ছবি সংগৃহীত
ডেস্ক রিপোর্ট : বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আওয়ামী লীগের দোসর ও তাদের অনুসারীরা বিভিন্ন জায়গায় ঘাপটি মেরে আছে। তাদের কাছে প্রচুর টাকা আছে। পেট্রল কিনে বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার যে অর্থ, মানুষকে হত্যা করার জন্য যে অস্ত্র লাগে তার অর্থ তাদের কাছে আছে। এসব দমন করতে অন্তর্বর্তী সরকারের কি আইন প্রণয়ন করতে হবে, সেটা আপনারা জনগণের কাছে খোলাসা করুন।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার গড়পাড়া ইউনিয়নের চান্দইর গ্রামের চিত্রশিল্পী মানবেন্দ্রের বাড়িতে এসে এসব কথা বলেন তিনি।
রুহুল কবীর রিজভী বলেন, গণতন্ত্রকামী মানুষ অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন দিয়েছে। কিন্তু আইনিভাবে অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো ভিত্তি নেই। যারা গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছে তারা প্রত্যেকেই আপনাদের সমর্থন করেছে, সে অনুযায়ী আপনারা দেশ চালাচ্ছেন। এখন আওয়ামী লীগ কীভাবে রাজনীতি করবে সে দায়িত্ব অন্তর্বর্তী সরকারের। কারণ প্রশাসন আপনাদের হাতে, অন্য সব স্টেট মেশিনারি আপনাদের হাতে। আওয়ামী লীগকে নিয়ে আপনারা কি করবেন সেটা আপনাদেরই ঠিক করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, দোসরদের অনেকেই পালিয়ে গেছে পাশের দেশসহ অনেক দেশে। কিন্তু যারা নৈরাজ্য ছড়াচ্ছে তারা প্রশ্রয় পাচ্ছে কাদের মাধ্যমে। প্রশাসনের ব্যক্তিদের তো এটা জানার কথা। যারা ১৫ বছর যাবত শেখ হাসিনাকে পাহারা দিয়েছে, ব্যাংক লুট করেছে, অন্যের সম্পদ লুট করেছে, টাকা পাচার করেছে তারা আজ এ জনসমুদ্রের ভেতর কোথায় লুকিয়ে আছে, অন্তর্বর্তী সরকার যদি খুঁজে বের করতে না পারে তাহলে এ সরকারকে মানুষ ব্যর্থ সরকার বলবে।
বিএনপির এ নেতা আরও বলেন, এ সরকার নির্বাচন নিয়ে কি টালবাহানা করছে তা আমরা দেখছি। এ সরকার তো গণতন্ত্রে সংগ্রামের ফসল। প্রতিটা ক্ষেত্রে জবাবদিহিতা থাকতে হবে। জনগণের কাছে জবাবদিহিতা করতে হবে যে, মানবেন্দ্র ঘোষের বাড়িতে আগুন লাগলো কীভাবে। ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে তার চিত্রকর্ম দিয়ে, শৈল্পিক চেতনা দিয়ে প্রতিবাদ করেছে। মানবেন্দ্র ঘোষের মতো যারা গণতন্ত্রের কথা বলেছে, তারা প্রত্যেকেই আওয়ামী ফ্যাসিস্ট দোসরদের টার্গেটে পরিণত হয়ে আছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আফরোজা খানম রিতা, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট আজাদ খান, গোলাম আবেদীন কায়সার, বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকউদ্দিন ভূঁইয়া হাবু, যুবদলের সদস্য সচিব তুহিনুর রহমান তুহিন, যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুদ পারভেজ, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট জিন্নাহ খান জিন্নাহ, ছাত্রদলের সভাপতি আব্দুল খালেক শুভ ও সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম খান সজীব।