লেখালেখি করছেন—তাদের অনুরোধ করব এসব বন্ধ করুন।

 

জামায়াত নেতৃবৃন্দকে বলছি—সতর্ক থাকুন, এদের থেকে দূরে থাকুন, এবং হিতাকাঙ্ক্ষীদের সমালোচনাকে গুরুত্ব দিন।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com