সংগৃহীত ছবি
অনলাইন ডেস্ক : ইন্দোনেশিয়ায় বাজেট কাটছাঁটসহ সরকারের বিভিন্ন নীতির বিরুদ্ধে রাজপথে নেমেছেন শিক্ষার্থীরা। গতকাল শুক্রবার রাজধানী জাকার্তাসহ বিভিন্ন প্রধান শহরে রাস্তায় নেমে আসেন তাঁরা।
প্রেসিডেন্ট প্রাবোও সুবিয়ান্তোর ১৯ বিলিয়ন ডলারের ব্যয় হ্রাস নীতিকে ‘ডার্ক ইন্দোনেশিয়া’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন আন্দোলনকারীরা। তাঁদের আশঙ্কা, এই পদক্ষেপ সরকারের সামাজিক সহায়তা নীতিকে দুর্বল করবে, যা তাঁদের ভবিষ্যৎকে অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দেবে।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়, ঘন কালো মেঘে আকাশ অন্ধকারে ঢেকে গেলেও শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ অব্যাহত রাখেন। বৃষ্টির মধ্যেই তাঁরা জাকার্তার প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের সামনে জড়ো হয়ে প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের দাবি জানান।
এ সময় আন্দোলনকারীদের বলতে শোনা যায়, “কথা বলতে পারলে প্রেসিডেন্ট প্রাবোও সুবিয়ান্তোর প্রিয় বিড়ালটিও আমাদের সঙ্গে যোগ দিত।
ভূমিধস জয় পেয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার চার মাসের মাথায় এমন বিক্ষোভের মুখে পড়লেন প্রাবোও সুবিয়ান্তো। রাজপথের বিক্ষোভের পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়াতেও তাঁর বাজেট কাটছাঁট নীতির ব্যাপক সমালোচনা করছেন নেটিজেনরা।
‘ডার্ক ইন্দোনেশিয়া’—এই নামকরণের ব্যাখ্যা
সরকারের নীতিকে ‘ডার্ক ইন্দোনেশিয়া’ নামকরণের কারণ ব্যাখ্যা করে ছাত্রনেতা হেরিয়ান্তো বলেন, “দেশ অন্ধকারে রয়েছে। সরকারের নীতিগুলো অস্পষ্ট এবং গণবান্ধব নয়। এমন বিবেচনা থেকেই আমরা এই নাম দিয়েছি।
সরকারের পরিকল্পনা ও শিক্ষার্থীদের আপত্তি
ব্যয় সংকোচনের মাধ্যমে সাশ্রয় করা অর্থ সরকারের বিভিন্ন নীতি বাস্তবায়নে ব্যয় করার পরিকল্পনা রয়েছে। বিশেষ করে স্কুলগুলোয় পুষ্টিকর মধ্যাহ্নভোজ বিতরণে এই অর্থ ব্যবহার করতে চায় সরকার। তবে এই পরিকল্পনার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
তাঁদের মতে, এই পদক্ষেপের ফলে একদিকে টিউশন ফি বেড়ে যাবে; অন্যদিকে শিক্ষকদের ওপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
বিক্ষোভকারীরা সরকারের নীতি পরিবর্তনের দাবিতে অনড়। তাঁদের দাবি, “শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দেওয়া চলবে না।” তবে সরকার এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।সূত্র: রয়টার্স