সংগৃহীত ছবি
অনলাইন ডেস্ক : বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক বলেছেন, ‘বিগত ৫৩ বছর বাংলাদেশের আমল, ২৪ বছর পাকিস্তানের আমল, ৭৭ বছরের সমস্ত বঞ্চনার এবার কবর রচনা করতে হবে। ভারতীয় আধিপত্যবাদকে শিকড়সহ উপড়ে ফেলতে হবে।
শাপলা চত্বর ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গণহত্যার বিচার, জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের ঘোষণাপত্রে আলেম সমাজের অবদানের স্বীকৃতি ও খেলাফত প্রতিষ্ঠার দাবিতে আয়োজিত গণ সমাবেশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস কুষ্টিয়া জেলা শাখার আয়োজনে সোমবার বিকালে কুষ্টিয়া হাই স্কুল মাটি এ গণ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
মাওলানা মামুনুল হক বলেন, ‘১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে হত্যা করা হয় ৭২ সালের সংবিধানের মাধ্যমে। এভাবেই ৭১ এর চেতনার নামে বিগত ৫০ বছর পর্যন্ত আওয়ামী ফ্যাসিবাদী বাকশালি শক্তি ৭২-এর চেতনা গেলাবার চেষ্টা করেছে। ২০২৪ সালে যেই ঐতিহাসিক বিজয় আমরা অর্জন করেছি। সেই বিজয়কে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য পর্যন্ত পৌঁছাতে হবে। বৈষম্যের কবর রচনা করতে হবে। সমস্ত জুলুম ও শোষণকে শেকড়সহ উপড়ে ফেলতে হবে।
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আরও বলেন, ‘ভারতে পালিয়ে যাওয়ার আগের দিনেও বললেন, শেখ হাসিনা পালায় না। এই কথা বলে সে তার নেতাকর্মীদের জনগণের মুখোমুখি আরও বেশি যুদ্ধের মুখে ঠেলে দিয়েছে। তারপর পালিয়ে গেছে। পালিয়ে গিয়ে নিজে এবং নিজের পরিবারের আখের গুছিয়েছে। এতো বিশাল ঐতিহ্যবাহী আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করে দিয়ে গেছে। আওয়ামী লীগের নেতারা বেগম জিয়া ও ড. ইউনূসকে দায়ী করবেন না। ধ্বংসের জন্য সবচেয়ে বড় দায়ী হচ্ছে শেখ হাসিনা। … যেই ফ্যাসিবাদ বাংলার মাটি থেকে বিতাড়িত হয়েছে, সেই ফ্যাসিবাদকে আর কখনো বাংলার মাটিতে পুনর্বাসিত হতে দেয়া যাবে না।
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কুষ্টিয়া জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা আব্দুল লতিফ খানের সভাপতিত্বে গণসমাবেশ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দলের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমিন, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা শরীফ সাইদুর রহমান, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা জহিরুল ইসলাম, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা শরাফত হুসাইন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আবুল হাসানাত জালালী, বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মদ কামাল উদ্দীন। এসময় দলের স্থানীয় ও সহযোগী সংগঠনের হাজারো নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।