সংগৃহীত ছবি
অনলাইন ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদে ভারতীয় বংশোদ্ভুত পল কাপুরকে মনোনয়ন দিয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। তবে এই মনোনয়নে এখন সিনেটের অনুমোদন বাকি আছে। সিনেটের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অন্তর্গত দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া-বিষয়ক ব্যুরো এই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতি নির্ধারণে কাজ করে। এটি আফগানিস্তান, বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, মালদ্বীপ, নেপাল, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, তাজিকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান এবং উজবেকিস্তানের মতো দেশের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক তত্ত্বাবধান করে। যুক্তরাষ্ট্রে ক্ষমতার পালাবদলের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ থেকে সরে যেতে হয় ডোনাল্ড লুকে। তিনি জো বাইডেনের সময় নিয়োগ পেয়েছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাফেয়ার্সের নেভাল পোস্ট গ্র্যাজুয়েট স্কুলের অধ্যাপক পল কাপুর দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতি, নিরাপত্তা ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক হিসেবে পরিচিত। তিনি ২০২০ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করেছেন। ওই সময়ে তিনি মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়া, ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় কৌশল, যুক্তরাষ্ট্র-ভারত সম্পর্কের বিষয়ে নীতি প্রণয়ন বিভাগের কাজে সম্পৃক্ত ছিলেন। পল কাপুর ক্যালিফোর্নিয়ার বাসিন্দা এবং ভারত ও পাকিস্তান বিষয়ক বিশেষজ্ঞ হিসেবে পরিচিত। তিনি পাকিস্তানের কঠোর সমালোচক বলেও বিভিন্ন মহলে পরিচিত।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাফেয়ার্সের নেভাল পোস্ট গ্র্যাজুয়েট স্কুলের ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির হুভার ইনস্টিটিউশনে অতিথি ফেলো হিসেবে যুক্ত আছেন পল কাপুর। এ পর্যন্ত তার নিরাপত্তা, জিহাদ ও দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক অন্তত চারটি বই প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে তার নিজের লেখা ‘জিহাদ অ্যাজ গ্র্যান্ড স্ট্র্যাটেজি: ইসলামিস্ট মিলিট্যান্সি, ন্যাশনাল সিকিউরিটি, অ্যান্ড দ্য পাকিস্তানি স্টেট’; ডেঞ্জারাস ডেটারেন্ট: নিউক্লিয়ার উইপন্স প্রলিফারেশন অ্যান্ড দ্য কনফ্লিক্ট ইন সাউথ এশিয়া। এ ছাড়া যৌথভাবে প্রকাশ হয়েছে ‘ইন্ডিয়া, পাকিস্তান অ্যান্ড দ্য বোম্ব: ডিবেটিং নিউক্লিয়ার স্ট্যাবিলিটি ইন সাউথ এশিয়া’ ও ‘দ্য চ্যালেঞ্জেস অব নিউক্লিয়ার সিকিউরিটি: ইউএস অ্যান্ড ইন্ডিয়ান পারস্পেকটিভস’।
প্রসঙ্গত, ডোনাল্ড লু’র বিরুদ্ধে পাকিস্তানে ইমরান খান সরকারের পতনের পেছনে কলকাঠি নাড়ার অভিযোগ ছিল। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান তার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে বক্তব্য দিয়েছিলেন। ট্রাম্প দ্বিতীয়বার মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর বাইডেন প্রশাসনে নিয়োগ পাওয়া লু দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ান। কূটনৈতিক মহলের মতে, পল কাপুর নিয়োগ পেলে দক্ষিণ এশিয়ায় জঙ্গি তৎপরতা দমনে পাকিস্তান ও তাদের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের বিরুদ্ধে ভারতের লড়াই সহজ হতে পারে। সূত্র – দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল।