ছবি সংগৃহীত
ডেস্ক রিপোর্ট : নেই টেলিভিশনের কোনো গ্ল্যামারের জৌলুস। পায়ে সাধারণ স্যান্ডেল। গায়ে মেরুন রঙের মলিন সালোয়ার-কামিজ। মাথায় লাল ছোট্ট খোঁপা একাত্তর টিভির সাংবাদিক ফারজানা রুপার। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর বিতর্কিত বক্তব্যে আলোচনায় থাকা সাংবাদিক রুপা ছাড়াও গ্রেপ্তার হন তার স্বামী সাংবাদিক শাকিল আহমেদ।
তারা দুজনই কাশিমপুর কারাগারে রয়েছেন। একই কারাগারে থাকলেও নারী ও পুরুষের ভবন আলাদা হওয়ায় দীর্ঘদিন দেখা হয়নি তাদের। বুধবার (১৬ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মিনহাজুর রহমানের আদালতে তাদের দুজনকে বিভিন্ন মন্ত্রী-এমপির সঙ্গে রিমান্ড ও গ্রেপ্তার শুনানির জন্য তোলা হয়। কাঠগড়ায় এসেই দেখা হয় রুপা-শাকিলের। দীর্ঘদিন পর সাক্ষাৎ তাদের। শাকিলের গায়ে ধূসর কালো রঙের একটি টিশার্ট পরা ছিল। এ দম্পতি শুনানির দিকে খেয়াল না দিয়ে দুজনে হাত ধরে কাঠগড়ার এক পাশে কথা বলতে থাকেন।
বেশ কয়েক মিনিট এ দম্পতি নিজেদের ভিতর গল্প করতে থাকেন। এর মাঝে তাদের গল্পের ভিতর ঢোকেন একাত্তর টিভির সিইও মোজাম্মেল হক বাবু। বাবুও বেশ কয়েক মিনিট ধরে রুপার সঙ্গে কথা বলতে থাকেন। এর কিছুক্ষণ পরই রুপা এগিয়ে যান সাবেক মন্ত্রী কামরুল ইসলামের দিকে৷ কামরুল রুপার মাথায় আলতো করে কয়েকবার হাত বুলিয়ে দেন। এরপর কিছুক্ষণ তারা কথাও বলেন।
এদিকে শুনানি শেষে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকেন্দ্রিক রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার কুতুবখালী এলাকায় ইমরান হাসান হত্যা মামলায় একাত্তর টেলিভিশনের সিইও মোজাম্মেল হক বাবু, সাবেক বার্তাপ্রধান শাকিল আহমেদ ও সাবেক প্রধান প্রতিবেদক ও উপস্থাপক ফারজানা রুপাকে গ্রেপ্তার দেখান আদালত। এছাড়া একই থানাধীন দনিয়া এলাকায় মাদ্রাসা শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় ফারজানা রুপা ও শাকিল আহমেদকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরে শুনানি শেষে তাদের হাজতখানায়, পরে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
গত বছরের ২১ আগস্ট ফারজানা রুপা ও শাকিল আহমেদকে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আটক করে পুলিশ।