জয়পুরহাটের আক্কেলপুরের তিলকপুরে দীনা হিমাগারের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ

সুলতান মাহমুদ, জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধি : কৃষকদের স্বার্থ রক্ষায় জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার তিলকপুরে দীনা কোল্ড স্টোর নিয়েছে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ। এবার কৃষকদের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৮০ শতাংশ জায়গা, যেখানে তারা আইডি কার্ড দেখিয়ে ১০ বস্তা করে বীজের আলু সংরক্ষণ করতে পারবেন। অন্যদিকে, ব্যবসায়ীদের জন্য বরাদ্দ মাত্র ২০ শতাংশ।এতে করে আগামীতে সিন্ডিকেট কম হওয়ার আশা করছে হিমাগার কর্তৃপক্ষ।

জানা গেছে, জয়পুরহাট জেলায় এবার ১০ লাখ মেট্রিক টনের বেশি আলু উৎপাদন হবে। এর মধ্যে জেলার হিমাগারে প্রায় ২ লাখ মেট্রিক টন আলু মজুদ করা হয়। এবছর আলুর আবাদ বিগত বছরের চেয়ে বেশি হওয়ায় হিমাগারগুলোতে সংরক্ষণের চাপও বাড়ছে। বর্তমান আলুর দাম কম হওয়ায় কৃষকরা হিমাগারে আলু সংরক্ষণ করছেন। বর্তমান জেলার বিভিন্ন হিমাগারে ৫০ ভাগ কৃষক আর ৫০ ভাগ ব্যবসায়ী আলু রাখার সুযোগ পাচ্ছেন। এদিকে পরে যাতে সিন্ডিকেট না হয় এজন্য আক্কেলপুর উপজেলার তিলকপুরে দীনা কোল্ড স্টোরে কৃষকদের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৮০ শতাংশ ও ব্যবসায়ীদের জন্য ২০ জায়গা।প্রতিটি কৃষক জাতীয় পরিচয়পত্র জমা দিয়ে বীজের জন্য ১০ বস্তা করে আলু রাখতে পারছেন। কৃষকদের কোটা পূরণ হলে তারপর ব্যবসায়ীদের আলু নেওয়া হবে।

নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের কৃষক মহন বলেন, প্রতিবছর এই হিমাগারে আলু সংরক্ষণ করি। এবারও আলু রাখতে আসছিলাম।আমি ১০ বস্তা বীজের আলু রেখেছি।এখানে অন্যান্য হিমাগারের চেয়ে ভাড়াও কিছুটা কম।

আক্কেলপুরের টিএনটির মোড়ের মোজাম্মেল বলেন, এখানে এবার কৃষকদের জন্য জায়গা বাড়ানো হয়েছে তা অনেক ভাল উদ্যোগ। তবে সংরক্ষণের পরিমানটা আরও একটু বাড়ালে ভাল হতো।

আলু ব্যবসায়ী মুকুল হোসেন বলেন, আলু সংরক্ষণ করার জন্য এসেছিলাম।কিন্তু এসে শুনি কৃষকদের আলু আগে নেওয়া হচ্ছে এবং ব্যবসায়ীদের সংরক্ষণের পরিমাণ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। এজন্য আমাদের তো কিছুটা সমস্যা হবেই।

হিমাগারের ম্যানেজার সুপন বড়ুয়া বলেন, প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকরা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেজন্য চলতি মৌসুমে ৮০% কৃষক ও ২০% ব্যবসায়ীদের বীজ আলু সংরক্ষণ করা হবে। এছাড়া ভাড়ার রেটও অন্যান্য হিমাগারের চেয়ে কিছুটা কম। এতে করে কৃষকরা অনেকটা উপকৃত হবে বলে মনে করছি।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» টানা দুই জয়ে সিরিজ ড্র বাংলাদেশের

» ১ মার্চ রোজা হলে ৩৩ বছর পর দেখা যাবে ‘বিরল’ দিন

» স্বর্ণের দাম বাড়ল

» জাতিকে অনিশ্চয়তার মধ্যে না রেখে দ্রুত ভোট দিন : মির্জা ফখরুল

» আগামীর সরকার হবে বিএনপির সরকার : আমান

» রমজানে ভোগ্যপণ্যের মজুত করলে কঠোর হবে সরকার: অর্থ উপদেষ্টা

» তথ্য-প্রযুক্তিতে বাংলা ভাষার ব্যবহার নিশ্চিত করতে সরকার কাজ করছে: প্রধান উপদেষ্টা

» অপারেশন ডেভিল হান্ট: সারাদেশে গ্রেফতার ৪৯২

» লক্ষ্মীপুরে বিএনপির সমাবেশে আমির খসরু চৌধুরী- রাজনীতিতে সম্মানবোধ থাকতে হবে, অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার করার ক্ষমতা নেই

» শেফস অ্যাভিনিউর যাত্রা শুরু, স্বাদের মেলায় নতুন কিছু

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

জয়পুরহাটের আক্কেলপুরের তিলকপুরে দীনা হিমাগারের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ

সুলতান মাহমুদ, জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধি : কৃষকদের স্বার্থ রক্ষায় জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার তিলকপুরে দীনা কোল্ড স্টোর নিয়েছে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ। এবার কৃষকদের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৮০ শতাংশ জায়গা, যেখানে তারা আইডি কার্ড দেখিয়ে ১০ বস্তা করে বীজের আলু সংরক্ষণ করতে পারবেন। অন্যদিকে, ব্যবসায়ীদের জন্য বরাদ্দ মাত্র ২০ শতাংশ।এতে করে আগামীতে সিন্ডিকেট কম হওয়ার আশা করছে হিমাগার কর্তৃপক্ষ।

জানা গেছে, জয়পুরহাট জেলায় এবার ১০ লাখ মেট্রিক টনের বেশি আলু উৎপাদন হবে। এর মধ্যে জেলার হিমাগারে প্রায় ২ লাখ মেট্রিক টন আলু মজুদ করা হয়। এবছর আলুর আবাদ বিগত বছরের চেয়ে বেশি হওয়ায় হিমাগারগুলোতে সংরক্ষণের চাপও বাড়ছে। বর্তমান আলুর দাম কম হওয়ায় কৃষকরা হিমাগারে আলু সংরক্ষণ করছেন। বর্তমান জেলার বিভিন্ন হিমাগারে ৫০ ভাগ কৃষক আর ৫০ ভাগ ব্যবসায়ী আলু রাখার সুযোগ পাচ্ছেন। এদিকে পরে যাতে সিন্ডিকেট না হয় এজন্য আক্কেলপুর উপজেলার তিলকপুরে দীনা কোল্ড স্টোরে কৃষকদের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৮০ শতাংশ ও ব্যবসায়ীদের জন্য ২০ জায়গা।প্রতিটি কৃষক জাতীয় পরিচয়পত্র জমা দিয়ে বীজের জন্য ১০ বস্তা করে আলু রাখতে পারছেন। কৃষকদের কোটা পূরণ হলে তারপর ব্যবসায়ীদের আলু নেওয়া হবে।

নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের কৃষক মহন বলেন, প্রতিবছর এই হিমাগারে আলু সংরক্ষণ করি। এবারও আলু রাখতে আসছিলাম।আমি ১০ বস্তা বীজের আলু রেখেছি।এখানে অন্যান্য হিমাগারের চেয়ে ভাড়াও কিছুটা কম।

আক্কেলপুরের টিএনটির মোড়ের মোজাম্মেল বলেন, এখানে এবার কৃষকদের জন্য জায়গা বাড়ানো হয়েছে তা অনেক ভাল উদ্যোগ। তবে সংরক্ষণের পরিমানটা আরও একটু বাড়ালে ভাল হতো।

আলু ব্যবসায়ী মুকুল হোসেন বলেন, আলু সংরক্ষণ করার জন্য এসেছিলাম।কিন্তু এসে শুনি কৃষকদের আলু আগে নেওয়া হচ্ছে এবং ব্যবসায়ীদের সংরক্ষণের পরিমাণ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। এজন্য আমাদের তো কিছুটা সমস্যা হবেই।

হিমাগারের ম্যানেজার সুপন বড়ুয়া বলেন, প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকরা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেজন্য চলতি মৌসুমে ৮০% কৃষক ও ২০% ব্যবসায়ীদের বীজ আলু সংরক্ষণ করা হবে। এছাড়া ভাড়ার রেটও অন্যান্য হিমাগারের চেয়ে কিছুটা কম। এতে করে কৃষকরা অনেকটা উপকৃত হবে বলে মনে করছি।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com