সংগৃহীত ছবি
স্পোর্টস ডেস্ক : আর ৮ দিন পরেই পাকিস্তনের মাঠে গড়াবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আসর। আট জাতি নিয়ে শুরু হওয়া এই বৈশ্বিক আসরের খেলা মাঠে গড়াবে ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে, শেষ হবে ৯ মার্চ লাহার/ দুবাইর ফাইনালের মধ্যে দিয়ে। এই আসরকে সামনে রেখে ইতিমধ্যে চলছে নানা বিশ্লেষন। এই আসরে সেমিফাইনালিস্ট বেছে নিয়েছে ভারতের সাবেক তারকা রবি শাস্ত্রী এবং অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি রিকি পন্টিং।
শাস্ত্রী বলেছেন, ‘উপমহাদেশের ভারত, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ বা পাকিস্তানের মতো দেশের ঘরের মাটিতে খেলা বিশাল চাপের, আশাও থাকে অনেকবেশি। কিন্তু পাকিস্তান বিগত ছয় মাসে সাদা বলের ক্রিকেটে ধারাবাহিক পারফরম্যান্স করে গেছে, বিশেষ করে সাউথ আফ্রিকায়। তবে সাইম আইয়ুবের অনুপস্থিতি ভোগাতে পারে।’
‘তবে পাকিস্তানের সেরকম খেলোয়াড় আছে যারা বিপজ্জনক হতে পারে, বিশেষত ঘরের মাঠে। আমাকে বলতেই হচ্ছে তাদের সেমিফাইনাল পর্যন্ত খেলা উচিত। তারপর এটা যেকারও ম্যাচ হতে পারে। পাকিস্তান এখন বেশ বিপজ্জনক এবং যদি তারা সে পর্যন্ত যেতে পারে দলটি আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবে।
ভারতীয় কিংবদন্তির সাথে সুর মিলিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বজয়ী কিংবদন্তি অধিনায়ক রিকি পন্টিংও। তবে তিনি পাকিস্তানের পেস আক্রমণ ও সাবেক অধিনায়ক বাবর আজমের পারফরম্যান্সের উপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন।
বিশ্বজয়ী পন্টিং বলেছেন, ‘আমি রবি শাস্ত্রীর সাথে একমত। সাইম আইয়ুব উচ্চমানের খেলোয়াড় এবং তার অনুপস্থিতি বড় ধরণের ক্ষতি। কিন্তু পাকিস্তানের পেস বোলিং আক্রমণ অনেক, অনেক ভালো। শাহিন আফ্রিদির নেতৃত্বে নাসিম শাহও আছেন। সম্প্রতি তারা যেমন ফর্মে আছেন সেটা যেকোনো ব্যাটিং লাইনআপের জন্য বিপজ্জনক হয়ে যাবে।
‘বাবর আজমের ফর্ম ওঠানামা করছে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে। কিন্তু রিজয়ানের ফর্ম যদি ঠিকঠাক থাকে পাকিস্তান যেকোনো দলের জন্য ভয়ানক হয়ে উঠবে।
এদিকে সম্প্রতি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে পাকিস্তানকে দেখছেন না ভারতের সাবেক তারকা জহির খান। তার ভাষ্যে, ধারাবাহিকতার অভাবই পাকিস্তানকে সেমিফাইনালে উঠতে দেবে না। এবার তারা আয়োজক দেশ। কিন্তু আয়োজকদের এবার শেষ চারেই দেখছেন না জাহির।
জাহির খান জানিয়েছেন, শেষ চারে তিনি দেখছেন অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, ভারত ও নিউজিল্যান্ডকে। জাহির বলেছেন, ‘ভারতের সেমিফাইনালে যাওয়া নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। এর পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়াকে দেখছি শেষ চারে। আর আইসিসি টুর্নামেন্টে নিউজিল্যান্ড বরাবরই ভাল খেলে। তাই ওদেরই দেখছি। আর দেখছি দক্ষিণ আফ্রিকাকে। সাদা বলের ক্রিকেটে প্রোটিয়ারাও অনেক উন্নতি করেছে।’