বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ওটিটি, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, গণমাধ্যম গুলিয়ে ফেলেছেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
সোমবার সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
এর আগে ওটিটি বিষয়ে টেলিপ্যাথি নেতাদের সঙ্গে বৈঠক এবং ‘জয় বাংলা’ জাতীয় স্লোগান, ‘সুপ্রিম কোর্টের পটভূমি বই’ ও ‘বাংলাদেশের রাজনীতি ও বঙ্গবন্ধুর পরিবার’ এর মোড়ক উন্মোচন করেন ।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ওটিটি নিয়ে একটি নীতিমালা হচ্ছে। যেকোনো বিষয়ে চলতে হলে একটা নিয়মিত নীতির মধ্যে দিয়ে চলতে হয়। যাতে কোনো কোনো কিছুর অপপ্রচার না হয়। তাই ওটিটি ডিজিটাল প্লাটফর্মের বিষয়ে একটি নীতিমালা হচ্ছে। অতীতে আমরা দেখেছি বিদেশি বিভিন্ন ওটিটি প্লাটফর্ম বাংলাদেশকে ইনভাইট করেছে। এসব প্লাটফর্মে অনেক কিছু আপলোড হয় যেটা আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি, সংস্কৃতি-ঐতিহ্যের সাথে সাংঘর্ষিক। এগুলোতে আমরা অতীতে এমন কিছু দেখেছি যেগুলো দেশের যুবকদের জন্য ভালো না ও আমাদের দেশের মূল্যবোধের উপর আঘাত হানে। তাই এবিষয়ে নীতিমালা করার জন্য আমাদের দেশে একটি দাবি ওঠেছিল। আমাদের দেশের অনেক ওটিটি প্ল্যাটফর্মও বিভিন্ন ভালো করছে। নীতিমালা করার কারণ হচ্ছে আমাদের দেশের ওটিটি প্ল্যাটফর্ম গুলো যেন ভালোভাবে তৈরি হয় এবং যে সকল ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বাজার আছে সেগুলো যেন সুরক্ষা হয়। বিদেশি ওটিটি প্ল্যাটফর্ম যেভাবে নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে আমাদের দেশের বাজার দখল করছে সেটা কোনো দেশেই হওয়া বাঞ্ছনীয় নয়। এর জন্য কিন্তু ভারতের ওটিটি প্ল্যাটফর্ম নীতিমালা আরও আগেই তৈরি করেছে। সেখানে কোনো কিছু আপলোড করতে হলে সরকারের অনুমতি নিতে হয়। কিন্তু আমরা সেটা চাই না, তবে একটা নীতিমালার মধ্যে থাকা ভালো। সেজন্য বিভিন্ন লোকের সঙ্গে আলোচনা করে একটি নীতিমালার খসড়া তৈরি হয়েছে। আমাদের সরকার চায় ওটিটি প্লাটফর্মে নীতিমালার মাধ্যমে আমাদের বিনোদন ওটিটি প্ল্যাটফর্ম গুলো আরো বিকশিত হোক।
সবকিছুর মধ্যে রাজনৈতিক ইস্যু নিয়ে আসা উচিত নয় উল্লেখ করে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, আমি দেখে ও আশ্চর্য হলাম যে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ওটিটি প্ল্যাটফর্ম ও সামাজিক মাধ্যম গুলিয়ে ফেলছেন। তবে এটি কোনো রাজনৈতিক বিষয় না। কিন্তু কেউ কেউ এটিকে রাজনীতির দিকে টেনে নিচ্ছেন। ওটিটি, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে, গণমাধ্যমে নিয়ে গুলিয়ে ফেলেছেন।
এটা দেখে আমি নিজেও অবাক হয়েছি। ওটিটি, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে, গণমাধ্যমে কী সেটা বুঝতে হবে। তাকে যারা পরামর্শ দেয় তারা ভুল পরামর্শ দিয়েছেন।