নির্বাচন বিলম্ব করার কোনো সুযোগ নেই: খসরু

সংগৃহীত ছবি

 

অনলাইন ডেস্ক : নির্বাচন বিলম্ব করার কোনো সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, জনগণের মালিকানা ফিরিয়ে দেওয়া ছাড়া গণতন্ত্রের অগ্রগতির সুযোগ নেই। অগ্রগতির জন্য নির্বাচন ছাড়া আর কোনো পথ নেই। অন্য কোনো পথ খুঁজতে গেলে জনমনে সন্দেহের উদ্বেগ হবে। এতে জনগণ হতাশ হবে, গণতন্ত্র আবারও মুখ থুবড়ে পড়বে।

 

রোববার (২৬ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে ন্যাশনাল পিপল্স পার্টি-এনপিপি আয়োজিত বহুদলীয় গণতন্ত্র ও স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ভূমিকা শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় খসরু বলেন, দেশের মালিকানা জনগণের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্যই ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনাকে বিদায় করেছে তারা। সুতরাং এই দেশের জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে বাংলাদেশ কীভাবে পরিচালিত চলবে। জনগণের ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধিত্ব সংসদ গঠন করতে হবে। এর ব্যতিক্রম কিছু করার সুযোগ নেই। কেউ যদি মনে করে শেখ হাসিনা যেভাবে জনগণের মালিকানা কেড়ে নিয়েছিলেন, শেখ মুজিব বাকশালের মাধ্যমে যেভাবে জনগণের মালিকানা কেড়ে নিয়েছিলেন তাহলে তার বিরুদ্ধে পুরো দেশের মানুষ দাঁড়িয়ে যাবে।

 

৭ ছর আগে বিএনপি সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, খালেদা জিয়া ভিশন-২০৩০ মাধ্যমে সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছেন। সেখানে দুই বারের অধিক কেউ প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবেন না, দ্বি-কক্ষবিশিষ্ট সংসদ, প্রেসিডেন্ট এবং প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য, এগুলো ছয় বছর আগে খালেদা জিয়া বলেছেন। হাসিনা-পরবর্তী যে বাংলাদেশ হবে এটাকে মাথায় রেখে খালেদা জিয়া কথাগুলো বলেছেন। সংস্কারগুলো দরকার হবে আগামীর বাংলাদেশে। আজ তারা সেই প্রস্তাবগুলো বলছে।

বিএনপির এই সিনিয়র নেতা আরও বলেন, আমরা দুই বছর আগেও যুগপৎ আন্দোলন দলগুলোকে নিয়ে ৩১ দফা সংস্কারের রূপরেখা দিয়েছি। সুতরাং শেখ হাসিনা পতনের পর আগামী বাংলাদেশ কেমন হবে তার প্রস্তাব আমরা আগেই দিয়েছি। সেই কথাগুলো এখন আলোচনা চলছে, নতুন কোনো কিছু নেই। আগামী দিনে বিএনপি জাতীয় সরকারের গঠনের মাধ্যমে ৩১ দফা বাস্তবায়ন করবে। বিএনপি সহ যুগপৎ শরীকরা ৩১ দফা বাস্তবায়নে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আগামী দিনে জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে সংসদে পাস করবে বিএনপি। আর কোনো দল, ব্যক্তি বা গোষ্ঠী মনে করে তারা যদি মনে করে তাদের কিছু প্রস্তাব আছে তাহলে তাদের জনগণের কাছে যেতে হবে।।সিদ্ধান্ত নেবে বাংলাদেশের কি পরিবর্তন হবে, কি সংস্কার হবে, সেটা ভুল হবে।

 

খসরু বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের মূল কারণ ছিল গণতন্ত্র। যেটা একদলীয় বাকশালের মাধ্যমে কেড়ে নিয়েছিল আওয়ামী লীগ। আর বহুদলীয় গণতন্ত্রের মূলমন্ত্র ছিল বাংলাদেশের জনগণের মালিকানা তাদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া। বাকশাল বিদায়ের মধ্যে দিয়েও সেই আন্দোলন-সংগ্রাম শেষ হয়নি, বরং অব্যাহত ছিল। পরবর্তীতে আরেক স্বৈরাচার এসে নির্বাচন কেড়ে নিয়ে জনগণের মালিকানা কেড়ে নিয়েছিল। এরপর এক এগারো, আরেক ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার একদলীয় সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রাম। বাকশাল থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান।

 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য  আরও বলেন, স্বৈরাচার এরশাদের পতনের আন্দোলনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আপসহীন ছিলেন খালেদা জিয়া। তার হাত ধরে আবারও বহুদলীয় গণতন্ত্র ফিরে এসেছিল। তারপর থেকে নিজের জীবনের বিনিময়ে গণতন্ত্রের জন্য লড়াই চালিয়ে গেছেন। জেলখানায় ৬ বছর থাকলে কোনো আপস করেননি তিনি শুধুমাত্র গণতন্ত্রের জন্য। সেই আন্দোলন কিন্তু এখনো শেষ হয়নি। আজ আবারও জনগণের মালিকানা ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলতে হচ্ছে।

এনপিপির চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন জাগপার সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান, গণদলের চেয়ারম্যান এটিএম গোলাম মওলা, এনডিপির চেয়ারম্যান আবু তাহেরসহ ন্যাশনাল পিপল্স পাটি-এনপিপি ও জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের শীর্ষ নেতারা।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের কর্মসূচি প্রত্যাহার

» চুরি ও ছিনতাই হওয়া ৪৮টি মোবাইলফোন উদ্ধারসহ চোরাকারবারি চক্রের ১১জন গ্রেফতার

» বাংলাদেশে বিনিয়োগের পরিকল্পনা আমিরাতের দুই শীর্ষ কোম্পানির

» শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো জামাতীকরণ করা হয়েছে : রিজভী

» আবারও বাংলা সিনেমায় রাভিনা ট্যান্ডন

» রমজানের সম্ভাব্য তারিখ জানালো আরব আমিরাত

» সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের ফের ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম

» জুলাই বিপ্লবীদের হুমকি দেওয়ার চেষ্টা করবেন না : উপদেষ্টা মাহফুজ

» চাঁদার হাত বদল হলেও চাঁদাবাজি বন্ধ হয়নি: সারজিস

» ভোটার হওয়ার জন্য নারীদের উৎসাহিত করতে হবে : ইসি সানাউল্লাহ

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

নির্বাচন বিলম্ব করার কোনো সুযোগ নেই: খসরু

সংগৃহীত ছবি

 

অনলাইন ডেস্ক : নির্বাচন বিলম্ব করার কোনো সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, জনগণের মালিকানা ফিরিয়ে দেওয়া ছাড়া গণতন্ত্রের অগ্রগতির সুযোগ নেই। অগ্রগতির জন্য নির্বাচন ছাড়া আর কোনো পথ নেই। অন্য কোনো পথ খুঁজতে গেলে জনমনে সন্দেহের উদ্বেগ হবে। এতে জনগণ হতাশ হবে, গণতন্ত্র আবারও মুখ থুবড়ে পড়বে।

 

রোববার (২৬ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে ন্যাশনাল পিপল্স পার্টি-এনপিপি আয়োজিত বহুদলীয় গণতন্ত্র ও স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ভূমিকা শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় খসরু বলেন, দেশের মালিকানা জনগণের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্যই ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনাকে বিদায় করেছে তারা। সুতরাং এই দেশের জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে বাংলাদেশ কীভাবে পরিচালিত চলবে। জনগণের ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধিত্ব সংসদ গঠন করতে হবে। এর ব্যতিক্রম কিছু করার সুযোগ নেই। কেউ যদি মনে করে শেখ হাসিনা যেভাবে জনগণের মালিকানা কেড়ে নিয়েছিলেন, শেখ মুজিব বাকশালের মাধ্যমে যেভাবে জনগণের মালিকানা কেড়ে নিয়েছিলেন তাহলে তার বিরুদ্ধে পুরো দেশের মানুষ দাঁড়িয়ে যাবে।

 

৭ ছর আগে বিএনপি সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, খালেদা জিয়া ভিশন-২০৩০ মাধ্যমে সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছেন। সেখানে দুই বারের অধিক কেউ প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবেন না, দ্বি-কক্ষবিশিষ্ট সংসদ, প্রেসিডেন্ট এবং প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য, এগুলো ছয় বছর আগে খালেদা জিয়া বলেছেন। হাসিনা-পরবর্তী যে বাংলাদেশ হবে এটাকে মাথায় রেখে খালেদা জিয়া কথাগুলো বলেছেন। সংস্কারগুলো দরকার হবে আগামীর বাংলাদেশে। আজ তারা সেই প্রস্তাবগুলো বলছে।

বিএনপির এই সিনিয়র নেতা আরও বলেন, আমরা দুই বছর আগেও যুগপৎ আন্দোলন দলগুলোকে নিয়ে ৩১ দফা সংস্কারের রূপরেখা দিয়েছি। সুতরাং শেখ হাসিনা পতনের পর আগামী বাংলাদেশ কেমন হবে তার প্রস্তাব আমরা আগেই দিয়েছি। সেই কথাগুলো এখন আলোচনা চলছে, নতুন কোনো কিছু নেই। আগামী দিনে বিএনপি জাতীয় সরকারের গঠনের মাধ্যমে ৩১ দফা বাস্তবায়ন করবে। বিএনপি সহ যুগপৎ শরীকরা ৩১ দফা বাস্তবায়নে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আগামী দিনে জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে সংসদে পাস করবে বিএনপি। আর কোনো দল, ব্যক্তি বা গোষ্ঠী মনে করে তারা যদি মনে করে তাদের কিছু প্রস্তাব আছে তাহলে তাদের জনগণের কাছে যেতে হবে।।সিদ্ধান্ত নেবে বাংলাদেশের কি পরিবর্তন হবে, কি সংস্কার হবে, সেটা ভুল হবে।

 

খসরু বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের মূল কারণ ছিল গণতন্ত্র। যেটা একদলীয় বাকশালের মাধ্যমে কেড়ে নিয়েছিল আওয়ামী লীগ। আর বহুদলীয় গণতন্ত্রের মূলমন্ত্র ছিল বাংলাদেশের জনগণের মালিকানা তাদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া। বাকশাল বিদায়ের মধ্যে দিয়েও সেই আন্দোলন-সংগ্রাম শেষ হয়নি, বরং অব্যাহত ছিল। পরবর্তীতে আরেক স্বৈরাচার এসে নির্বাচন কেড়ে নিয়ে জনগণের মালিকানা কেড়ে নিয়েছিল। এরপর এক এগারো, আরেক ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার একদলীয় সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রাম। বাকশাল থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান।

 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য  আরও বলেন, স্বৈরাচার এরশাদের পতনের আন্দোলনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আপসহীন ছিলেন খালেদা জিয়া। তার হাত ধরে আবারও বহুদলীয় গণতন্ত্র ফিরে এসেছিল। তারপর থেকে নিজের জীবনের বিনিময়ে গণতন্ত্রের জন্য লড়াই চালিয়ে গেছেন। জেলখানায় ৬ বছর থাকলে কোনো আপস করেননি তিনি শুধুমাত্র গণতন্ত্রের জন্য। সেই আন্দোলন কিন্তু এখনো শেষ হয়নি। আজ আবারও জনগণের মালিকানা ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলতে হচ্ছে।

এনপিপির চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন জাগপার সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান, গণদলের চেয়ারম্যান এটিএম গোলাম মওলা, এনডিপির চেয়ারম্যান আবু তাহেরসহ ন্যাশনাল পিপল্স পাটি-এনপিপি ও জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের শীর্ষ নেতারা।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com