সংগৃহীত ছবি
অনলাইন ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছ থেকে তথ্য পাওয়ার অধিকার আগেই কেড়ে নিয়েছিলেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবার তার রোষের মুখে পড়লেন বাইডেনের ঘনিষ্ঠরাও। আমেরিকার একাধিক প্রাক্তন সরকারি কর্মকর্তার কাছ থেকে এই অধিকার কেড়ে নিচ্ছেন ট্রাম্প। তালিকায় রয়েছেন বাইডেনের সহকারী এবং তার প্রশাসনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। এছাড়া, পূর্বতন সরকারের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভানের কাছ থেকেও নিরাপত্তার তথ্য পাওয়ার ছাড়পত্র প্রত্যাহার করা হয়েছে।
স্থানীয় সময় শুক্রবার ট্রাম্প জানান, তিনি প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের নিরাপত্তা সংক্রান্ত ছাড়পত্র প্রত্যাহার করছেন। এই ছাড়পত্র পেয়ে থাকেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট এবং তার সহকারীরা। হোয়াইট হাউসের উচ্চ পদে কর্মরত কর্মকর্তাদের কাছে গোয়েন্দা বিভাগ থেকে জাতীয় নিরাপত্তার গোপন তথ্য নিয়মিত পৌঁছে দেওয়া হয়। সরকার বদলালেও প্রাক্তন কর্মকর্তারা এই সুবিধা পেয়ে থাকেন। বাইডেনের কাছ থেকে সেই ছাড়পত্রই প্রত্যাহার করে নেন ট্রাম্প। জানান, বাইডেনের ‘স্মৃতিশক্তি দুর্বল’ বলে তিনি শুনেছেন। ফলে আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং গোপন তথ্যের বিষয়ে তার উপর চোখ বুজে ভরসা করা যায় না। আমেরিকার নিরাপত্তা নিয়ে তিনি কোনও ঝুঁকি নিতে চান না, দাবি করেন ট্রাম্প।
শনিবার হোয়াইট হাউস থেকে জানানো হয়েছে, শুধু বাইডেন নন, তার প্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধেও এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ তাদেরও নিরাপত্তার ছাড়পত্র তুলে নিয়েছেন ট্রাম্প। গোয়েন্দা বিভাগ থেকে তাদের কাছে আর নিয়মিত খবর যাবে না। ব্লিঙ্কেন, সুলিভানে ছাড়াও তালিকায় রয়েছেন বাইডেনের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল লিসা মোন্যাকো। এছাড়া, নিউ ইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেল লেটিশিয়া জেমস এবং ম্যানহাটনের অ্যাটর্নি আলভিন ব্র্যাগের ছাড়পত্রও প্রত্যাহার করা হয়েছে।
২০২১ সালে আমেরিকায় ক্যাপিটল হিল হামলার ঘটনা ঘটেছিল। তাতে ট্রাম্পকে অভিযুক্ত করে বাইডেন তার নিরাপত্তার ছাড়পত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন। চার বছর পর ক্ষমতায় ফিরে প্রাক্তনের বিরুদ্ধে একই পদক্ষেপ করলেন ট্রাম্প। যাদের কাছ থেকে তথ্য পাওয়ার অধিকার তিনি কেড়ে নিয়েছেন, তারা প্রত্যেকেই কোনও না কোনও সময়ে ট্রাম্পের বিরোধিতা করেছিলেন। সূত্র: রয়টার্স, ওয়াশিংটন পোস্ট, নিউ ইয়র্ক টাইমস