সংগৃহীত ছবি
অনলাইন ডেস্ক : খুলনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) সংঘর্ষ ও হামলার ঘটনাকে ‘দুঃখজনক’ বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘নতুন বাংলাদেশে পূর্বের ফ্যাসিবাদী সময়ের মতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ ধরনের হামলা, এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে কথা বলেছি যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য যে, কারা এটার পেছনে জড়িত আছে। দ্রুত আইনিভাবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ এসব কথা বলেন।
আগামীর বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদী সময়ের মতো ক্যাম্পাসে ছাত্রদের ওপর নিপীড়ন, গেস্টরুমে-গণরুমে নির্যাতনের মতো ছাত্ররাজনীতির নেতিবাচক বিষয়গুলো যাতে আর কখনোই ফিরে না আসে সেজন্য ছাত্র সংগঠন থেকে শুরু করে রাজনৈতিক সংগঠন সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
কুয়েটের ঘটনায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে এই উপদেষ্টা জানিয়েছেন, জড়িতদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।
আসিস মাহমুদ বলেন, ‘সঠিকভাবে তদন্ত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত এটা বলা উচিত হবে না যে আসলে কারা এটা ঘটিয়েছে। আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে কথা বলেছি বিষয়টি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্ত করে, ভিডিও ফুটেজ, ছবি দেখে বের করার জন্য কারা এর সঙ্গে জড়িত, কারা অস্ত্রের মহড়া দিয়েছে। সে যেই হোক তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।
এছাড়া গত মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) আওয়ামী লীগের নির্বাচনে আসা নিয়ে করা এক মন্তব্য গণমাধ্যমে সঠিকভাবে আসেনি জানিয়ে বিষয়টি আবারও তুলে ধরেন এই উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিবাদীদের বা আওয়ামী লীগের বাংলাদেশে নির্বাচন করার প্রশ্নটাই এখন অবান্তর। বিচারসহ যেই বিষয়গুলো আছে সেগুলো সমাধান করার আগ পর্যন্ত। তবে আমরা পৃথিবীতে বিভিন্ন জায়গায় গণঅভ্যুত্থান বা বিপ্লবের পরে এ ধরনের নজির দেখেছি কীভাবে এ অবস্থা থেকে উত্তরণ করা যায়।
সেই নজিরগুলোকে ফলো করে ট্রুথ কমিশন কিংবা এ ধরনের ব্যবস্থার মাধ্যমে কীভাবে আওয়ামী লীগের বিষয়টা সমাধান করা যায় সেটা নিয়ে সরকার কাজ করবে বলে জানান তিনি।
তবে শুধু নিষিদ্ধ করেই এ ধরনের সংগঠনের রাজনৈতিক কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ করা যায় না বলে উল্লেখ করেছেন মাহমুদ। যেটা জামায়াতে ইসলামীর ক্ষেত্রে হয়েছে।
আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘শুধু নিষিদ্ধ না, আমরা মনে করে করি এ রকমের একটি ফ্যাসিবাদী দল যারা নাজিদের (নাৎসি) মতো গণহত্যা চালিয়েছে তাদের বাংলাদেশ থেকে নির্মূল করা উচিত। সেটা করার জন্য শুধু মাত্র লিগ্যালি নিষিদ্ধ করা সমাধান নয়, এর পাশাপাশি সামাজিকভাবে ও আদর্শিকভাবে তাকে দূর করার জন্য যে ধরনের উদ্যোগ নেওয়া উচিত সরকার সেটা নেবে।’ সূত্র: বিবিসি বাংলা।