গ্রিনল্যান্ডের ভোটে জয়ী ‘ট্রাম্পবিরোধী’ মধ্যপন্থীরা

ছবি সংগৃহীত

 

ডেস্ক রিপোর্ট : গ্রিনল্যান্ডের পার্লামেন্ট ভোটে বিজয়ী হয়েছে ‘মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প-বিরোধী’ মধ্য-দক্ষিণপন্থী দল ডেমোক্র্যাটস পার্টি।

 

দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ডেনমার্কের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে পূর্ণ স্বাধীনতার সমর্থক নালেরাক পার্টি।

ডেনমার্ক সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকা বিশ্বের বৃহত্তম দ্বীপের পার্লামেন্ট নির্বাচনে এই দুই দলের প্রাপ্ত ভোট ২৯ দশমিক ৯ এবং ২৪ দশমিক ৫ শতাংশ। আসনসংখ্যা ১০ এবং ৮।

 

৩১ আসনের গ্রিনল্যান্ড পার্লামেন্টের নির্বাচনে ভোটারের সংখ্যা প্রায় ৪৪ হাজার। পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের ‘জাদুসংখ্যা’ ১৬ আসন। এবারের নির্বাচনে মোট ছ’টি দলের প্রার্থীরা লড়েছেন। ঘটনাচক্রে, তার মধ্যে চারটি দলই ডেনমার্কের নিয়ন্ত্রণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গ্রিনল্যান্ডের পূর্ণ স্বাধীনতার পক্ষে। ২০১৮ সালের পার্লামেন্টের ভোটে জিতে গ্রিনল্যান্ডে ক্ষমতা দখল করেছিল কমিউনিটি অব দ্য পিপল (আইএ) এবং ফরোয়ার্ড (এস) দলের জোট সরকার। প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন আইএ নেতা মিউটে এগেদে। এবারের ভোটে তার দল তৃতীয় স্থানে রয়েছে। সাড়ে ২১ শতাংশ ভোট পেয়ে সাতটি আসনে জিতেছে। ভোটের ফল থেকে স্পষ্ট এবারেও জোট সরকার হতে চলেছে গ্রিনল্যান্ডে।

 

প্রসঙ্গত, গত বছর মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণায় গ্রিনল্যান্ডকে আমেরিকায় অন্তর্ভুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দেন ট্রাম্প। দ্বিতীয় মেয়াদে হোয়াইট হাউসে ফেরা নিশ্চিত হওয়ার পর বলপ্রয়োগের হুঁশিয়ারিও দেন তিনি। সে সময় রিপাবলিকান নেতার ওই হুমকির প্রতিবাদ করেছিল ডেমোক্র্যাটস পার্টি। ট্রাম্পের ‘রক্তচক্ষু’ উপেক্ষা করেই মঙ্গলবার গ্রিনল্যান্ডের আঞ্চলিক পার্লামেন্টের ভোটগ্রহণ হয়। ইউরোপের দেশ ডেনমার্কের তত্ত্বাবধানেই হয় ‘গ্রিনল্যান্ড স্বশাসিত অঞ্চলের’ আইনসভার নির্বাচন।

 

ডেনমার্কের মূল ভূখণ্ড থেকে প্রায় ৩০০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ৫৬ হাজার জনসংখ্যার ‘বিশ্বের বৃহত্তম দ্বীপ’ প্রায় ৩০০ বছর ধরে কোপেনহাগেনের নিয়ন্ত্রণে। নিজস্ব অভ্যন্তরীণ বিষয়গুলো পরিচালনা ও উন্নয়ন সংক্রান্ত দায়িত্ব দ্বীপটির স্বায়ত্তশাসিত কর্তৃপক্ষ পালন করে। আর পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষানীতি সংক্রান্ত সিদ্ধান্তগুলো নেয় ডেনমার্ক সরকার। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গত কয়েক মাসে একাধিকবার ডেনমার্ক নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। এই প্রেক্ষাপটে এবারের নির্বাচন খুবই ‘তাৎপর্যপূর্ণ’। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ানসিএনএনএপি

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» গাজীপুরে দেড় ঘণ্টা পর শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ প্রত্যাহার

» ঢাবির সাবেক উপাচার্য আরেফিন সিদ্দিক আর নেই

» নাগালের মধ্যে সবজির দাম

» অশ্লীল ভিডিও কল থেকে বাঁচাবে হোয়াটসঅ্যাপের নতুন ফিচার

» সেলফি নিতে গিয়ে কাজলের পায়ে পাড়া বৃদ্ধের, অতঃপর…

» ঈদ বোনাসের দাবিতে শ্রমিকদের ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ

» আপনার এই গালির স্বাধীনতার জন্যই আন্দোলন করেছিলাম : হাসনাত

» সেই শিশুর মৃত্যু কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না : তারেক রহমান

» ঈদে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু আজ

» মাহমুদুল্লাহর অবসর নিয়ে যা বললেন সুজন

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

গ্রিনল্যান্ডের ভোটে জয়ী ‘ট্রাম্পবিরোধী’ মধ্যপন্থীরা

ছবি সংগৃহীত

 

ডেস্ক রিপোর্ট : গ্রিনল্যান্ডের পার্লামেন্ট ভোটে বিজয়ী হয়েছে ‘মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প-বিরোধী’ মধ্য-দক্ষিণপন্থী দল ডেমোক্র্যাটস পার্টি।

 

দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ডেনমার্কের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে পূর্ণ স্বাধীনতার সমর্থক নালেরাক পার্টি।

ডেনমার্ক সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকা বিশ্বের বৃহত্তম দ্বীপের পার্লামেন্ট নির্বাচনে এই দুই দলের প্রাপ্ত ভোট ২৯ দশমিক ৯ এবং ২৪ দশমিক ৫ শতাংশ। আসনসংখ্যা ১০ এবং ৮।

 

৩১ আসনের গ্রিনল্যান্ড পার্লামেন্টের নির্বাচনে ভোটারের সংখ্যা প্রায় ৪৪ হাজার। পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের ‘জাদুসংখ্যা’ ১৬ আসন। এবারের নির্বাচনে মোট ছ’টি দলের প্রার্থীরা লড়েছেন। ঘটনাচক্রে, তার মধ্যে চারটি দলই ডেনমার্কের নিয়ন্ত্রণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গ্রিনল্যান্ডের পূর্ণ স্বাধীনতার পক্ষে। ২০১৮ সালের পার্লামেন্টের ভোটে জিতে গ্রিনল্যান্ডে ক্ষমতা দখল করেছিল কমিউনিটি অব দ্য পিপল (আইএ) এবং ফরোয়ার্ড (এস) দলের জোট সরকার। প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন আইএ নেতা মিউটে এগেদে। এবারের ভোটে তার দল তৃতীয় স্থানে রয়েছে। সাড়ে ২১ শতাংশ ভোট পেয়ে সাতটি আসনে জিতেছে। ভোটের ফল থেকে স্পষ্ট এবারেও জোট সরকার হতে চলেছে গ্রিনল্যান্ডে।

 

প্রসঙ্গত, গত বছর মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণায় গ্রিনল্যান্ডকে আমেরিকায় অন্তর্ভুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দেন ট্রাম্প। দ্বিতীয় মেয়াদে হোয়াইট হাউসে ফেরা নিশ্চিত হওয়ার পর বলপ্রয়োগের হুঁশিয়ারিও দেন তিনি। সে সময় রিপাবলিকান নেতার ওই হুমকির প্রতিবাদ করেছিল ডেমোক্র্যাটস পার্টি। ট্রাম্পের ‘রক্তচক্ষু’ উপেক্ষা করেই মঙ্গলবার গ্রিনল্যান্ডের আঞ্চলিক পার্লামেন্টের ভোটগ্রহণ হয়। ইউরোপের দেশ ডেনমার্কের তত্ত্বাবধানেই হয় ‘গ্রিনল্যান্ড স্বশাসিত অঞ্চলের’ আইনসভার নির্বাচন।

 

ডেনমার্কের মূল ভূখণ্ড থেকে প্রায় ৩০০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ৫৬ হাজার জনসংখ্যার ‘বিশ্বের বৃহত্তম দ্বীপ’ প্রায় ৩০০ বছর ধরে কোপেনহাগেনের নিয়ন্ত্রণে। নিজস্ব অভ্যন্তরীণ বিষয়গুলো পরিচালনা ও উন্নয়ন সংক্রান্ত দায়িত্ব দ্বীপটির স্বায়ত্তশাসিত কর্তৃপক্ষ পালন করে। আর পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষানীতি সংক্রান্ত সিদ্ধান্তগুলো নেয় ডেনমার্ক সরকার। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গত কয়েক মাসে একাধিকবার ডেনমার্ক নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। এই প্রেক্ষাপটে এবারের নির্বাচন খুবই ‘তাৎপর্যপূর্ণ’। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ানসিএনএনএপি

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com