ছবি সংগৃহীত
ডেস্ক রিপোর্ট : সংস্কার ও স্বৈরাচারের বিচার প্রক্রিয়ার সঙ্গে নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল হক। তিনি বলেন, একটি গোষ্ঠী এবং একটি নতুন দল সংস্কার ও স্বৈরাচারের দোসরদের বিচার না করা পর্যন্ত জাতীয় নির্বাচন নিয়ে টালবাহানার কথা বলছে।
শনিবার (৮ মার্চ) রাজধানীর মিরপুর এমডিসি স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে পল্লবী রুপনগর থানার শহীদ গুম পরিবার, ওলামা, শিক্ষকদের সম্মানে আয়োজিত এক ইফতার ও দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় আমিনুল হক বলেন, আমরাও দেশে পরিপূর্ণভাবে সংস্কার চাই এবং স্বৈরাচার শেখ হাসিনাসহ তার দোসরদের বিচার চাই। স্বৈরাচারের বিচার প্রক্রিয়া এবং রাষ্ট্র সংস্কারের সঙ্গে বাংলাদেশে নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক থাকতে পারে না। কারণ নির্বাচন হচ্ছে একটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ছয় মাস হতে চলেছে। কিন্তু সাধারণ জনগণের মধ্যে এখনো আতঙ্ক বিরাজ করছে। স্থিতিশীলতা আসেনি।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক বলেন, আপনারা দ্রুত একটা জাতীয় নির্বাচন দিন। নির্বাচনের মাধ্যমেই দেশে একটা জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা হবে। জনগণের সরকারই পারবে দেশের বিরুদ্ধে সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে স্বৈরাচারের বিচার ও পরিপূর্ণভাবে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সংস্কার করতে।
স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরে এসেও জনগণের কাঙ্ক্ষিত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয়নি বলে উল্লেখ করে আমিনুল হক বলেন, স্বাধীনতার মূলমন্ত্র, ঘোষণাপত্র কোনো কিছুই আজ পর্যন্ত আমরা বাস্তবায়ন করতে পারিনি।
স্বৈরাচার মুক্ত বাংলাদেশে আমরা যখন সুন্দর বাংলাদেশ গড়ার নতুন স্বপ্ন দেখছি, ঠিক তখনই বিভিন্ন মহল থেকে ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছি– মন্তব্য করেন বিএনপির এ নেতা।
সিটি ক্লাবের সভাপতি তারিক আল মামুনের সভাপতিত্বে এবং পল্লবী থানা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক কামাল হোসাইন খান ও যুগ্ম আহ্বায়ক মোকছেদুর রহমান আবিরের যৌথ সঞ্চালনায় ইফতার ও দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব মো. মোস্তফা জামান, যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন, এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন প্রমুখ।