ছবি সংগৃহীত
ডেস্ক রিপোর্ট : বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ভিডিও স্ট্রিমিং প্লাটফর্ম ইউটিউব। এ প্লাটফর্মের জনপ্রিয় চ্যানেলগুলো প্রতিদিন মিলিয়ন মিলিয়ন ভিডিও আপলোড দেয়। প্রতিদিন এসব ভিডিও দেখে থাকেন কয়েক মিলিয়ন মানুষ। তবে কিছু বিপত্তিও রয়েছে। আর এই বিপত্তি এড়াতে সম্প্রতি ভিডিও নির্মাতাদের সতর্ক করল ইউটিউব।
তারা জানিয়েছে, প্রতারকেরা বিভিন্ন উপায়ে ইউটিউবের নাম ও প্ল্যাটফর্মের ধরন ব্যবহার করে কনটেন্ট নির্মাতাদের টার্গেট করছে এবং ক্ষতিকর লিংকে প্রবেশ করানোর চেষ্টা করছে।
ইউটিউব আরও জানায়, ‘ইউটিউব বা এর কোনো কর্মী ব্যক্তিগত ভিডিওর মাধ্যমে কখনো কোনো বার্তা পাঠায় না বা নীতিগত পরিবর্তনের বিষয়ে যোগাযোগ করে না। যদি কেউ ইউটিউবের নাম ব্যবহার করে ব্যক্তিগতভাবে ভিডিও পাঠায়, সেটি নিঃসন্দেহে একটি ফিশিং প্রতারণা।’
ভিডিও নির্মাতাদের সতর্ক করার পেছনে কারণ হলো-কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি জনপ্রিয় হওয়ার পাশাপাশি এর অপব্যবহারও বাড়ছে। সম্প্রতি এ প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভুয়া ভিডিও তৈরি করা হচ্ছে, যা ‘ডিপফেক’ ভিডিও নামে পরিচিত। এসব ভিডিওতে নির্দিষ্ট ব্যক্তির অঙ্গপ্রত্যঙ্গ নড়াচড়া করার পাশাপাশি কণ্ঠস্বর ব্যবহার করায় অনেকেই বুঝতে পারেন না এটি নকল ভিডিও। এবার ইউটিউবের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) নীল মোহানের নকল ভিডিও তৈরি করে ইউটিউবের ভিডিও নির্মাতাদের ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করছে একদল সাইবার অপরাধী।
ইউটিউবের তথ্যমতে, ইউটিউবের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) নীল মোহানের ভুয়া ভিডিও ব্যবহার করে ফিশিং হামলা চালাচ্ছে একদল সাইবার অপরাধী। ভিডিওটি নির্মাতাদের কাছে পাঠিয়ে ইউটিউবের মনিটাইজেশন নীতিতে পরিবর্তনের কথা জানানো হচ্ছে। তবে এটি সম্পূর্ণ ভুয়া এবং এর মাধ্যমে প্রতারকেরা ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে।
সাম্প্রতিক সময়ে রেডিটসহ বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে এ ধরনের প্রতারণার বিষয়ে অভিযোগ উঠেছে। এক ব্যবহারকারী জানিয়েছেন, ‘নোটিফিকেশন ফর ইউটিউব ক্রিয়েটরস’ নামের একটি অ্যাকাউন্ট থেকে তার কাছে একটি ই-মেইল পাঠানো হয়েছে। সেখানে একটি ভিডিও শেয়ার করা হয়েছে এবং সেই ভিডিও দেখতে একটি নির্দিষ্ট ফাইল ডাউনলোড করতে বলা হয়েছে। আরেকজন ব্যবহারকারী জানিয়েছেন, ‘চ্যানেল ফর ক্রিয়েটরস’ নামের একটি অ্যাকাউন্ট থেকে পাঠানো ভিডিওতে ইউটিউবের নতুন মনিটাইজেশন নীতিতে সম্মতি দেওয়ার জন্য একটি লিংকে ক্লিক করতে বলা হয়েছে।
এর আগে ২০২৩ সালেও রেডিটের এক ব্যবহারকারী নীল মোহানের একটি ডিপফেক ভিডিও শনাক্ত করেছিলেন। এ ধরনের সন্দেহজনক ভিডিও বা বার্তা পেলে ইউটিউবের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে রিপোর্ট করার পরামর্শ দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। সূত্র: দ্য ভার্জ