সংগৃহীত ছবি
অনলাইন ডেস্ক : চিতায় যাওয়ার আগে উৎসবমুখর নির্বাচন দেখে যেতে চান বলে জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, একটি উৎসব মুখর নির্বাচন না দেখা পর্যন্ত ঈশ্বর যেন আমাকে চিতায় না নেন। আমরা যেন সঠিক সময়ে সঠিক নির্বাচন, ‘জনগণের ভোট জনগণ দেবে যাকে খুশি তাকে দেবে’ এটা প্রতিষ্ঠা করতে পারি।
আজ দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। সংবিধান ও রাষ্ট্র ব্যবস্থার গণতান্ত্রিক সংস্কার, অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে প্রণীত ‘রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি’ শীর্ষক এই প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করে ১২ দলীয় জোট।
গয়েশ্বর বলেন, কোন দল সংসদ আসন বেশি পেল আর কোন দল কম পেল এই আলোচনার দরকার নেই। আমরা সকলে ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে দেশটাকে পরিচালনা করব। তারেক রহমান তো বলেছেন দুইবারে বেশি (প্রধানমন্ত্রী) থাকা যাবে না। আর হাসিনা তো আজীবন থাকতে চেয়েছেন। অর্থাৎ অধিক সময় ক্ষমতায় থাকলে অতীতে যে ব্যাধিগুলো আমরা দেখেছি প্রধানমন্ত্রীর; তাহলে সামনে সেই সংক্রামক বেধিতে আক্রান্ত হতে পারে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, এ কারণে তিনি (তারেক রহমান) এই পদ্ধতিটা রেখেছেন এতে লিডারশিপ বাড়ল। আবার তিনি একথাও বলেছেন আমরা যে সরকার গঠন করব, আন্দোলন সংগ্রামে যাদের ভূমিকা রয়েছে তাদের নিয়ে আমরা জাতীয় সরকার বানাবো।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ইসলামের দোহাই দেবেন না। একটি রাজনৈতিক দলের পেছনে ইসলাম থাকলে কি ইসলাম হয়ে গেল? ইসলাম তো একটি ঈমানের ব্যাপার আল্লাহর ওপর আস্থার ব্যাপার। আপনি একজন আলেমের কাছে গিয়ে তাকে বিশ্বাস করতে পারেন নাও করতে পারেন। আপনি আযান শুনে নামাজ পড়তে পারেন। যদি আপনার ওয়াক্ত জানা থাকে তাহলে আজান না শুনেও নামাজ পড়তে পারেন। সুতরাং যারা ইসলামের কথা এই ধরনের ধোকা দিয়ে দখলবাজের অপবাদ দেয়, তারা যে কি পরিমাণ দখলবাজি করেছে সেটা সচিবালয় গেলে বুঝা যায়।
সংস্কার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা শুরুটা করবো পর্যায়ক্রমে আবার যারা ক্ষমতায় আসবেন তারা এগিয়ে নেবেন এটা চলমান প্রক্রিয়া। সংস্কার আবার নতুন করে আসতে পারে। চলমান প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে অতীতের তিক্ত অভিজ্ঞতার আলোকে আলোর পথে চলার জন্য এই হল অঙ্গীকার ৩১ দফা। আমার মনে হয় এটা আমরা বুঝতে কষ্ট পাচ্ছি না কিন্তু মানতে কষ্ট পাবো কিনা এজন্য এত ঘন ঘন গবেষণা চলছে।
১২ দলীয় জোট প্রধান মোস্তফা জামাল হায়দারের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বক্তব্য দেন— বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ড. মাহাদী আমিন, বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, বিকল্পধারা বাংলাদেশ চেয়ারম্যান অধ্যাপক নুরুল আমিন বেপারী প্রমুখ।