ছবি সংগৃহীত
ডেস্ক রিপোর্ট : জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) পাঠ্যবই সংশোধন ও পরিমার্জন কমিটির সদস্য রাখাল রাহার কড়া সমালোচনা করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম। তিনি ইসলাম সম্পর্কে কটূক্তি করেছেন এবং এখন শিক্ষা উপদেষ্টার নাম ভাঙিয়ে লুটপাটের অভিযোগও উঠেছে তার বিরুদ্ধে। অন্তর্বর্তী সরকার রাখাল রাহাকে অনেক ছাড় দিয়েছে, আর কোনো ছাড় নয় বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সারজিস আলম।
সোমবার (১০ মার্চ) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে সারজিস আলম এসব কথা বলেন।
সারজিস আলম লিখেন বলেন, ‘এই তথাকথিত ভণ্ড বুদ্ধিজীবী রাখাল রাহা আমার আল্লাহ এবং নবী (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তি করেছে আবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে শিক্ষা উপদেষ্টার নাম ভাঙিয়ে লুটপাট করার কথা শোনা যাচ্ছে।’
অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ্য করে সারজিস লিখেন- ‘সময় শেষ হওয়ার আগে তদন্ত করেন, সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেন। রাখাল রাহা ইস্যুতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অনেক ছাড় হয়ে গেছে। আর না।
গত ১৭ ফেব্রুয়ারি রাখাল রাহা ওরফে সাজ্জাদুর রহমান ইসলাম ধর্মকে কটূক্তি করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন। তার বিরুদ্ধে দেশের শীর্ষ আলেমরা বিবৃতি দিয়েছেন এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক প্রতিবাদও হয়েছে। ইতোমধ্যে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে ঢাকার একটি আদালতে রাখাল রাহার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
এদিকে পাঠ্যবই সংশোধন ও পরিমার্জন কমিটির অন্যতম সমন্বয়ক রাখাল রাহার বিরুদ্ধে ৪০০ কোটি টাকা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, চলতি বছর পাঠ্যবই ছাপায় কাগজের বাজারদরের চেয়ে টনপ্রতি ১৫ থেকে ২৫ হাজার টাকা বেশি দিতে হয়েছে মুদ্রণপ্রতিষ্ঠানগুলোকে। নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠান থেকে কাগজ না কিনলে বই ছাপার ছাড়পত্র মিলত না। কোন প্রতিষ্ঠান থেকে কাগজ কিনতে হবে তা নির্ধারণ করে দিত এনসিটিবি। যা এর আগে কখনও হয়নি। অভিযোগ আছে, এর নেপথ্যে ছিলেন এনসিটিবির সচিব, একজন সদস্য ও সাজ্জাদুর রহমান ওরফে রাখাল রাহা। তাদের পেছনে থেকে কাজ করেছেন তানভীর নামের এক ছাত্র-সমন্বয়ক।