ফাইল ছবি
অনলাইন ডেস্ক : আগামী ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস। এদিন জাতির শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় সিক্ত হতে প্রস্তুত সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধ। এরই মধ্যে পুরো স্মৃতিসৌধ এলাকা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে। রংতুলির কাজও শেষ। সেই সঙ্গে স্মৃতিসৌধ এলাকায় চার স্তরের কঠোর নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। ১১ থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত সব দর্শনার্থীর প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
জাতীয় স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে গিয়ে দেখা যায়, বাহারি ফুলের সমারোহে সাজিয়ে তোলা হয়েছে স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণ। লাল ইটে সাদা রঙের ছোঁয়া শুভ্রতা ছড়াচ্ছে। বিভিন্ন স্থানে লাল টবে শোভা পাচ্ছে বাহারি ফুলগাছ। লেকের পানিতে নতুন করে রোপণ করা হয়েছে লাল শাপলা। স্মৃতিসৌধ চত্বরে ফুলের চারা রোপণ করছিলেন মো. আবদুল মতিন। তিনি বলেন, এখানে শহীদদের কবরস্থান আছে। আগামী ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস। এখানে কাজ করতে আমার কাছে ভালোই লাগে। দীর্ঘদিন ধরে এখানে কাজ করছি। সবুজে ঘেরা ১০৮ হেক্টর জমির ওপর নির্মিত স্মৃতিসৌধে সৌন্দর্যবর্ধনসহ নানা কাজ সম্পন্ন করেছেন সাভার গণপূর্ত বিভাগের আবুল বাশার।
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) স্মৃতিসৌধ চত্বর ঘুরে দেখা যায়, বিজয় দিবস উদযাপনের প্রস্তুতির শেষ মুহূর্তে ব্যস্ত সময় পার করছেন গণপূর্ত বিভাগের কর্মীরা। এদের মধ্যে কয়েকজন মিলে সড়কের পাশে ফাঁকা জায়গায় পরিকল্পনা অনুযায়ী ঘাসের চারা রোপণ করছেন। স্মৃতিসৌধ চত্বর পানি দিয়ে ধুয়েমুছে পরিষ্কার করা হচ্ছে, রংতুলির আঁচড়ে ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে বেদিসংলগ্ন সিঁড়িগুলো। সবুজ ঘাসের গালিচা কেটেছেঁটে নান্দনিক করে তোলা হচ্ছে। পুরোনো ফুলের গাছগুলোকে পরিচর্যা করার পাশাপাশি রোপণ করা হয়েছে নানা জাতের ফুলের গাছ। ভবনের দেয়ালে ঝোলানো হয়েছে বর্ণিল আলোকবাতি।
সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধের উপসহকারী প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন আনু বলেন, মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে ১ মাস ধরে শতাধিক পরিচ্ছন্নতাকর্মী কাজ করছেন স্মৃতির এ মিনারসহ ধোয়ামোছা আর সাজসজ্জায়। লাল-সবুজ ফুলের সমারোহে ছোট বাগানগুলোকে সাজানো হয়েছে অপরূপ সাজে। চত্বরের সিঁড়ি ও নানা স্থাপনায় লেগেছে রংতুলির আঁচড়। এছাড়া স্মৃতিসৌধ এলাকার সড়কগুলোতে বাহারি রঙের বাতি দিয়ে সাজানো হয়েছে। একই সঙ্গে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে চারদিকে সিসিটিভির আওতায় আনা হয়েছে। মহাসড়কের আবর্জনাও পরিষ্কার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পরিদর্শন শেষে সাংবাদিক সাথে কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে এবারের ভিন্ন প্রেক্ষাপটে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রায় ২৩ কিলোমিটার মহাসড়কে ১৩টি সেক্টরের মাধ্যমে ৪ হাজার পুলিশের ৪ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ১৬ ডিসেম্বর ভোরের সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে নাম না জানা লাখো শহিদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, কূটনৈতিক কোরের ডিন, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধারা।
এ সময় রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টাকে দেওয়া হবে তিন বাহিনীর গার্ড অব অনার। রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা নিবেদনের পর জনসাধারণের জন্য স্মৃতিসৌধ খুলে দেওয়া হবে। পরে সেখানে শ্রদ্ধা জানাবেন বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতারা।







